আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পদ্মা সেতু নিয়ে হাসিনার মহাজোট ও তার অন্ধ সমর্থকদের মুখে জুতা মারল বিশ্বব্যাংকঃ ক্যানেইডিয়ান ভদ্রলোক এবার কি বলবেন?

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পদ্মা সেতুতে কন্সালটেন্ট নিয়ে যখন র্দূনীতির অভিযোগ তুঙ্গে তখনই হাসিনার যোগাযোগ মন্ত্রী মালয়শিয়া গিয়ে একটি স্মারক চুক্তি করে। বিশ্বব্যাংক যেখানে ৫০ বছরে ০.৭৫% হারে সুদ নিবে সেখানে মালয়শিয়া নিবে ৩৫ বছরে ৫-৬% সুদ। স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের জন্য গলার ফাস। তাই এই নিয়ে একটি পোষ্ট দেই; মুজিব ও হাসিনার স্বপ্ন দিয়েই পদ্মা নদী পার হবে, ব্রীজের কি দরকারঃ মালয়শিয়ার উচ্চ হারে টোলের প্রস্তাব! Click This Link কিন্তু এটা সহ্য হল না আওয়ামী-বাকশালী ও ভাদা হিসেবে চিহ্নিত চারু_চারবাক এর। সে বলে বসল(৯নং কমেন্টে); সাবেক যোগাযোগ ও বর্তমান টেলমন্ত্রী আবুল হোসেনের সাকো ইন্টারন্যাশনাল নাকি এসললভিন হতে ১৭ মিলিয়ন ডলার ঘুষ চেয়েছে।

হুমম!! ইন্টারেস্টিং !!!!!! ১০ মিলিয়ন ডলার কাজের জন্য ১৭ মিলিয়ন ডলার ঘুষ !!!!!!!!! The suspension relates to an ongoing investigation into allegations that SNC officials bribed government officials in Bangladesh to win a $10-million contract related to a massive bridge project in that country. Click This Link. এমন বেকুব এখনো পৃথিবীতে আছে??? ******** চারু_চারবাক তথ্য বিকৃতকারী ও চরম মিথ্যাবাদী। সে বলে পরামর্শক নিয়োগে নাকি ১০ মিলিয়ন তথা এক কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ আছে। অথচ আসল সত্য হল এই পদ্মা সেতু নির্মাণে এই পরামর্শক নিয়োগে ১০ নয় ৪৭ মিলিয়ন তথা ৪ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার বরাদ্দ আছে; Click This Link আসলে আবুল হোসেনের চাওয়া ১০% ঘুষ ১৭ লক্ষ ও ৪৭ লক্ষকে কোন পত্রিকা মিলিয়ন বানিয়ে দেওয়াতে কিছুটা তথ্যগত ক্রটি হলেও ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি মোটেও মিথ্যা নয়। কিন্তু চারু_চারবাক যেন তার জানবাজি করে বিতর্কে নামে। সে পরের মন্তব্যে বলে(১৩নং কমেন্ট); চারু_চারবাক বলেছেন: রাখাল বন্ধু বলেছেন: @চারবাক: পদ্মাসেতু ১০ মিলিয়ন ডলারের কাজ না, বেক্কল কোথাকার! আসলেই বেয়াকুফ কি আর গাছে ধরে?? তোরে কে কইছে SNC LAVALIN মূল সেতুর কাজের জন্য দরপত্র দিয়েছিল? মূল সেতুর খরচ ২.৯ বিলিয়ন ডলারের।

মূল সেতু তৈরির কাজ দেখাশুনার জন্য ছয়টি ফার্মকে consultant হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই ছয়টি ফার্মের একটি SNC LAVALIN। এবং এই কাজের জন্য consultancy fee একেকটি ফার্মের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার। দয়া করে SNC LAVALIN গুগল করে দেখুন। ***** চারু_চারবাকের ঐ সময়ের এই রকম গলাবাজি দেখে মনে হচ্ছিল যে গুগল বা নেটে কোথাও আবুল হোসেন বা মহাজোট সরকারের কেউ এসএনসি লাভলিনের কাছে ঘুষ চেয়েছে তার প্রমাণ নেই।

সে আরো বলে আমি ও অন্যরা যারা আবুল হোসেন ও হাসিনার মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করি সেটা নাকি নেহাতই কাল্পনিক। কানাডার পুলিশও প্রাথমিক ভাবে লাভলিনের গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তাদের হতে আদায় করা তথ্যে জানায় যে বাংলাদেশের যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন ঘুষ চায় সেটাকেও কোমড় দিয়ে পর্বত ঠেলার বৃথা চেষ্টা করে চারু_চারবাক। সে বলে(১৫ নং কমেন্ট); চারু_চারবাক বলেছেন: লেখক বলেছেন:কানাডার পুলিশ যেখানে তার দেশের কোম্পানীতে রেইড দিছে তারপর বুঝার আর কি বাকী থাকে? আপনার জ্ঞানী মানুষ। অনেক কিছু কল্পনা করতে পারেন। তবে সবাইকে আপনার মত কল্পনা বিলাসী নাই ভাবলেন।

আমাদেরকে নেটের মাধ্যমেই সব খবর নিতে হয়। ঐ কোম্পানির বিরুদ্ধে কানাডার পুলিশ একবার নয়, কয়েকবার রেইড দিয়েছিল। অভিযোগ কি? পদ্মা সেতু? না, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিবিয়াতে তাদের ফান্ড থেকে ৫৬ মিলিয়ন ডলার হারিয়ে যাওয়া। বা অন্য ভাবে বলা যায় ঐ কোম্পানি ৫৬ মিলিয়ন ডলারের এই হারিয়ে যাওয়া নিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। এই কেলেন্কারির ফলে কোম্পানির CEO পদত্যাগ করে এবং আরেক কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়।

তাদের আরেক কর্মকর্তা গ্রেফতার হয় গাদ্দাফির ছেলেকে লিবিয়া থেকে অন্য দেশে পাচার করার ব্যাপারে সাহায্য করার অভিযোগে। এছাড়া তিউনিসিয়া এবং ভারতেও তাদের বিভিন্ন প্রজেক্ট এ অনিয়ম এর অভিযোগ রয়েছে। ****** সে আবুল হোসেন ও পুতুলের জামাইকে বাচানোর জন্য লিবিয়ার উদাহরণ টেনে আনে। চারু_চারবাকের বক্তব্য তথা ঝাড়ি দিয়ে বলে আমি যে আবুল হোসেনের বিষয়ে বলছি সেটা সঠিক নয় এটা আসলে অন্য দেশ এমনকি ভারতও আছে। প্রকৃত পক্ষে লিবিয়া ও ভারতের সাথে সাথে বাংলাদেশের আবুল হোসেনের বিষয়টিও ছিল সেটা মানতে নারাজ চারবাক এন্ড বাকশালী গং!তার কথাই হল যে বিশ্বব্যাংক ও কানাডার পুলিশ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে তা অকাট্য প্রমাণ অথবা তদন্ত শেষ না হলে কিছু বলা যাবে না।

আমি যখন জিজ্ঞাসা করি যে তাহলে "কেন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু বিষয়ে ঋণ আটকে দিল?" তাই সে বলে(২১নং কমেন্ট); চারু_চারবাক বলেছেন: লেখক বলেছেন: চারু সাহেব, তাইলে বিশ্বব্যাংক কেন পদ্মা সেতুর ঋণ আটকে দিল? আটকে দিল কারন SNC LAVALIN এর বিরুদ্ধে বিশাল বিশাল দুর্নীতির অভিযোগ কানাডা সরকার তদন্ত করছে। সেই প্রেক্ষিতে বিশ্ব ব্যাংক তাদের যে যে প্রকল্প সমুহে এই কোম্পানির অংশগ্রহন আছে, সেখানেই যতক্ষন তদন্ত শেষ না হচ্ছে, তাদের ঋণ স্হগিত রাখছে। তডন্ত শেষ হলে একমাত্র তখনই বলা যাবে পদ্মা সেতুতে দূর্নীতি হয়েছে কি হয়নি। ******** আমি তাকে বললাম যে বিশ্বব্যাংক রাস্তার কোন সাধারণ পাব্লিক নয় তারা সরাসরি বলেছে যে আবুল হোসেনের সাকো ইন্টারন্যাশনাল এই র্দূনীতির সাথে জড়িত। তারা হাজার এই সব কথা বুঝলেও পিছলামি, বিভ্রান্তি ও চরম মিথ্যা কথার মাধ্যমে হাসিনা ও মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে যেকোন অভিযোগ চুটকি মেরে উড়িয়ে দিবে।

এর পরে আমার পোষ্ট ছিল; এবার আওয়ামী-বাকশালীরা কি বলবেঃ পদ্মা সেতু নির্মাণে আবুল হোসেনের ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ দিয়েছে কানাডার পুলিশ! Click This Link এই পোষ্টটা সহ্য হল না আরেকজন বাকশালী ও ভাদার। তিনি পোষ্ট দিয়ে বসলেন; ব্লগে আনন্দ নৃত্য দেখে একটা কৌতুক মনে পড়লো ... Click This Link এস্কিমো ওরফে জিয়া সাহেব আবুল হোসেন ও হাসিনার র্দূনীতিকে আড়াল না হউক হাল্কা করার জন্য তারেক রহমানের উদাহরণ টেনে আনলেন। অথচ উনার নেত্রী হাসিনা দিন বদলের ওয়াদা করে ক্ষমতায় আসছে। ২০০৮ এর নির্বাচনের পূর্বে বলেছিল যে অতীতে কি হয়েছে তা তারা টেনে আনবেন না। আর এখন পদ্মা সেতুতে ফেসে যাওয়াতে তথা সূনির্দিষ্ট বিষয়ে এড়িয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা ও ধূর্ততা করলেন এস্কিমো! আমার করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সে পিছালামী ও বিভ্রান্তিকর কথা বললেন।

আমার অভিযোগ নাকি গৎবাধা, স্রেফ পত্রিকার রিপোর্ট ইত্যাদি। এস্কিমো হাসিনার বিরুদ্ধে সরাসরি র্দূনীতি ও অন্যায়ের অভিযোগ মেনে নিবে তা হবে সূর্যের পশ্চিম দিক হতে উদয়ের মত। জ্ঞান, বিবেক ও আত্না যাদের আওয়ামী-বাকশালী ও ভারতের কাছে বন্ধক দেওয়া তাদের পক্ষে হাসিনা ও মহাজোট সরকারের র্দূীনিত ও অন্যায়ের সমালোচনা অসম্ভব ব্যাপার। অতীতে তারেক রহমান ও এরশাদের র্দূনীতির জন্য বিশ্বব্যাংক কোন প্রকল্প বাতিল করেনি। সব সময়ই বাংলাদেশকে ঋণ দিতে এক পায়ে খাড়া ছিল।

আজকে পদ্মা সেতুতে ঋণ বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃতপক্ষে হাসিনার মহাজোট সরকার ও তার অন্ধ চামচাদের মুখে বিশ্বব্যাংক জুতা মেরে দিল; Click This Link তারপরেও তাদের লজ্জা অনুশোচনা তো দূর উল্টো বিশ্বব্যাংক ও ডঃ ইউনুসকে নিয়ে পাল্টা গালি দিবে ও সমালোচনা করবে। তারা মালয়শিয়ার বাহাদুরি দেখায়। ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য মালয়শিয়া ৫-৬% সুদ নিবে। কারণ এই অর্থ তারা নিজ দেশে কোন শিল্প গড়ে তুললে তাতে তারা আরো বেশী লাভবান হবে। সে কারণে তাদের সুদের পরিমাণ যৌক্তিক।

কিন্তু র্দূভোগ পোহাবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। অতিরিক্ত অর্থের বোঝা তাদের বইতে হবে। আর শুধু পদ্মা সেতু নয় আরো রাস্তা, সেতু, রেল, বিদ্যুৎ এমনকি ঢাকার মেট্ররেল প্রকল্পও হুমকিতে পড়বে। ইতিমধ্যে বিবিয়ানায় দুটি ৪০০ করে মোট ৮০০ মেগা ওয়াটের স্থায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ঋণ বরাদ্দ বাতিল করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আওয়ামী-বাকশালীরা নিজেরা র্দূনীতি, অনিয়ম, অদক্ষতা এবং ভারতের দালালি ব্যাতীত দেশ ও জাতিকে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই দিতে পারেনি।

এই কারণেই বলেছি যে বাস্তবে পদ্মা সেতুর কি আর দরকার? মুজিব ও তার কন্যা হাসিনার অফুরন্ত স্বপ্ন দিয়েই পদ্মা নদী পার হওয়া যাবে!  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.