চাচা চৌধুরীর মগজ কম্পুটারের চেয়েও প্রখর
বন্দরনগরীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে সিটি বাসের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিক নিহত হওয়ার ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এলে তাদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সেসময় পুলিশের গুলিতে আহত এক নারী শ্রমিককে দেখা যাচ্ছে।
বন্দরনগরীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে সিটি বাসের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় ডবলমুরিং থানাধীন শেখ মুজিব সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আনোয়ারা ড্রেস মেকার্সের সুইং অপারেটর এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা বাসটি আটকে ওই সড়কের টহল পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু পুলিশ এগিয়ে না আসায় বাসের চালক ও হেল্পার পালিয়ে যান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করেন।
শ্রমিক শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক মারা গেছে আর পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। তারা আমাদের দু’জন মেয়েকে আটকে রেখেছে।
আমাদের গুলি করেছে। ’
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত শ্রমিক সুমি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুলিশ আমাদের আটক করে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেছে। ’
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, উত্তেজিত শ্রমিকদের থামাতে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে কোনো রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়নি। গুলিবর্ষণের কোনো ঘটনাও ঘটেনি।
এরপর বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশের গাড়িসহ ৭ থেকে ৮টি গাড়ি ভাঙচুর ও ২টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। তারা প্রধান সড়ক সংলগ্ন হোটেল অ্যামব্রোশিয়া, জীবন বীমা ভবনসহ কয়েকটি ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বেপরোয়া শ্রমিকরা জীবন বীমা কার্যালয়ে গিয়েও ভাঙচুর চালায়। এ সময় দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে ।
ছবি এবং খবর- বাংলানিউজ২৪ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।