আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রয়োজন জোর সাংস্কৃতিক আন্দোলন ঠিক যেমনটা ছিল ৭১’এ। বিচার তরান্বিত করতে সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গদের এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি

একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধারা রণক্ষেত্রে করেছেন বললে ভুল হবে দেশের আপামর জনতার যুদ্ধ ছিল সেটি এবং ওই যুদ্ধে অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা । তারা ওই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে যুদ্ধ পরিচালনাতেও অংশগ্রহন করতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তার সিগনাল দিয়ে এবং সেই সব গান প্রচার করে যা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহয়তা করত । স্বাধীনতার ঠিক চল্লিশ বছর পরে আজ আমরা আরেক মহান যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি । এই সেই যুদ্ধ যা আমাদের শহিদদের আত্মার শান্তির জন্য, এই সেই যুদ্ধ যা আমাদের সজনহারা পরিবারের জন্য , এটি সেই যুদ্ধ যা আমাদের প্রতিটি বীরঙ্গনার মান এবং সম্মানের জন্য । হ্যা এটি সেই কুলাঙ্গারদের শাস্তি দেয়ার যুদ্ধ যাদের পাপের ভারে আমাদের স্বাধীনতা এখনো কলুষিত ।

এটি সেই যুদ্ধ যেখানে আমরা আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করব । ইনশাল্লাহ । কিন্তু এই যুদ্ধে আজ আমরা একা হয়ে গিয়েছি । আমাদের তরুণ সমাজ আজ একা এই যুদ্ধের পক্ষে বলে যাচ্ছে কিন্তু হায় আল্লাহ আজ আর কেও নেই আমাদের পাশে । সরকার আজ নানা সমস্যার বেড়াজালে পড়ে গিয়েছে ।

নানামুখি বাধা । আজ এই সমস্যার ক্রান্তিলগ্নে কোথায় আমাদের ওই সাংস্কৃতিক যোদ্ধারা ? কি করছেন তারা আজ ? এই জোয়ারে চাই আজ মনোবল । আজ যে আপনাদের বড়ই প্রয়োজন । সেই উপলব্ধি থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে সাহায্য চেয়েছেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গের নিকট । তিনি তার বক্তৃতায় বলেন , “আমরা বিচারের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি এবং তরুণ প্রজন্মসহ গোটা জাতি তাদের বিচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ।

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এই বিচারে জনমত তৈরিতে সহায়ক হতে পারে। ” আজকে কোথাও না কোথাও এই আন্দোলনটিও হয়ে উঠেছে আমাদের স্বাধীনতার মতই গুরুত্বপূর্ণ । এখন এর জন্য কোন বন্দুক প্রয়োজন নেই কিংবা না প্রয়োজন আছে বুলেট । শুধু প্রয়োজন একটুখানি দেশপ্রেম আর শ্রদ্ধা শহীদদের প্রতি । কিন্তু সেটা করতে হলে আগে আমাদেরকে জানাতে হবে জনগণকে এই বিচার এর গুরত্ত ।

যা করতে সক্ষম আমাদের সাংস্কৃতিক গোস্তি ,সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে । তারাই দেশের প্রান,তারাই পারেন জনমত গড়ে তুলতে । আজকের বেশীর ভাগ সাংস্কৃতিক জোটের বড় বড় নামই ওই দিনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন । ঝাপিয়ে পড়েছিলেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে শুধুমাত্র দেশের ডাকে । তাহলে আজ কেন আপনারা দূরে জনাব ? আসুন আরেকবার গড়ে তুলুন আন্দোলন ।

আমরা আপনাদের পেছনেই থাকব । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.