সমাজ থেকে কল্পিত দ্বন্দগুলো দূর হোক। প্রথম আলোয় মি. সাখাওয়াত হোসেনের ‘আগামী দিনের সতর্কসংকেত’ লেখার প্রেক্ষিতে এই লেখা লেখা হলো। নিচে মুল লেখার লিংকটি পাবেন।
এ দেশের মানুষ ধর্মান্ধ না হলেও ধর্মের প্রতি অত্যন্ত দুর্বল। সব ধর্মাবলম্বী হাজার বছর ধরে এমনই ছিল এবং আছে।
-মি: সাখাওয়াত হোসেনের সাথে আমি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষন করে বলছি-আমাদের দেশের লোক কোনভাবেই ধর্মের প্রতি দূর্বল নয়। অনেক বেশি ধর্মান্ধ। জনগণের মনরক্ষা করার কথা অনেক শুনেছি এবং আগামীতেও শুনতে হবে। জনমন রক্ষার এমন কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপাল হয়ে গেছে। এ ধরনের পঁচা কথা শুনতে আর ভাল লাগেনা।
সাখাওয়াত হোসেনের সাথে দ্বিমত পোষন করে আমার মতের পক্ষে খুব সহজ কিছু যুক্তি তুলে ধরছি। ১) ধর্মের প্রতি সাধারণ মানুষ যদি দূর্বলই হবে, ধর্মে তো মিথ্যা বলা মহপাপ; সবাইতো তাহলে ভুরি ভুরি মিথ্যা বলে কেন। ২) ধর্মে নামাজ কায়েম করার কথা বলা হয়েছে- যারা নাস্তিক নাস্তিক বলে ব্রগারদের চৌদ্দগোষ্টি উদ্ধার করে দিচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেখুনতো তারা কয় জন কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। ৩) বিশেষ করে বিএনপি কথায় কথায় ধর্মের কথা বলে তাদের নেত্রী সহ কয়জন বিএনপি’র এমপি নামাজ পড়ে, যাকাত দেয় এবং ধর্মে যা করতে নিষেধ করেছে তা থেকে বিরত থাকে। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন (এখানে আওয়ালীগের কথা বলছিনা এই কারণে তারা কথায় কথায় ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আগে করত না যদিও এখন পালের হাওয়া বদল দেখে কিছুটা করছে)।
৪) ধর্মে দূর্ণীতি ঘুষ, সুদ এসব চরম ঘৃণ্য পাপ হিসাবে পরিগণিত কয়জন জাতীয়তাবাদী দলের এমপি কি এগুলো থেকে বিরত থেকেছে। ৫) এইবার জনগণের কথা বলি- প্রায় সবজগণই তো জানে এদেশের যারা জনপ্রতিনিধি তাদের বিরাট অংশ নানান পাপে পাপিষ্ট এগুলো জনগন জানে অথচ এই জনগণই তাদের কে ভোট দিয়ে নানান পাপ করা সুযোগ করে দিচ্ছে। ৬) যদিও আরও অনেক কিছু বলা যায় আর কথা না বাড়িয়ে সর্বশেষ কথাটা বলি সেটা হলো জনগণ যদি এতই ধর্মের প্রতি দূর্বল হবে তাহলে তারা নিজেরাই সরাসরি এত পাপের সাথে যুক্ত থাকে কেন? (যুক্ত থাকে বলছি এই যুক্তিতে জনগণ যদি নানান পাপের সাথে যুক্ত না থাকত তাহলে এদেশ বারবার বিশ্বের সবচেয়ে দূর্ণিতি পরায়ন দেশ হতো না। অতএব, এ দেশের মানুষ ধর্মান্ধ না হলেও ধর্মের প্রতি অত্যন্ত দুর্বল। এটা প্রথম শ্রেণী পঁচা কথা।
মিডিয়াতে এই কথাগুলো যারা বলে থাকে তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি তারা প্রথম শ্রেণীর ভন্ড। জনগণের মনরক্ষা করতে তারা নিজের মনের কথা বলেন না। সর্বশেষে একটা কথা বলি-উপরে যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছি তা সব দলের এমপি, মন্ত্রীদের উক্ত সমস্যা আছে।
বি.দ্র. আমি জানি প্রথম আলো আমার এই মতামত অনলাইনে মতামত কলামে প্রকাশ করবেনা। তাতে সমস্যা নেই।
আমি ব্লগ ফেসবুক নানা জায়গায় সংবাদটি শেয়ার দেব এবং তার সাথে এই লেখাটি লাগিয়ে দেব।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।