মানুষ হিসেবে মাথা উচুঁ করে থাকতে চাই। বর্তমান সময়ে গণতন্ত্রেও যে চর্চা চলছে তা কথাকথিত শিল্প বিপ্লবের ফলে সমস্যাজর্জরিত শাসন ব্যবস্থা। সংস্কার-উত্তরকালের নিছক সংখ্যাভিত্তিক এ গণতন্ত্রের ফলে সমাজের এক বিরাট অংশ স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র হারিয়ে শাসিত শ্রেণীতে পরিণত হচ্ছে। গণতন্ত্রে----
১। সংসদে সংখ্যালঘুর অপ্রতুল প্রতিনিধিত্ব
২।
সংখ্যাগরিষ্টের প্রভাবে সংসদে একতরফা আইন পাশ
৩। শর্তহীন সার্বজনীন ভোটাধিকার
৪। বিজ্ঞ-মূর্খ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে সমান খোটাধিকার
৫। ভোটকে অধিকার ভেবে গোপনে প্রদান করা।
প্রভৃতির অবস্থান থাকায় ইহা স্বাধীনতার প্রতি হুমকীস্বরূপ হয়ে দেখা দিচ্ছে।
প্রকৃত গণতন্ত্রে হবে---
১। সংসদে/মন্ত্রীপরিষদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব
২। আইন পাশে সকল সদস্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া
৩। শর্তযুক্ত ভোটাধিকার। যিনি দেশ/সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল নন, তিনি ভোটাধিকার প্রাপ্ত হবেন না
৪।
সমাজের উচ্চশ্রেণীর/শিক্ষিতশ্রেণীর উচ্চ ভোটাধিকার। যা সাধারণ মানের ভোটের দ্বিগুন মানের হতে পারে
৫। ভোট আমানতস্বরূপ, অধিকার নয়। ইহা গোপনে প্রদানে সংকীর্ণতা স্বর্থপরতার জন্ম দেয়, তাই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ইহা প্রকাশ্যে প্রদান করা উচিত।
গণতন্ত্র কাম্য, তবে সংখ্যালঘুর উপর সংখ্যাগুরুর স্বৈরাচার কাম্য নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।