আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের ৯১% নারীই যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়

ভালো কে ভালো বলি, খারাপ কে ঘৃণা করি! দেশে শতকরা ৯১ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার। এর মধ্যে মেয়ে শিশুর সংখ্যাই বেশি। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি বিএনডব্লিউএল ২০১০ এর গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্র্যাকের অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, হয়রানির শিকার মেয়েরা অনেক সময় অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত ‘যৌন হয়রানি বা উত্ত্যক্তকরণকে না বলুন এবং সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য উপস্থাপন করে বলা হয়, দেশে ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মেয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়। এরমধ্যে ৩৬ শতাংশ মেয়েকে উত্ত্যক্ত করা হয় তাদের স্কুলের সামনে। আর দেশের প্রায় প্রতিটি মেয়েই কোনো না কোনোভাবে জীবনের কোনো এক সময় যৌন হয়রানির শিকার হয়। জানানো হয়, ২০১০ সালে শুধুমাত্র যৌন হয়রানির কারণে ৩২ জন আত্মহত্যা করে। ২০১১ সালে এ সংখ্যাটা ছিল ৩১ জন।

আর এ বছরের মে মাস পর্যন্ত যৌন হয়রানির কারনে আত্মহত্যা করেছে ৮ জন। মতবিনিময় সভায় ব্র্যাকের একটি গবেষণা তুলে ধরে বলা হয়, উত্ত্যক্তকরণ এবং যৌন হয়রানির কারণে উচ্চ শিক্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের কোমলমতি মেয়েরা। অপমান সহ্য করতে না পেরে অনেকেই বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। ফলে অবধারিতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন। পুরুষতান্ত্রিত মানসিকতা, সমাজে ও পরিবারে নারীদের অবমূল্যায়ন, নীতি নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়, কর্মহীন অলস মন, পারিবারিক শিক্ষার অভাব, আইনি দূর্বলতা (মাত্র ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড) সঙ্গে আইন প্রয়োগে অনীহা, এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছাড়া দোষী সাব্যস্ত করতে না পারা, টিজিং এর সঙ্গে যুক্তদের রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক সমর্থন এবং পৃষ্ঠপোষকতাকে যৌন হয়রানির অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়।

সভায়, যৌন হয়রানি বন্ধে শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী নিজে, অভিভাবক শিক্ষক, সহপাঠি, বন্ধু, প্রতিবেশী, স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নেতা, কমিশনার মেম্বার, চেয়ারম্যান, প্রশাসন ও পুলিশসহ সর্বস্তরে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উদ্যোগ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সুত্র ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.