যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যখন আগামী বছর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন বাংলাদেশ থেকে সেখানে সেনা পাঠানো ঠিক হবে না।
আমার এ মতের পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ উভয়ই দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সদস্য। সার্কের এক সদস্যরাষ্ট্র অন্য সদস্যরাষ্ট্রে সেনা পাঠাবে, তা গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করি না। দ্বিতীয়ত, দেশে ধর্মীয় সন্ত্রাস মোকাবিলায় সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটা প্রশংসনীয়।
তবে অন্য দেশে গিয়ে ধর্মীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা করার সময় ও অবকাশ আমাদের নেই।
যখন ন্যাটোভুক্ত দেশসহ অন্য দেশগুলো সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, তখন আমরাই বা কেন সেনা পাঠাতে যাব। তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজেই বলেছেন, ২০১১ সাল থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। তাহলে আমরা ওখানে কেন যাব?
আফগানিস্তানে যুদ্ধে সেনাদের যে প্রাণহানি হবে, সেটা আমাদের জনমত সহ্য করবে না। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু বন্ধুত্বের নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে পররাষ্ট্রনীতির যে ভিত্তি রচনা করেছিলেন, আমরা এখনো সেটা অনুসরণ করছি।
আফগানিস্তানে সেনা পাঠানো পররাষ্ট্রনীতির বিরোধী হবে। কাজেই আমি আশা করব, বাংলাদেশ কোনো অবস্থায়ই আফগানিস্তানে সেনা পাঠাবে না।
তার মানে এই নয় যে আফগানিস্তানের অবস্থান সম্পর্কে আমরা উদাসীন। বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আফগানিস্তানের মানব উন্নয়ন, নারী স্বাধীনতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। আফগান-সমস্যার কোনো সামরিক সমাধান নেই।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে অগ্রগতি আফগানিস্তানের সমস্যার সমাধান করবে। আফগান-সমস্যার সমাধান সময়সাপেক্ষ হবে। কিন্তু তার সমাধান সেনা পাঠানো নয়।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।