আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আফগানিস্তানে ক্রিকেট

ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...। যে দেশের মানুষের হাতে থাকে রাইফেল আর গ্রেনেড। বোমা আর বুলেটে যারা জীবন বাঁধে। ক্ষনিকের আগের হাস্যজ্জ্বল পরিবার মুহুর্তেই মৃত্যুর নীরবতায় ঢাকে বোমার আঘাতে। সেখানে ক্রিকেটের উপস্থিতি কিছু মানুষকে আবার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

স্বপ্ন দেখাচ্ছে ক্রিকেটের পরাশক্তি হয়ে উঠার। সেই আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে লিখেছেন বিডিস্পোর্টসনিউজের প্রদায়ক নাঈম আহমেদ- আফগানিস্তান এর ক্রিকেট ইতিহাস বেশ পুরনো , ১৯ শতকে ইংরেজ-আফগান যুদ্ধের সময় ১৮৩৯ সালে কাবুলে সর্ব প্রথম ক্রিকেট খেলা হয়েছিল। এরপর শতবর্ষ আর ক্রিকেট খেলা হয়নি সেখানে। শতবর্ষ পর আবার ক্রিকেট ফিরে আসে দেশটিতে। ১৯৯০ সালের দিকে পাকিস্তানে অবস্থানরত আফগান উদ্বাস্তুদের মাঝে ক্রিকেট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সালে আফগান ক্রিকেট ফেডারেশন গঠিত হয়। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে পুরদমে ক্রিকেট ফিরতে শুরু করে। এবং অন্যান্য খেলার মত ক্রিকেট ও সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠে আফগানিস্তানে। ২০০১ সালে আফগানিস্তান আইসিসির অন্তর্ভুক্ত সদস্য নির্বাচিত হয় এবং ২০০৩ সালে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এর সদস্য পদ লাভ করে। ২০১১ সালে আফগানিস্তান টি - ২০ রেঙ্কিং এ নবম হয়।

২০০১ সালে প্রথম জাতীয় দল গঠিত হয়। ২০০৯ সালে তারা বিশ্বকাপ নির্বাচনী টুর্নামেন্ট খেলে। ২০১০ সালে আফগানিস্তান ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে স্কটল্যান্ড কে হারিয়ে শিরোপা অর্জন করে। আফগানিস্তান ২০১১ সালের বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও ১০১৩ সাল পর্যন্ত ৪ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ২০০৯ সালে আফগানিস্তান এসিসি টি- ২০ কাপে খুবই ভাল খেলে, তারা গ্রুপের ৫ টি ম্যাচই জিতে যায় এবং আরব আমিরাত কে ফাইনালে ৮৪ রানে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়।

এবং তারা ২০১০ সালে টি- ২০ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সি-গ্রুপে ভারত ও দক্ষিন আফ্রিকার সাথে খেলে। তাদের প্রথম ম্যাচ এ ভারতের বিপক্ষে নুর আলীর করা হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ১১৫ রান করে কিন্তু তারা ম্যাচ টি ৮ উইকেটে হেরে জায়। ২য় ম্যাচেও দক্ষিন আফ্রিকার সাথে ৫৯ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। দিন দিন তাদের খেলার মান অনেক বাড়ছে এবং তারা সামনে আর অনেক ভালো ক্রিকেট খেলবে এটা সবাই বিশ্বাস করে।

এক নজরে রেকর্ডবুকে আফগান ক্রিকেটঃ এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে- দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ : ২৯৫-৮ স্কটল্যান্ড এর বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরঃ মোহাম্মদ সেহজাদ ১১৮ রান কানাডার বিপক্ষে ক্যারিয়ার এ সর্বোচ্চ রান: মোহাম্মদ সেহজাদ ৬৫২ রান ইনিংসে সেরা বোলিং- সাপর জরদান ৪/২৪ নেদারল্যান্ড এর বিপক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটঃ সলিমুল্লাহ সেনয়ারি ২৫ উইকেট টোয়েন্টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচেঃ দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ : ১৪৭-২ আয়ারল্যান্ড এর বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর: মোহাম্মদ সেহজাদ ৬৫ রান আয়ারল্যান্ড এর বিপক্ষে ক্যারিয়ার এ সর্বোচ্চ রান : নূর আলী ১৯৯ রান ইনিংসে সেরা বোলিং : করিম সাদিক ৩/১৭ আয়ারল্যান্ড এর বিপক্ষে ক্যারিয়ার এ সর্বোচ্চ উইকেটঃ হামিদ হাসান দ্বারা ১৪ উইকেট এক নজরে আফগানিস্তান ক্রিকেটঃ আইসিসি সদস্য পদ লাভঃ ২০০১ সালে অধিনায়ক: নউরুজ মঙ্গাল কোচঃ কবির খান একদিনের ম্যাচঃ ১৮ টি (জয়- ১১টি, হার- ৭টি) টোয়েন্টি-২০ ম্যাচঃ ৮ টি (জয়- ৪টি, হার- ৪টি) ক্রিকেট ক্লাবঃ ৩২০ টি টার্ফ উইকেটঃ ৬ টি Click This Link  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.