যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট বরাদ্দ ও ঋণসীমা নিয়ে চলমান অচলাবস্থার নিরসন না হলে কয়েক দিনের মধ্যে বিশ্ব ভয়ানক বিপদে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এই বিপদ এড়ানোর উদ্যোগ নিতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনের উপায় খুঁজতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন গতকাল রোববারও মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের অধিবেশন বসে।
ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক বৈঠকের সমাপনী অনুষ্ঠান হয় গত শনিবার। এতে যুক্তরাষ্ট্রের অচলাবস্থা প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রধান জিম ইয়ং কিম বলেন, ‘আমরা ভয়ানক সেই মুহূর্ত থেকে মাত্র পাঁচ দিন দূরে আছি।
’ ১৭ অক্টোবর মার্কিন সরকারের বর্তমান ঋণসীমার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেদিকেই ইঙ্গিত করে ওই সতর্কতা উচ্চারণ করেন কিম।
মার্কিন সরকার ইতিমধ্যে বর্তমান ঋণসীমা ১৬ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি করতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু বাজেট বরাদ্দ নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা ও ঋণসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি এখন মিলেমিশে গেছে। ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতারা একমত হতে না পারায় দুটি বিষয়ই ঝুলে রয়েছে।
সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। ইতিমধ্যে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ঋণসীমা বৃদ্ধি না করলে বিভিন্ন দেশের বিল পরিশোধ করার মতো অর্থ তাদের কাছে থাকবে না।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান কিম আরও বলেন, ‘আমরা বিপদের মুহূর্তের সময়সীমার কাছাকাছি চলে যাচ্ছি। এই বিপদের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। সময়সীমা পেরিয়ে গেলে উন্নয়নশীল বিশ্বের পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
’ কিম বলেন, ‘ভয়াবহ ওই পরিস্থিতি এড়াতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমি। ’
বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বৈঠকে অংশ নেওয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও যুক্তরাষ্ট্রের অচলাবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অচলাবস্থা নিরসনের পথ খুঁজতে গতকাল বন্ধের দিনও সিনেট অধিবেশন বসে। সিনেটে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা চলমান সংকট থেকে উত্তরণে জোর প্রচেষ্টা চালাবেন বলে জানা গেছে। বিবিসি ও এএফপি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।