আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যেখান থেকে কেও ফিরে আসে না !!!



আমার একটা অভ্যাস আছে প্রায় সময় আমি রাতের বেলা বই পড়ি বই পরলে ঘুম টা ভালো হয় । ভালো ভালো স্বপ্ন ও নাকি দেখা যায় । বই না পরলেও অনেকে ভালো স্বপ্ন দেখে আবার বই না পরলে অনেকে আজাইরা স্বপ্ন দেখে যেমন গত কাল অলি আমারে বলে যে ও নাকি রাতের বেলা স্বপ্ন দেখেছে যে ও নাকি গ্রীন লাইনে গেসে এ। ঐ খানে নাকি ও একা একাই গ্রীন লাইনের বাস ঠেইলা নিয়া যাইতেসে .. এই রকম আরো কত স্বপ্ন না যানি ও দেখে যাই হোক আমার পোষ্ট স্বপ্ন নিয়া নাহ .. ঐ দিন রাতের বেলা বই পরছিলাম ঘুমানোর সময় . বইটার নাম হচ্ছে “AMAZING WORLD” .বই টাতে আমি দুইটা বিস্ময়কর লেখা পরলাম । আজকে ঐ দুই টার একটা তোমাদের সবার সাথে শেয়ার করব ... বইয়ের থেকে ধারণাঃ পৃথীবিতে একোটা যায়গা আছে এই যায়গা টার নাম কেও শুনছো কিনা আমি জানি নাহ ।

এই জায়গার নাম হচ্ছে উত্তর বার্মার ছন জঙ্গল । লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন যার নাম দিয়েছিলেন ‘THE LAKE OF NO RETURN” এই কথা টার মানে মনে হয় সবাই বুঝতে পারছ , অর্থাৎ যেখান থেকে কেও ফিরে আসতে পারে নাহ । হুম ... এই স্থান এ থেকে কেও এই পর্যন্ত ফিরে আসতে পারে নি.. এই হ্রদ থেকে এই পর্যন্ত কোন মানুষ ফিরে আসতে পারে নি । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলে একটি রাস্তা তৈরি হয়েছিলো । সেই সময়ি যানা যায় এই রহস্যময় স্থানের কথা ।

প্রকাশিত হয় এর অলৌকিক ক্ষমতা । এ হ্রদে যে যে সব মিলিটারি ফোর্স পাঠানো হতো যারা লেকের কাছাকাছি ‘পাভাস’ নামের একোটি যায়গা অতিক্রম করার সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে যেত । অর্থাৎ ঐ খান এ কোন মানুষ ফিরে আসতে পারত নাহ । এ ভুতুরে রহস্যের জন্য ঐ অঞ্চলের উপজাতিরা সেখানে যায় নাহ যেতে ভয় পায় । কয়েকজন লোক বিশেষ অনুমতি নিয়ে কয়েকটি হেলিকপ্টারে করে সেই অঞ্চলে যায় , তারা তাদের অদ্ভুদ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে ।

এই অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি আশ্চর্যজনক ভাবে সবসবয় পরিবর্তিত হয় । ফলে এটি সত্যি টলটলে পানি , না পরিত্যাক্ত জলাভূমি , না একখন্ড জঙ্গলের জমি তা সঠিক ভাবে জানা যায় না । এক হেলিকপ্টার আরোহি জানিয়েছে , এই লেকের উপর দিয়ে যাবার সময় তার পূর্ণ যৌবন ফিরে আসে । মানে সে আবার তার যৌবন ফিরে পায় । ওখান থেকে সরে যাবার সাথে সাথে আকস্মিক পরিবর্তন হয় পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে ।

আরেক জন হেলি কপ্টার চালক জানিয়েছেন তখন নাকি তার সাদা লোমগুলো কালো হয়ে যাচ্ছিলো আর ওখান থেকে চলে আসার সাথে সাথে তা আবার সাদা হয়ে যাচ্ছিলো । ঐ খান কার বার্মিজ ও ভারতীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন যে রাত হবার সাথে সাথে নাকি ঐ খানে কিছু দূর্বোধ্য শব্দ হয় যা খুবি ভয়ংকর হয় । তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজঙ্ক বিষয় হচ্ছে যে ঐ লেকের ছবি এই পর্যন্ত কোন কেমেরায় ধারন করা যায় । যখনি কোন ক্যামেরায় ঐ যায়গার ছবি তুলতে যাওয়া হয় তখন নাকি ছবি টা হঠাত করে সাদা হয়ে যায় । খুব ই আশ্চর্য জনক তাই নাহ ।

কিন্তু এটা একবারে পাক্কা সত্যি কথা । আমার ধারনাঃ আমি যেই বইয়ে পরেছি এই লেখা টা ঐ বইয়ে ঐ লেকটার একটা ছবি স্কেচ করে আকা আছে । তবে আমার দুইটা জিনিস মনে হয় ...... প্রথমত আমার মনে হয় যে ঐখানে কোন অনাবিষ্কৃত রহস্যময় রশ্মি আছে যার কারনে ঐ যায়গাটার ছবি তোলা যায় নাহ । আর দ্বিতীয় কথা আমি একবার শুনেছিলাম যে পৃথীবিতে নাকি একটী অনাবিষ্কৃত কৃষ্ণগহবর(BLACK HOLE) আছে আমার যতটূকু মনে হয় যে সেই কৃষ্ণগহবর টী ঐ খানে লুকায়িত আছে । জানি নাহ কতটুকু সত্য .. তবে আমার মনে হয় যে এই ঘটনা টা সত্য কারণ এসব বইয়ে কোন মিথ্যা ঘটনা অথবা কথা লিখা থাকতে পারে নাহ ... আরো বড় কথা হল যে আমাদের স্কুলে এবার একটা ম্যাগাজিন ছাপা হয়েছে সেইখানে অবিকল এই জিনিশ টা লিখা আছে তখন আমি সম্পূর্ণ নিশ্চিত হই এ জায়গাটা সম্পর্কে ।

আসলেই কত যে আশ্চর্য আছে এই পৃথীবিতে আল্লাহ ই যানে .....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.