আমাদের ভয় দেখিয়ে করছ শাসন, জয় দেখিয়ে নয় বিশ্বব্যাংক নাকি খুব খারাপ একটা জিনিস। আমি বলি এটা অনেকটা টিনেজারদের বাপ-মায়ের মত। প্রভাব সে খাটাবেই। টাকা চাই, কিন্তু কেন? কি করবে টাকা দিয়ে?
পরীক্ষার জন্য ব্যবহারিক খাতা তৈরি করতে হবে। পুরনো খাতা তো পাচ্ছি না, ব্যাবহারিক অনুশীলনও ঠিকমত করায় নি আমাদের ন্যায়নিষ্ঠ গুরুরা।
ডাটা নাই। নোট বই কিনে নিলাম। আমার এক বন্ধুও তাই করলো।
পরে তার মাথায় বুদ্ধি এলো, বইটা ফেরত দেবার; টাকাটা অন্য কাজে লাগানো যাবে।
-কিন্তু বাবা যদি জিজ্ঞেস করে কি বই কিনেছো?
-ওই একটা দেখিয়ে দেবো।
বিশ্বব্যাংক জিনিসটাও তাই।
সরকার বেশ কয়েকবছর আগে রাশিয়া থেকে মিগ বিমান কিনলো। (দুর্নীতি/কু-কর্ম তো ওরা করেই, ও নিয়ে কিছু বলবো না। )
বাংলাদেশ বাংলাদেশের টাকায় যুদ্ধবিমান কিনছে,যুক্তরাষ্ট্র বললো, ওটা অপ্রয়োজনীয়।
আমিও টাকা জমিয়েছিলাম ওয়াকম্যান কেনার জন্য, কিনতে বেশ লড়াই করতে হয়েছিল।
বিশ্বব্যাংক বলেছে দুর্নীতি হয়েছে, টাকা বন্ধ। বাপ-মাও একটা বলেন অনেকসময়।
একটি পরিসংখ্যান দেখেছিলাম, বাংলাদেশ বছরে যে ঋণ পায়, সমপরিমাণ টাকা আবার সুদআসলে শোধ করে দিতে হয়। তবু ঋণ নিতে হয়। নইলে আমাদের নাকি চলে না।
যেকোন বড় প্রকণ্পে তাই নিজের টাকার পাশাপাশি দাতাদের টাকাও লাগে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। ওটা আপাতত বন্ধ করে দিল। আমিও ব্যক্তিগতভাবে এ যাবতকালের মধ্যে আমার সবচয়ে বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের ঋণও পেয়েছি।
মানে আমি দুর্নীতি করি না।
[তফাত একটা অবশ্য থেকে যায়, বাপ-মায়ের কু-মতলব থাকে না, বিশ্বব্যাংকের থাকে। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।