টেক্সটাইল প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত । বিশ্বের বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের পোশাকের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সদস্যদের সামরিক পোশাক। ।
ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ডিইপিজেড) একটি কারখানার দু’টি ইউনিটে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের পোশাক তৈরি হলেও তা সাধারণের জানার বাইরেই রয়ে যায়। ।
ব্রিটিশ ও বেলজিয়ামের বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানায় ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনী ছাড়াও ব্রিটিশ পুলিশ এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশের সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরি হয়। ।
২০০১ সাল থেকে সীমিত পরিসরে ন্যাটো বাহিনীর জন্য পোশাক তৈরি শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। পর্যায়ক্রমে তাদের কাজের পরিধি বেড়ে যায়। ।
ঢাকা সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্ট সোমবার বিকেলে ডিইপিজেডের এ কারখানা পরিদর্শন করেন। ।
কারখানার একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ন্যাটো বাহিনী সহ ইউরোপীয় বাহিনীগুলোর জন্য পোশাক তৈরি করলেও প্রতিষ্ঠানটি কখনই চায়নি তাদের কাজের ধরণ ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ হোক। ।
তবে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্টের এদিনের পরিদর্শনের মাধ্যমে বিষয়টি আর গণমাধ্যমের অগোচরে থাকলো না।
যদিও তারা নাম না প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ করেছেন। ।
ইরাক যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ আর্মির জন্য এ কারখানা থেকেই এক লাখ পিস কমব্যাট ড্রেসসহ সেনাদের শর্টস, টি শার্ট ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পোশাক সরবরাহ করা হয়। ।
কারখানাটি বছরে ৪০ লাখ ডলারের সামরিক পোশাক রপ্তানি করে।
।
কারখানা ঘুরে দেখে ব্রিটিশ মন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এখানকার কাজের পরিবেশ ও গুণগত মান দেখে আমি নিশ্চিন্ত। ”
কারখানার একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে আরো বলেন, “ন্যাটো বাহিনীর জন্য পোশাক তৈরি হওয়ায় তাদের নিজেদেরও কিছু বাড়তি নিরাপত্তা-সচেতনতা বজায় রাখতে হয়। এজন্য বাইরের কোনো ব্যক্তিকেই এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ।
”
সত্যিই একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে গর্ব হয় যখন দেখি আমার দেশের টেক্সটাইল তৈরি করছে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সামরিক পোশাক । ।
Collected From
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।