আপডেট। আপগ্রেড। লাভ হোয়াট ইউ ডু। ডু হোয়াট ইউ লাভ।
আলিফ লায়লা নাম একটি অনুষ্ঠান আগে এক সময় বাংলায় ডাব করে বিটিভিতে দেখাতো; এটিতে আরব্য রজনীর কাহিনী গুলি একটাদু'টো করে দেখানো হতো: এর ভিতর সবচাইতে লম্বা সময় ধরে চলা কাহিনীগুলির একটি আলাদীন; এটিতে মাঝেমধ্যেই আলাদীনকে চেরাগ নামের একটি বস্তু ঘঁষতে দেখা যায় যেটি ঘটে গেলে দালান-কোঁঠা কাপিয়ে দেওয়ার মতো একরকম আওয়াজের হাসি হেসে একটি জ্বিন এসে উদয় হয়-সেটির নাম কায়ামত জ্বিন; কায়ামত জ্বিনের হাসির বিষয়টি দেখেদেখে একটাসময় চিন্তা হতে থাকে এই লোক হাসেহাসির এত দম পাচ্ছে কোথায়, হাসি আলো আদৌ শেষ হবে কি হবে না ইত্যাদি, যখন মনে হতে থাকে হাসি শেষ হওয়ার বেশি সম্ভাবনা নাই তখনতখনই সেটি হাসি থামিয়ে গুমগুম আওয়াজে বলে ওঠে-হুকুম করুন মালিক; এবং আলাদীন তাকে যেটিই করতে বলে সে সেটিই করে দেয়!
আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলে এইরকম কায়ামত জ্বিন একজন আছেন-সাকিব আল হাসান! তাকে একটাকিছু হুকুম করলেই তিনি সেটি করে দেন: পার্টনারশিপ বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে, দুই ব্যাটসম্যান পিচের উপর নিজেরনিজের ঘরসংসার পাতিয়ে ফেলেন এইরকম একটা অবস্থা, একটা উইকেট খুব দরকার, সাকিব আল হাসানকে ডাকুন-তিনি এসে দিয়ে যাবেন।
ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বসে পড়ছে, একজন কারুর দাঁড়ানো দরকার: চেরাগ ঘষুন-সাকিব এসে দাঁড়িয়ে যাবেন! তিনি মোটামুটি আমাদের একজন জাতীয় নায়ক; কিন্তু সবাই এইরকম নায়ক হওয়ার মতো একটাকিছু করে দেখানোর সুযোগ পায় না-আপনি আমি আমরা যারা কম ওজনের মানুষ সাকিবদের উইকেট পাওয়া সেঞ্চুরি হাফ-সেঞ্চুরি দেখে দেখে হাতের তালি দিয়ে হাতের চামড়া পাতলা করে ফেলি তাদেরও নিশ্চয়ই একটা কিছু করে নায়ক হওয়ার ইচ্ছেমতো হয়। হয় না?
১৪ই জুন ছিল বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। আমার বরাবরই মনে হয় আহা আমার জন্মতারিখের উপর যদি দিবসমতো একটাকিছু থাকতো কি একটা ব্যাপারই না হতো, কিন্তু বুকে থাবা দিয়ে বলার মতো কাজ বেশি জানা নাই; দুই হাতের বদলী এক হাত দিয়ে মশা মারার একটা কায়দা জানি-কিন্তু দুই হাতের বদলী এক হাত দিয়ে মশা মারার জন্য নিশ্চয়ই কারো জন্মতারিখে দিবস পালন করা হয় না-সেটির জন্যে আরো বড় কিছু করার দরকার হয়; বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার মানুষটি সেটি করেছিলেন। তিনি রক্তের গ্র“পিং ব্যাপারটি আবিষ্কার করেন: তাই তার জন্মতারিখ ১৪ই জুনে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালিত পালিত হয়।
নাক-ঠোঁট-চোখ এবং চোখের উপরের ভুরু এগুলি নিয়ে কবি মানুষেরা কতকত কবিতা লিখেছেন হিসাব নাই কিন্তু এগুলি সবই চামড়ার উপরের জিনিস; চামড়ার নিচের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন হৃদপিন্ড ফুসফুস কিডনী এগুলি নিয়ে কবিতা লিখার বিষয়ে তাদের ভিতর বেশি উৎসাহ দেখা যায় না-রক্ত এরকম চামড়ার নিচের একটি জিনিস! দোকান ঘুরেঘুরে আমাদের নানাকিছু কিনে অভ্যাস-নকশা কাঁটা সালোয়ার কামিজ এইগুলি দেখলেই আমার মনে হতে থাকে আহা আমি কি জন্যে মেয়ে হয়ে জন্ম নেই নাই নিলে এই সুন্দর সুন্দর সালোয়ার কামিজগুলি পড়া যেত ইত্যাদি; সালোয়ার কামিজ-স্যুট-টাই-শাড়ি-টিশার্ট যে যেটাই পড়ি এই পোশাকগুলির পেছনে আমাদের সবারই চামড়া এবং মাংসের একটি শরীর এবং সেটিতে রক্ত থাকে, আমাদের সকালের নাস্তা দুপুরের খাওয়ার তালিকায় যেই জিনিসগুলিই থাকুক আমাদের সবারই শরীরের একেকটা জায়গা কেঁটে গেলে রক্তই বাহির হয়; এবং দুবাই নাকি মেক্সিকো না উগান্ডায় বাস করি সেটি বিষয় না-আমাদের সবার রক্তই লাল: নীল-হলুদ নাহয় কমলা না! এইটুকু ঠিক থাকলেও রক্তের অল্প কয়টা দিক অবশ্যিই আছে যেইগুলি একেকজনের আলদা হয়, সেগুলির একটি রক্তের গ্র“প; কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার ভদ্রলোকটি এই রক্তের গ্র“পিংয়ের এই বিষয়টি প্রথম আবিষ্কার করেন।
দুনিয়ায় পাঠানোর ঠিক আগেআগে স্রষ্টা এবং মানুষের ভিতর যদি চুক্তিপত্র সই করার একটি বিষয় থাকতো তাহলে সেটিতে স্রষ্টা যেটি লিখতেন সেটি নিশ্চয়ই একটুএকটু এই রকম: মানুষ তোমাকে শিরা-ধমনী-হাড়-মাংসের এই জটিল একটি শরীর দেয়া হচ্ছে-এটির নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টেকার একটি মেয়াদ আছে যেটিতে যেন কোন ওলটপালট আনা না লাগে সেইজন্যে তোমার কিছু শর্ত মেনে চলা লাগবে-এর ভিতর শরীরে কাঁটাছেঁড়া জখম এবং অসুখ-বিসুখ দাঁড়া না হতে দেওয়ার বিষয়টি একটি; নানা কারনেই মানুষ সেই শর্ত মেনে চলতে পারে না: এইরকম সময়গুলির ভিতর কয়েকটিতে যেটির দরকার পড়ে সেটি হলো বাহিরের কোন উৎস থেকে রক্ত প্রদান। একটি মানুষ তার শরীরে নিশ্চয়ই জেব্রার শরীর থেকে রক্ত দেওয়া হবে না, সেটি দেওয়ার জন্যে আরেকজন মানুষের দরকার পড়ে। এবং এ দুই জনের ভেতর যে জিনিসটি মিলে যাওয়া লাগে সেটি হলো রক্তের গ্র“প।
একটি ছোট্ট কাহিনী।
আমার খুব কাছের একটি বন্ধুর বিচিত্র একটি অভ্যাস, তাকে যেটিযেটি করতে বলা হয় সে শুধু সেইগুলিই না করে আরো অন্য অন্য নানাকিছু করে বসে থাকে; যেমন তাকে বাসার পাশের মুদিদোকান থেকে এক হালি সাগর কলা আটটা ডিম কিনে আনতে বলা হলো, তাকে সেইগুলির সাথেসাথে এক বয়াম বিস্কুট একটা মিল্কভিটা একটা ফুঁ দিলে লম্বা হয়ে গিয়ে আওয়াজ করে ওঠে এইরকম বাঁশি নিয়ে ফেরত আসতে দেখা যাবে-শেষেরটা কিজন্যে আনা হয়েছে সে নিজে পর্যন্ত ভালো বলতে পারে না! গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সেইখানে বেড়াতে গিয়ে কি কি করা হবে সেটির তার তালিকামতো করা ছিল-একসিডেন্ট জিনিসটি তালিকায় ছিলনা; যেটিযেটি করার কথা তার সেটি থেকে দুই ইঞ্চি বেশি করে অভ্যাস-তাই সে ফেরত আসার সময় করে বসল একসিডেন্ট! তাকে যে জায়গায় ভর্তি করা হয়ে সেটি ময়মনসিংহ মেডিকেল, বন্ধুদের ভিতর কে একজন ময়মনসিংহ মেডিকেলে গিয়ে ভুত দেখে এসেছে, জীবিত অবস্থায় তো বটেই মৃত অবস্থাতেও নাকি ময়মনসিংহ মেডিকেলে যাওয়া ঠিক না এইরকম একটি কথা নাকি প্রচলিত আছে; আমরা একটু একটু আহত বন্ধুকে দেখার জন্য এবং তারচাইতেও বেশি ভুত দেখার জন্য হইচই করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চলে যাই! সেইখানে গিয়ে দেখা গেল বন্ধুটির একটি পা ব্যান্ডেজে বাঁধিয়ে সেটি পুঁটুলি করে বেড থেকে একটু উপরে ঝুলিয়ে রাখা-একডিসেন্টের পর সেটিতে নিশ্চয়ই চুম্বকের মতো একটাকিছু অদৃশ্য শক্তি দাঁড়া হয়ে গেছে কারন সেটির কাছে গিয়ে একজন কেউ দাঁড়া হলেই নাকি এটি ব্যাথা করে ওঠে! শুধু সেটিই না তার মাথার চামড়ায় একটা কি সেলাই দেওয়া হয়েছে-সেইজন্যেই মাথার চুল দেওয়া হয়েছে ফেলে, যারা দেখতে গিয়েছি তাদের ভিতর একজন বলল তার পকেটে চিরুনী আছে চিরুনী লাগবে কি না আঁচড়ে নিলে ভালো দেখাতো ইত্যাদি; কে একজন বলল বন্ধুটিকে ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো দেখাচ্ছে; কি একটা সিনেমার মারপিট করে ইলিয়াস কাঞ্চনের মুখের নানান জায়গায় ব্যান্ডেজ বাঁধানো এইসময় তাকে নাকি দেখতে এই রকমই লাগছিল; আরেকজন বললো তোর জন্য একবাক্স চকোলেট নিয়ে এসেছিলাম আসার সময় খেয়ে ফেলেছি এই ধর খালি বাক্স ইত্যাদি; আমি একটু অবাক মতো হয়ে যাই-এইরকম সময়ে হাসিঠাট্টার বিষয়টি যে কেবল খুব কাচের বন্ধুবান্ধবদের ভিতরেই ঘটতে পারে সেটি নিয়ে কোন সন্দেহ নাই-কষ্টের সময় বিপদের সময়গুলিতে হাসিতামাশা করলে পুরো ব্যাপারটুকু হালকা হয়ে কীকরে পানির মতো পাতলা হয়ে যায় বন্ধুটির সময় কেমন কাঁটছে সেটির জবাবে সে মুখচোখে গভীর একটা দু:খমত ভাব নিয়ে এসে উদাস গলায় কি বলতে থাকে, দলের ভিতর একজন হাতে কিল মেরে বলে কি বলিস এত সুন্দর নার্স-পারলে আমি নিজে একসিডেন্ট করে পা ভাঙ্গিয়ে এই হসপিটালে ভর্তি হয়ে যাই! আরও কি কি বলা হচ্ছে এইসময় রাজ-রাজরারা যে রকম মুকুট পড়েন সেই রকম উঁচু একটি সাদা টুপি পড়া নার্সকে মুখে বেশ একটু আশংকা নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়, তিনি একটু থেমে জিজ্ঞেস করেন আমাদের ভিতর কারও রক্তের গ্র“প বি নেগেটিভ কি না: একজন ছোট বাচ্চা তার জন্যে বি নেগেটিভ রক্ত দরকার-হাসপাতালে বি নেগেটিভ রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না এবং কিছু সময়ের ভিতর রক্ত পাওয়া না গেলে শিশুটিকে খুব সম্ভব বাঁচানো যাবে না।
আমাদের একজনের রক্তের গ্র“প বি নেগেটিভ: সেটি সবার না জানার কোন কারন নাই-বি নেগেটিভ রক্তের মানুষজন নাকি আত্মত্যাগীধরন হয়-এটি বলেবলে সে অনেক কয়বারই আমাদের কানের পোকা বাহির করে দিয়েছে, যে কয় বৎসর তার সাথে চলা ফেরা তাকে কপালের দুইপাশের চুল ছাড়া বেশি কিছু ত্যাগ করতে দেখা যায় নাই সেটি অবশ্যি আলদা বিষয়! মুশকিল হলো এই বন্ধুটি জীবনে রক্ত দেয় নাই এবং সুঁইধরন জিনিসগুলি নাকি তার কাছে করাত নাহয় তরোয়ালের মতো লাগে; বন্ধুদের ভিতর তার কথায় পাত্তা দেয়ার বেশি উৎসাহ দেখা যায় না তারা পারলে তাকে মারপিট করে রক্ত দেওয়ার জন্যে পাঠিয়ে দেয় এইরকম একটা অবস্থা; এর পরেপরেও তার ভিতর একটু যেইটুকু দ্বিধামতো ছিল নার্স রক্ত দানের প্রক্রিয়াটুকু বুঝিয়ে দেয় যে সেটি নাই হয়ে যায়; নার্স শুধু যে রক্তই না-চোখ কিডনী এইধরন অঙ্গ-প্রতঙ্গও যে মৃত্যুর পরে দান করে দিয়ে যায় সেটি বেশ ভালভাবে বুঝিয়ে দেয়; শুনেশুনে বন্ধুদের ভিতর একজন তখনতখনই নিজের চোখ কিডনী মাথার মগজ ইত্যাদি মরণোত্তর দান করে যাবে এই রকম একটা সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলল; নার্স একটু হেসে জানিয়ে দেয় মাথার মগজ এক শরীর থেকে আরেক শরীরে আনানেয়ার বিষয়টি এখনো আবিষ্কার হয় নাই-হয়ে গেলে বন্ধুটির কথা অবশ্যই সবার আগে ভাবা হবে!
রক্ত জিনিসটি নিশ্চয়ই ব্লু-টুথ দিয়ে শরীর থেকে শরীরে পাঠিয়ে দেয়ার উপায় নাই: সেটির জন্যে বন্ধুটির হাত থেকে আয়োজন করে রক্ত নেয়া হলো, রক্ত নেয়ার পুরো সময়টুকু আমরা তাকে নানাভাবে উৎসাহ দিতে থাকি, বন্ধুটি বলতে থাকে এখনএখনই যদি তার একটাকিছু হয়ে যায় সেইক্ষেত্রে তার মৃত্যুর জন্যে কারও দায় নাই, তার আব্বা আম্মাকে যেন বলে দেয়া হয় সে তাদেরকে ভালবাসে ইত্যাদি, এবং রক্ত নেয়ার বিষয়টুকু হয়ে যেতে সে আবিষ্কার করলো সেটি মোটেও তার জন্যে কোন বিপদ নিয়ে আসে নাই-তার ভয়ের বেশিকিছু কারন একবারেই ছিলনা! সবচাইতে মজার বিষয়টি ঘটল একবারে শেষে, এইসময় বন্ধুটিকে একপ্যাকেট জ্যুস ধরিয়ে দেয়া হয়েছে সে সেটি টেনেটেনে খাচ্ছে বিদঘুঁটে আওয়াজ; পাশে হাঁটুর সমান বয়স একটি ছেলে বসা-কমিক বই নিয়ে সেটি পড়ছে-মলাটের সামনে কোমড়ে দুই হাত দিয়ে দাঁড়ানো ফোলাবুকের সুপারম্যানন্ট; বন্ধুটি কি একটা চিন্তা করে বলে, কি জানিস, আমি হয়তো আট পরীক্ষায় নয়বার ফেইল মারি, গোলপোষ্টে দাঁড়া হলে আমার পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল হয়ে যায়, বড়মুখ করে বলা যায় এইরকম কোন গুণই আমার নাই। কিন্তু কি জানিস-আজকে আমি একটা মানুষের জান বাঁচিয়েছি-একটা শিশু-বড় হয়ে সে হয়তো অনেক বড় কিছু হবে, হয়তো বিজ্ঞানী হয়ে অনেক একটা বড় কিছু আবিষ্কার করবে, নাহয় অনেক নামকরা ক্রিকেটার হবে, নাহয় অনেক বড় একজন রাজনীতিবিদ হবে-পুরো দেশ পাল্টে দিবে!
বন্ধুদের ভিতর একজন বলল, এইটাও হতে পারে নামকরা সন্ত্রাসী হয়ে গেল। ঘন্টায় খুন করে দুইটা। সবাই চোখ ঘুরিয়ে তার দিকে তাকায় একটু, রক্ত দিয়েছে বন্ধুটি বলল, যেটাই হোক আমি অনেকগুলি সম্ভাবনার একটা জীবনকে একটু আগে পুরোপুরি নিজের চেষ্টায় বাঁচিয়েছি! (আঙ্গুল দিয়ে কমিক বইয়ের মলাটের সুপারম্যানটিকে দেখিয়ে) আমার নিজেকে এইরকম লাগছে-সুপারম্যানের মতো-নায়কধরন একটা কিছু!
রক্ত দিন, জীবন বাঁচান। বি এ হিরো।
এইবৎসরের বিশ্বরক্ত দাতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল অনেকটা এইরকমই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।