আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশুর ধর্ম জিজ্ঞেস করলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

যখন আমি কোন সমস্যায় পড়ি তখনি এখানে লিখি Click This Link আমি সচরাচর ব্লগে কোন দরকার না হলে লেখিনা। কিন্তু আজকে এই খবরটা পড়ে না লিখে আর থাকতে পারলামনা। আমিতো ঠিক বুঝলামনা যে এটা কেমন কথা? আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কে সফল মন্ত্রীদের মধ্যে একজন বলে ধরা হয়। আমিও তাকে শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু এই খবরটা পড়ার পড়তো তা তলানিতে গিয়ে ঠেকল।

আজ দুপুরে বাংলাদেশ নমঃশূদ্র কল্যাণ পরিষদ, সিলেট বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন কে কোন ধর্মের—সেটা দেখার বিষয় নয়। সবাই নিজ ধর্ম পালন করবে। এ দেশ আমাদের সবার। এখানে কোনো পার্থক্য রাখা যাবে না।

আচ্ছা আমি কোন ধর্মের এটা জিজ্ঞাসা করলে কি আমার ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি করা হবে? কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তিনি বক্তব্যটা দিয়েছেন নমঃশূদ্র কল্যাণ পরিষদে। যেটার নাম শুনেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে সেটা হিন্দু দের জন্য। সেখানে গিযে তিনি ধর্ম নিরপেক্ষতার গান গাইছেন। কিন্তু সেটা যে ধর্ম নিরপেক্ষতা না ইসলামের বিরুদ্ধে বলছেন সেটা ওনার পরবর্তী কথাতেই বোঝা যায়। সেখানে তিনি বলেছেনঃ হিন্দু ফান্ড করে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্যও বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে আচ্ছা ফান্ডের নাম হিন্দু ফান্ড হল কেন? সেই ফান্ড কি শুধু হিন্দুদের জন্য প্রযোজ্য? যদি তাই হয় তাহলে সেখানে কি ‍বিভাজন করা হলনা? এমন না যে আমাদের দেশের হিন্দুরা পড়াশোনার চান্স পায়না।

তারপরও যদি এমন হয় যে হিন্দুদের বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হল। সেই বৃত্তি পাবার জন্য কারা যোগ্য তা তো শিক্ষকরাই নির্ধারন করবেন। আর তা নির্ধারন করার জন্য শিক্ষকের কিন্তু ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে সে কোন ধর্মের? আর যদি এমন হয় যে সেই বৃত্তি সবার জন্য প্রযোজ্য তাহলে কেন সেই বৃত্তির নাম হিন্দু ফান্ড রাখা হবে? তাই আমার মনে হয় যে এই সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতা চায়না। চায় ইসলাম বিহীন বাংলাদেশ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.