বিকাশজনিত সমস্যায় কোথায় কোথায় সহায়তা পেতে পারেন
শিশু বিকাশ ও চিকিৎসা ক্লিনিক (চাইল্ড গাইডেন্স ক্লিনিক)
প্রতি বুধবার, সকাল ৯ টা হতে বেলা ১টা।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
ফোনঃ ৯১৫৬৫৩১ ই-মেইলঃ
মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
সকল সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
বিভিন্ন বেসরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসমূহ।
শিশু বিকাশ কেন্দ্র
ঢাকা শিশু হাসপাতাল, আগারগাঁও, ঢাকা।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন
ইস্কাটন, ঢাকা।
সাহিক (শ্রবণজনিত ও কথাবলার সমস্যার জন্য)
আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের পিছনে, মহাখালী,ঢাকা।
শিশুর পুষ্টি উপাদান
উপাদান
প্রোটিন
কোনকোন খাদ্যে আছে
দুধ, পনির, ডিম, মাছ, মাংস, শস্যদানা, বাদাম, ডাল, মটরশুঁটি ইত্যাদি
কার্যকারিতা
প্রধাণত শরীর গঠন করে
উপাদান
কার্বোহাইড্রেট
কোনকোন খাদ্যে আছে
চাল, গম, আলু, শস্যদানা, তাজা ফল, চিনি ইত্যাদি
কার্যকারিতা
প্রধাণত দেহে শক্তি সরবরাহ করে
উপাদান
ফ্যাট (স্নেহ)
কোনকোন খাদ্যে আছে
মাখন, ভোজ্যতেল, ডিম, বাদাম, ক্রিম ইত্যাদি
কার্যকারিতা
প্রধাণত দেহে তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে
ভিটামিন
এ, ডি, ই,
বি-কমপ্লেক্স, সি
কোনকোন খাদ্যে আছে
মাছের কলিজার তেল, দুধ, ডিম, মাখন, ঘি, সবুজ শাকশব্জী,আম, পেঁপে, বনস্পতি তেল, গোটা শস্যদানা, লিভার, মাংস, কমলা, মুসাম্বি, গাজর, লেবু, আমলকি, টমেটো, আঙুর, বাঁধাকপি ইত্যাদি।
কার্যকারিতা
চোখ, হাড়, দাঁত, রক্ত সঞ্চালন, ক্ষুদাবৃদ্ধি, বুদ্ধিবিকাশ, ত্বক, রক্ত সংবহনতন্ত্র ইত্যাদির গঠন ও কার্যাবলীর জন্য জরুরি।
ক্যালসিয়াম
কোনকোন খাদ্যে আছে
পনির, দুধ, গাঢ় সবুজ শাকশব্জী, গোটা শস্য, ডাল ইত্যাদি
কার্যকারিতা
হাড় ও দাঁতের গঠনের জন্য জরুরি
আয়রণ
কোনকোন খাদ্যে আছে
কচু, কাঁচকলা, মাংস, লিভার, শাকশব্জী ইত্যাদি
কার্যকারিতা
রক্ত গঠনে জরুরি ও রক্তাল্পতা (এনিমিয়া) প্রতিরোধ করে
শিশুর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন
৬ মাস বয়সের পর থেকেই মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুর বাড়তি শক্তি ও অন্যান্য চাহিদা পূরণ করার জন্য সুষম পুষ্টিযুক্ত আধাশক্ত পরিপূরক খাবার জরুরি।
প্রথম ধাপঃ
৬ মাস বয়সের পর থেকেই মায়ের দুধের পাশাপাশি বাচ্চা মোলায়েম, সুস্বাদু এবং সহজে হজমযোগ্য আধাশক্ত খাবার শুরু করতে পারে। যেমন সুজি,ডাল, ফলের রস, ডিমের কুসুম, নরম চটকানো জাউ ইত্যাদি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
৮ মাস বয়সের পর যখন বাচ্চার মাড়ি শক্ত হয় এবং দু একটি দাঁত উঠতে থাকে, তখনই ডাল শাকশব্জী এর পাশাপাশি সহজপাচ্য মাছ বা নরম মুরগীর মাংসযুক্ত জাউভাত দেয়া যায়। এতে করে বাচ্চা নতুন স্বাদ উপভোগ করার সাথে সাথে চিবানো শিখবে।
তৃতীয় ধাপঃ
১০ মাস বয়সের বাচ্চা চিবিয়ে মজা করে খাবার খেতে চায়। তখন শিশুকে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে যুক্ত খাবারের পাশাপাশি ফল, শাকশব্জী, ডিমের অংশ বিশেষ দেয়া যেতে পারে। ধীরে ধীরে তাকে বাসার সাধারণ খাবারে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।
শিশুকে কৃত্রিম রংযুক্ত খাবার ও পানীয় দেয়া থেকে বিরতথাকুন। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, রঙিন খাবার, ভাজা স্ন্যাক্স (প্যাকেটের চিপস, ডিপ ফ্রাই মুরগী ইত্যাদি) এড়িয়ে চলতে শিশুকে উৎসাহিত করুন।
প্রয়োজনে বাসায় আলু ভাজা (চিপস জাতীয় খাদ্য) তৈরি করে দিন। অতিরিক্ত চকলেট ও রাসায়নিক পদার্থযুক্ত কৃত্রিম খাবার শিশুকে দেবেন না। শিশুকে বিভিন্ন মৌসুমী ফল খেতে উৎসাহিত করুন।
বয়স অনুযায়ী শিশুর ওজন (০-৩ বছর)*
বয়স ছেলে মেয়ে
জন্মের পর ≥২.৫-৪.২ কেজি ≥২.৫-৪.০ কেজি
১ম মাস ৩.২-৫.৪ কেজি ৩.০-৫.০ কেজি
৬ষ্ঠ মাস ৬.৪-৯.৫ কেজি ৫.৮-৮.৬ কেজি
১২ মাস ৮.৬-১২.২ কেজি ৮.০-১১.৪ কেজি
১৮ মাস ৯.৮-১৪.০ কেজি ৯.২-১৩.২ কেজি
২৪ মাস ১০.৬-১৫.২ কেজি ১০.২-১৪.৬ কেজি
৩০ মাস ১১.৪-১৬.২ কেজি ১০.৯-১৫.৯ কেজি
৩৬ মাস ১২.০-১৭.৪ কেজি ১১.৬-১৭.২ কেজি
শিশুর বিকাশ ও শিশুর মনঃসামাজিক সমস্যা-১
শিশুর বিকাশ ও শিশুর মনঃসামাজিক সমস্যা-২
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।