বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের তালিকাভুক্ত বায়িং হাউজের সংখ্যা ৮শ’ ৯১টি। এর বাইরে আরো কয়েকশ বায়িং হাউস আছে। বায়িং হাউজগুলোর ৮০ থেকে ৯০ ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয় নাগরিকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর অভিজাত এলাকাগুলোতে বাড়ী ভাড়া নিয়ে বায়িং হাউসের রমরমা ব্যবসা করছে তারা। বিভিন্ন সময় পর্যটক হিসেবে এরা বাংলাদেশে এলেও আর ফিরে যায়না।
বিদেশী বায়ারদের হাতে নিয়ে তারা এক রকম জিম্মি করে ফেলেছে বাংলাদেশের পোশাক খাতকে। সূত্র আরো জানায়, দেশের প্রায় ৫ হাজার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মধ্যে বিশ্বমন্দা, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঙ্কটে দেড় হাজার কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারখানা ভারতীয়রা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্রয় করে নিয়েছে। এভাবে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের বাজার চলে যাচ্ছে ভারতের হাতে।
বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের কলোনীতে পরিণত হচ্ছে।
সঙ্গতকারণেই কিছুদিন পর পর গার্মেন্টস খাতে শ্রমিক অসন্তোষ ও শ্রমিকদের বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার যে ঘটনা ঘটছে, এর স্থায়ী সমাধান দরকার। এ জন্য সরকার-শ্রমিক-মালিক- এই তিন পক্ষকেই ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের অর্থনীতির এই প্রধান খাতটি যাতে কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।