হাফেয ইব্ন রাজাব (রাহ) (মৃত্যু: ৭৯৫ হিজরী) বলেন: শামের কতিপয় তাবেঈ যেমন খালেদ ইব্ন মাদান, মাকহুল, লোকমান ইব্ন আমের প্রমূখ অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত) কে সম্মান করতেন এবং এ রাতে বেশী বেশী ইবাদত-বন্দেগী করতেন। তাদের নিকট থেকে অন্যান্য মানুষ অর্ধ শাবানের ফযীলত এবং মর্যাদার বিষয়টি গ্রহণ করে। বলা হয়ে থাকে যে, তারা এ ব্যাপারে কিছু ইসরাঈলী বর্ণনা পেয়েছিলেন। এঁদের নিকট থেকে বিষয়টি বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে দ্বিধা-বিভক্তি সৃষ্টি হয়ে গেল। কিছু মানুষ তাদের এ মতকে সমর্থন করে অর্ধ শাবানের রাতটিকে সন্মানের সাথে পালন করতে আরম্ভ করল।
যারা এ মতকে সমর্থন করল তারা হল ইরাকের বাসরা এলাকার কতিপয় আবেদ এবং অন্যান্য আরো কিছু লোক। আর হেজাযের অধিকাংশ আলেম যেমন, আত্বা, ইব্ন আবী মুলাইকা প্রমূখ এর বিরোধীতা করলেন। আব্দুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলাম বর্ণনা করেন যে, মদীনার ফকীহগণও এ মতের বিরোধীতা করলেন। ইমাম মালেক এবং তার সহচরদেরও মতমতও অনুরূপ। তারা সকলেই বলেন, এসব কার্যক্রম বিদআত।
শবেবরাতের ইতিহাসঃ৪০০হিজরির আগেই সকল আগুন পূজারিদের দেশ মুসলমানদের দখলে আসে। "বারামাকা" নামক এক শ্রেণীর আগুন পূজারি তাদের অন্তরের বিশ্বাসকে অটল রেখে উপরে উপরে মুসলমান হয়। তারা নিজেদের আগুন পূজা ঠিক রেখে মুসলমানদেরকে ধোঁকা দেয়ে তাদেরকেও এ পূজার সাথে জড়িয়ে দেয়ার জন্য আবিস্কার করে শবেবরাত নামক আগুন পূজার এক অভিনব পন্থা। চালু করে "ছালাতুর রাগায়েব" (শবেবরাতের নামাজ) এ সবের ফযীলত বণনায় তৈরী করে নবী মু সাঃ নামে অসংখ্য জাল হাদিস। এ নামাজের জন্য তারা মসজিদকে এমনভাবে আলো দিয়ে সাজাতো দেখে মনে হত অগ্নিমন্দির।
সর্বপ্রথম শবেবরাতের এ প্রচলন শুরু হয়৪৪৮ হিজরিতে বায়তুল মাকদেশে। এই জঘন্য বিদআত ৩৫২ বছর চলার পর ৮০০ হিজরীতে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। সকল আরব এলাকাতে বন্ধ হয়ে গেলেও উহা ইরানের চেলতেই থাকে এবং তা সংক্রামিত হয় ভারত পর্যন্ত । দীপালি পূজায় অভ্যস্ত আগুন ভক্ত হিন্দু সম্প্রদায় নামে মাএ মুসলমান হয়ে মুসলিম শাসকদের খায়েরখা বনে গেল। তাদের মনের কুচক্র বুঝতে না পেয়ে এহেন মহাপাপে জড়িয়ে গেলেন অসংহ নিরীহ মুসলমান।
রাতের আরামকে হারাম করে, কোটি টাকার সস্পদ নষ্ট করে এবং লক্ষ জনতার ঘুমের ব্যাঘাৎ ঘটিয়ে চলতে থাকে তাদের আগুন পূজার মহরা। যা আজও চলছে পুরোদমে। বলাবাহুল্য এ পূজার মাধ্যমে আর যাইহোক মহান আল্লার সন্তস্টি অর্জন করা সুদূ্র পরাহত। কারন মহান আল্লাহকে পেতে হলে তার দেয়া পথেই পাওয়া যাবে,অন্য পথে নয়। হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে তো্মার দেওয়া সটীক পথে চলার তাওফিক দাও।
আমিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।