অতৃপ্ত আত্মার অনুচ্চ ক্রন্দনধ্বনি সেই কবেই মিলিয়ে গেছে স্তব্ধ বালুকাবেলায়। তারপরও স্মৃতির ঠাস বুননে একে একে গেঁথে নিয়েছি হৃদয়ের আবেগতাড়িত কখনওবা অবদমিত অসহায় ইচ্ছেগুলোকে। আর তাই,আজ আমি এখানে। জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে একবার এক খরগোশ যাচ্ছিল। যেতে যেতে সে হঠাৎ দেখলো, জঙ্গলের এক কোনে একটা সিংহ কলকেতে গাজা ভরছে! খরগোশ তাই দেখে বললো, ছিঃ ছিঃ সিংহ মামা! এইসব বাজে জিনিস খাচ্ছো! সিংহ গম্ভীর হয়ে বললো, কি করবো? আমি প্রেমে ছ্যাকা খাইছি! এটা শুনে খরগোশ বললো, প্রেমে ছ্যাকা খাওয়া কিছু হলো! তারচেয়ে আসো জঙ্গলের মধ্য দিয়ে দৌড়াই! তাতে মন ভালো হয়ে যাবে! এরপর সিংহ আর খরগোশ কিছুদুর দৌড়ে যেতেই দেখে বাঘ হিরোইন নিচ্ছে! খরগোশ বললো, এটা কি মামা! বাঘ বললো, প্রেমে একটা মারাত্নক ছ্যাকা খাইছি রে ভাগনে! তাই এসব খাই আর কি! এটা শুনে খরগোশ বলল, আরে মামা এইটা কিছু হলো! এসব বাদ দাও আসো আমরা জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কষে একটা দৌড় দেই! দেখবা মন ভালো হয়ে যাবে! বাঘ শুণে তাই করলো! সিংহ বাঘ আর খরগোশ জঙ্গলের মধ্য দিয়ে দৌড়াচ্ছে! এমন সময় তারা দেখলো, শিয়াল মদের বোতল খুলছে! তাই দেখে খরগোশে এগিয়ে গিয়ে বললো, ছিঃ ছিঃ পন্ডিত মশাই, তুমি ও মাদকে আসক্ত! আসো এই মাদক ছেড়ে আমরা সবাই জঙ্গলের মধ্য দিয়ে দৌড়াই! খরগোশের একথা শুনে শিয়াল চটে গিয়ে বললো, আমি মাদকে আসকা্ত তাতে তোমার কি! তুমি দূরে গিয়া মরো! একথা শুনে বাঘ ও সিংহ এগিয়ে এসে শিয়ালকে বললো, আরে তুমি রাগছো কেন! খরগোশ তো ভালো উপদেশই দিল! নেশা করা তো আসলেই খারাপ জিনিস! শিয়াল বলল, সেটা আমি জানি যে খরগোশ ভালো কথা বলেছে ! কিন্তু খরগোশটা তখনই ভালো উপদেশ দেয় যখন সে ইয়াবা খায়! আর যখন সে ইয়াবা খায় তখন সে বনের সবাইকে নিয়ে সারা জঙ্গল দৌড়ায়! ব্লগেও কিন্তু খরগোশের মত লোকের অভাব নেই। কিছু বুঝলেন ? বুঝলে আইস ক্রিম খান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।