আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিজিটাল বলদ নবীর তিন সফর এক সেলিব্রেটি ব্লগারের ল্যাঞ্জা কট মুলক পোষ্ট

আমাকে আমার মত থাকতে দাও ,আমি নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছি। বাংলাদেশের একজন সেলিব্রেটির নাম বলুন? প্রত্যেক শ্রেণীর একটি করে সেলিব্রেটি ঠিক করা আছে। আপনার আছে, আমার আছে। কিশোর+কিশোরী+তরুণ+তরুণীর কাছে সেলিব্রেটি জাস্টিন বিবার । আমি জাস্টিন বিবারের নাম কেবল শুনে এসেছি- চর্মচক্ষে দেখার সাধ হলো দু'দিন আগে, একটা তরুণীর কমেন্ট দেখে।

দেখুন কত্তবড় ক্ষ্যাত আমি। লোকমুখে শুনে এত বিশাল কামেল এক লোকের পরিচয় জানা লাগলো। বেবী বেবী বলে একটা গান আছে সম্ভবত বিবারের- সেটা শুনতে গিয়ে নাকে সেই তরুণী প্রায় তার ভার্জিনিটি হারিয়ে ফেলেছিলো! জাস্টিন বিবারের মতো এত্ত গুণি একজন সেলিব্রেটিকে জ্ঞানে রাখলাম না ভেবে অনুতাপ করলাম কিছুক্ষন। অনুতাপ সন্তাপে রূপ নিলো জোকস্ টা শুনে- এক কিশোর বালক সন্ধ্যা সন্ধ্যা দোর লাগিয়ে বসে মহাপ্রস্তুতি নিয়ে মাস্টারবেট করছে। মা সোমত্ত ছেলের অবেলায় দরজা বন্ধ দেখে ভয় খেলেন, দরজায় দড়াম দড়াম করে হাতুরি পেটা শব্দ করে ছেলের সংজ্ঞা ফিরিয়ে আনলেন।

ছেলে নিতান্ত বিরক্ত হয়ে দরজা মেলে মাকে জিজ্ঞাসা করলো, কি ব্যাপার? মা বললো, তুমি কি করছিলে ভিতরে? ছেলে নিঃসঙ্কোচে জবাব দিলো, মাস্টারবেট করছিলাম। মা স্বস্তির শ্বাস ফেলে বলল, থ্যাঙ্ক গড! আমি ভাবছিলাম তুমি জাস্টিন বিবার শুনছিলে। আমার কাছে সেলিব্রেটি হলো আসিফ মহিউদ্দীন। জনগনের কাছেও তাই। তার ফেসবুক প্রোফাইল ভিজিট করা মানে শিক্ষাসফরে যাওয়া- পূঁজিবাদ, চাষাবাদ, আবাদ, সমাজতন্ত্র, ঘুড়ি ওড়ানো, নখ কাটা, পেপসি খাওয়া কত্তো কি শিখা যায়....... শুরুতে নবীর বয়ান দিয়েই শুরু করি।

প্রথম কথা, আসিফ মহিউদ্দীন ফেসবুকে ইদানিং দাবী করেছেন- একমাত্র পাড় আওয়ামী মনা, ছাত্রলীগ, বিএনপি, জামাত-শিবির ছাগু, ওড়না পেইজের ভোক্তা শ্রেণী, ধর্ম ছাগু, মৌলবাদী আস্তিক, ভন্ড, ঘাড় ত্যাড়া, যাদের আসিফ লাইক করেন না, যাদের আসিফ পোক দেন না, যারা আসিফ মহিউদ্দীনের কাছে পোন্দানি খেয়েছেন- এরাই কেবল মাত্র ব্লগে ফেসবুকে আসিফ মহিউদ্দীনের নামে সমালোচনা করে বেড়ান। এবং এটাও সাথে যোগ করে দিয়েছেন যে- এদের সবার বিরুদ্ধে বর্তমান হালের একমাত্র প্রতিবাদী কন্ঠটি যেহেতু আসিফ মহিউদ্দীন তাই এরা রাজ্যের কাজ কাম সিঁকেয় তুলে- সবাই একজোট হয়ে আসিফ নামক পাগলা ষাড় গরুকে থামানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত। আসিফ মহিউদ্দীনের সাথে আন্তর্জালিক পরিচয়ের পর আজ পর্যন্ত আমি তেমন কোন লেখাই লিখি নি তাকে নিয়ে, বলতে গেলে এটাই প্রথম- তাই চাটা বাহিনী [একটা বিশেষ বাহিনী, এদের অপর নাম আসিফ কা ইজ্জত রক্ষা কমিটি] যদি আমাকে আসিফ মহিউদ্দীনের উপরোক্ত উল্লেখ্য দলগুলোর মাঝে ঠিক কোন দলে ফেলা যায় তা নিয়ে সন্দেহে ভোগেন- প্লিজ যে কোন একটিতে ফেলে দিন, আমি মাইন্ড খাবো না। আমি ডোন্ট মাইন্ড ফ্যামিলির ছেলে। দ্বিতীয় কথা, পোস্টের শিরোনামের ডিজিটাল বলদ নবীর তর্জমা বলে নেই- আসিফ মহিউদ্দীন ডিবির হাতে কট্ খাবার আগে আর পরে তার বিরাট একটা বিবর্তন ঘটে।

যে সে এলেবেলে মার্কা বিবর্তন না- একেবারে চোর থেকে নবী মার্কা বিবর্তন। আসিফ মহিউদ্দীনের ব্লগিং জীবনে এই ডিবি একটা টার্নিং পয়েন্ট। পুলিশ-জেল বিষয়াদি কেবলমাত্র রাজনৈতিক চরিত্রগুলোর ক্যারিয়ার পোক্ত করার সহযোগ উপাদান নয়, এটা এই ব্লগারটির ক্ষেত্রেও। আমাদের বাংলা ব্লগে আরো দুয়েকজন ব্যক্তি বিশেষ রয়েছেন যারা পুলিশ নামক ভয়ঙ্কর প্রাণীটির দর্শন করে এসেছেন তাদের আস্তানায় গিয়ে। কিন্তু কপাল ফেরে তাদের পুলিশ-ডিবি-হাজত দর্শন যথার্থ আলোচিত হয় নি, হলে আজকে নবীর সংখ্যা কিছু বৃদ্ধি পেত।

লেখার বিষয়বস্তু এটা নয়- তাই প্রসঙ্গান্তর না করে বাদ দিচ্ছি এটা। এই ডিবি ঘটনায় বিখ্যাত হয়ে উঠা নবীকে ডিবি নবী বলে ডাকা যায়। ডিবি নবী মানে ডিজিটাল বলদ নবী। আর ডিবি নবীর ইজ্জত রক্ষা বাহিনী- চাটা বাহিনী। তৃতীয় একটা কথা আছে।

যার কারনে এই পোস্ট প্রসব। সেই কথাটা সবার শেষে রাখছি। মাঝখানের কথাগুলো বলি এবার। মে মাসের ত্রিশ তারিখে আসিফ মহিউদ্দীন একটা স্যাটায়ার লিখলেন। প্রথমে নিশ্চিত ছিলাম না- এটা স্যাটায়ার কিনা।

ব্লগের সেই প্রাতঃকালীন সময়ে ব্লগে স্যাটায়ার লিখা হতো আদম-ঈশ্বর নিয়ে, পাশের বাসার ভাবীকে নিয়ে, এরশাদাদুকে নিয়ে, ব্রাত্য রাইসুকে নিয়ে, ত্রিভুজকে নিয়ে, মামোকে নিয়ে। এখন লেখা হয় কসমোলজি, স্পীডব্রেকার, কাঠপেন্সিলের পিছনের রাবার, নেইলকাটার, ঘুড়ি, জাঙ্গিয়া, হাগু ইত্যাদি নিয়ে। উত্তরাধুনিক স্যাটায়ারে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আসিফ মহিউদ্দীন- তিনি কেবল গণহারে আমি আমি আমি আমি করতে থাকেন, সেটাতে অভিনবত্ব দিয়েছে একদল ফেসবুকনিবাসী- এদের আমি চাটাবাহিনী বলি, এরা স্যাটায়ার লিখেন আপনি আপনি আপনি আপনি বলে। যেহেতু উত্তরাধুনিক, বিধায় স্বভাবগত নিয়মে সবার অ্যান্টেনায় সেগুলো আটকায় না। আমার অ্যান্টেনাতেও আটকায় না।

আমি আসিফ মহিউদ্দীনের স্যাটায়ারের বিশেষ ভক্ত। উনি প্রায়ই কিছু দুর্দান্ত স্যাটায়ার দেন। বস্তুবাদী স্যাটায়ার- দশ ছটাক ভাববাদের সাথে আধাকিলো বস্তুবাদ, তিন টন 'আমি'। শুনে হাসতে হাসতে মুতে ধরে যায়। ইদানিং উনার স্ট্যাটাস পড়তে গেলেই আমি মুতে দেই।

আমি ছাড়াও আরো অনেকে উনার স্যাটায়ারের ভক্ত। রিজেন্সিতে ইফতার করে আর কালাপানি খেয়ে, মাসে সিগারেটের পিছনে হাজার তিনেক খরচ করে সাম্যবাদী আসিফ মহিউদ্দীন যখন ভুখা হাড্ডিসার ছেলের ছবি আপলোড করে বলেন, 'সাম্যবাদের জয়গান আমি গেয়েই যাবো'- তখন কানাঘুষা শুনি মার্ক্স-লেনিনের কঙ্কাল কবর থেকে উঠে এসে মুতে দিয়েছে। নিশ্চিত হই অ্যান্টেনা একটা আসিফ মহিউদ্দীনেরও আছে- ফেসবুকে ঢোকার আগে উনি সেটা মাথার উপর টাঙ্গিয়ে দেন গায়ে যাতে মুতের ছিটা না লাগে। মাথার উপর দিয়ে এরকম উড়ে যাওয়া একটা স্যাটায়ার খট্ করে আটকে গেল শাহাবাগ, বিপ্লব, মুক্তমনা, উজবুক আর কতগুলো আমি আমি শুনে। একটু ভালো মতো নাকের উপর চশমা আঁটিয়েই টের পেলাম এটি ফেসবুক বিপ্লবীর স্ট্যাটাস।

এই স্ট্যাটাসের তর্জমা বর্ননা করার আগে জানিয়ে নেই আসিফ মহিউদ্দীনের ব্লগিং বয়স প্রায় পাঁচ বছরের উপর হতে চলল। এই পর্যন্ত অনেক লেখা তিনি লিখেছেন। দিনরাত হাজার হাজার অক্ষর যন্ত্রনায় ক্লান্ত করেছেন ল্যাপটপ কে, এতগুলো জ্ঞান-বিজ্ঞান উদারহস্তে ঢেলেছেন ব্লগে ব্লগে- যা চাটাবাহিনীর কেউও পড়ে শেষ করতে পারে নি আমার জানামতে। সেই অ্যান্টেনা দিয়ে পিটিয়ে আধমরা করে ছেড়েছেন কতগুলোকে। মৌলবাদি-আস্তিক পুন্দিয়ে সবাইকে ধর্মছাগু বানিয়ে দিয়েছেন।

ব্লগের সবচেয়ে বড় সাফল্যটি এসেছে তার হাত ধরে- ত্রিভুজ। ত্রিভুজ আসিফ মহিউদ্দীনের পোন্দানি খেয়ে সহ্য করতে না পেরে বিয়ে করে ফেলেছে। ট্র্যাজিডি আর কাকে বলে!!! সামহোয়্যারে আসিফ মহিউদ্দীন লেখালেখি করেন ২০১০ সালের জানুয়ারী মাস থেকে। এর আগে জেজে ব্লগে রেজিঃস্ট্রেশন করেন ২০০৭ সালে। সেখানে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে ধর্ম-কর্ম নিয়ে লিখে।

এই নিয়ে তিনি নিজেও বলেছেন> স্ক্রীনশট লিঙ্ক >http://2.bp.blogspot.com/-tFgQ69g5y1I/T9TbUzYIR7I/AAAAAAAABj4/Yxjq9Ld0SWQ/s1600/asifer+id.png আসিফ মহিউদ্দীন সম্পর্কে অন্যেরা কি বলে তাতে আমার মাথাব্যাথা কম। আসিফ মহিউদ্দীন নিজেকে কিভাবে ব্যাখ্যা করেন, তার লেখা নিয়ে তার নিজের ধ্যান-ধারনা কি, তিনি কাদের জন্য লিখেন, তিনি কি উদ্দেশ্যে লিখেন- এগুলো সম্পর্কে তিনি কি বলেন আমার আগ্রহ সেই বিষয়ে। তার এক লেখায় তিনি তার নিজের লেখার গড়ন উদ্দেশ্য নিয়ে সামান্য বলেছিলেন এই ভাবে-[স্ক্রিনশট লিঙ্ক]http://1.bp.blogspot.com/-9-qqJiYcthE/T9TaDqvulJI/AAAAAAAABjw/tsd7lu2po_I/s1600/--------+---------+-------+-+-------+----------+-----+-----------+++----+---------+--+-----+----.png আসুন একটু দেখার চেষ্টা করি, আমরা যারা আসিফ মহিউদ্দীনের লেখার ভক্ত, যারা দিনরাত ব্লগ কামড়ে, ফেসবুক আঁকড়ে ধরে বসে থাকি নবীজি কখন পোস্টাবেন, কখন লিখবেন, কখন জ্ঞানের ডালি উপুর করে দিবেন- সেই সময়ের জন্য, আসিফ আসলে কি দেন আমাদের। ভালো কথা উপরের ছবির তর্জমা পড়ে বর্ণনা করবো- হয়তো বা মন্তব্যে। এখন আসিফ ভাইয়ের লেখালিখি দেখি- তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ: ত্রিভুব কাঁপানো সেই কুখ্যাত জেদী, একরোখা উচ্চকন্ঠের জীবন্ত মূর্তি আসিফ মহিউদ্দীন তার দীঘল কেশরাজী নিয়ে হাজির হন বাংলা ব্লগে।

তিনি ব্লগে পয়দা হয়েই বললেন, 'জানুদীর্ঘ দীঘল কেশ আর চৌর্যবৃত্তি এই দুই গুণ লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। যা চুরি করতে চাও ডাকাইতের মতো চুরি করো, ম্যা ম্যা করো না। আর যা দেখাতে চাও তা ঢেকে রেখো না। ' [স্ক্রিনশট]। আর তাই তিনি স্বনামে বোরকা খুলে লেখালেখি করে গেছেন তারপর থেকে।

আগে তার লেখার প্রশংসাগুলো গ্রামীণফোনের টাওয়ার ঘুরে তার কানের গোড়ায় আসতো। ব্লগ আরও আধুনিক- তার বানভাঙ্গা প্রশংসা আসা শুরু করলো সুদূর চীন দেশ থেকে। জ্ঞান অন্বেষনে সুদূর চীনদেশে যাচ্ছে মানুষ, আর তাবত জ্ঞানের গুডাউন আসিফের কাছে চীনদেশ থেকে প্রশংসা আসা শুরু করলো অপটিক ফাইবারের লাইন দিয়ে। রমরমা দশা দেখে আসিফ আনন্দে কোথ্ মারা শুরু করলেন। দুই দিন আগে নবীর বয়ান- নবীজি কি করেন তার অভিযোগের স্বপক্ষে- আসুন একটু দেখা যাক।

নাস্তিকের ঈশ্বরজ্ঞান- আতিকা বিনতে বাকি এই 'নাস্তিকের ঈশ্বরজ্ঞান' [http://www.ukbengali.com/Literature/Stories/Sto20080926-AnikaBaki-Nastik.htm] লেখা ইউকে বেঙ্গলির গল্প বিভাগে দেন ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ এ। আসিফ ঠিক একই লেখা দাড়ি-কমা সহ যৌবনযাত্রায় দেন এপ্রিলের ৩ তারিখে, ২০০৯ এ। আসিফএম নামক সেই কুখ্যাত নাস্তিকের বহু শ্রমের সেই চমৎকৃত লেখা হুবুহু একই লেখা আতিকা বিনতে বাকি বঙ্গদেশে নাস্তিকদের অন্যতম পথপ্রদর্শক আসিফের পোস্ট করার প্রায় সাত মাস আগে চুরি করে ইউকে বেঙ্গলিতে ছাপিয়ে দেয়। ওহ মাই গড!!!! নাকি আতিকা বিনতে বাকি আসিফের ছাইয়্যা নিক! আমি জানি আসিফ কা ইজ্জত রক্ষাকারী বাহিনী শাহাবাগ থেকে একটা বিপ্লব বয়ে নিয়ে আসবেন প্রথমেই প্রতিবাদ করার জন্য। তাদের তৃষ্ণা নিবারনের জন্য পিডিএফ লিঙ্কটি Click This Link হলো।

দুটো লেখাই এখানে আছে। সংযুক্ত পাশবিক জোকস্: ম্যাথমেটিক্যাল কোরান- ম্যাথমেটিক্যাল কোরান নামে আসিফ মহিউদ্দীন যে পোস্টটি করেছেন তা ৩১-৩-২০০৯ আর একই বিষয়ে বহু নাস্তিকের ধর্মকথা লিখেছেন ১-২-২০০৯। উনার লেখা দুটো এখনো আছে সামুতেhttp://www.somewhereinblog.net/blog/nastikerdharmakathablog/28904756 এবং মুক্তমনায়http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=811। এক মাস পরেই আসিফ মহিউদ্দীন লেখাটা চুরি করে নিজের নাম করে যৌবন যাত্রায় দিয়ে দেয়। কিংবা যদি টাইম মেশিনের অস্তিত্ব আমরা বিশ্বাস করে থাকি তাহলে বলা যায় নাস্তিকের ধর্মকথাই চুরি করেছেন টনটনে নীতিজ্ঞান সম্পন্ন ত্রিকালদর্শী আসিফ মহিউদ্দীনের মৌলিক লেখাটির।

ওয়েট, এখানেও কয়েকটা জোকস আছে- নরমাল আর পাশবিক মিলিয়ে। নরম্যালটা হলো- পাশবিকটা হলো- নাস্তিকের ধর্মকথার পোস্ট ঘুরে আসুন, তাহলে জোকস দুটোর মাহাত্ম্য বুঝতে পারবেন। বিটিডব্লিউ, লাশ নামে আসিফ ভাইয়ের আরেকটা পোস্ট ছিলো সেখানেও জোকসের সামু ভার্সন আছে। সেটা পরেই দেই। চে'র মৃত্যু, আমাদের অপরাধ এবং পুঁজিবাদের ব্রান্ডিং এই লেখাটা প্রথম ছাপা হয় আমার দেশ পত্রিকায়।

লিখেছেন হা মীম কেফায়াত। তিনি এই লেখাটা দিয়েছিলেন ১১ই অক্টোবর, ২০১০ এ। আমার দেশ অনলাইনhttp://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/10/11/48174। বলা বাহুল্য আমাদের নবী আসিফের এই লেখাটাও চুরি করেছে আমার দেশের সেই কলাম লেখক। শালা চোরা রিপোর্টার! প্রসঙ্গক্রমে একটু বলে রাখি- আসিফ ভাইকে চে গুয়েভারা গেঞ্জি পড়তে দেখে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নাকি দিনকয়েক আগে জিজ্ঞেস করেছিলো, এই ছাগুটা কে? আসিফ মহিউদ্দীন একটা বড়সড় বাল-বিপ্লব ফেলার চিন্তা করেও পড়ে বলে ফেলেন- ত্রিভূজের ছুটু বাই, বেদম পোন্দাইছি এরে এককালে ব্লগে।

ছাগুটার মুখোশ উন্মোচন করার জন্য গেঞ্জিত ফটুক বানায়া পড়তাসি। -আর আসিফ ভাই এই স্ট্যাটাসটা দিয়ে গুণে গুণে তিনশ লাইক পেয়েছেন, হুঁ হুঁ বাবা!! আসিফের লেখা- পিডিএফhttp://www.mediafire.com/?u8whq0ybfalkdb9। প্রসঙ্গ নাস্তিকতা আর নাস্তিকদের কথা- পর্ব ১ 'প্রসঙ্গ নাস্তিকতা আর নাস্তিকদের কথা' নামে আসিফ মহিউদ্দীন একটা লেখা দিয়েছিলেন ২০০৯ সালের পনেরই এপ্রিল। লেখাটা চমৎকার- ম্যালা হাততালি জুটেছিলো। জেজে ব্লগে লেখা প্রকাশিত হওয়ার পরে সেঁকিঁ বাঁদ্যিঁ বাঁজঁলোঁ রেঁ বাঁবাঁ! কি লিখেছিলেন আসিফ সেখানে? কিছুই না- বিভিন্ন মনিষীর বাণী এনে জুড়েছিলেন।

এক কথায় বলা যায় অনুবাদ। নির্মলেন্দু গুণের একটা কবিতা দিয়ে শুরু করে লেখার শুরু করার প্রথম লাইনেই লিখেন- "সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণ: প্রবল ধর্মবিশ্বাসীরা এই লেখা পড়বেন না...। আপনার ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগলেও লাগতে পারে...। । বলা তো যায় না, তাই আগে থেকেই সাবধান করে দিলাম...(ইদানিং আমি কারো সাথে কুশল বিনিময় করলেও কারও কারও ধর্মানুভূতি আঘাত প্রাপ্ত হয়, তার ধর্মানুভূতি ডুকরে কেঁদে উঠে, তাই সতর্কতা... খেকয॥" রিপিট আসিফ মহিউদ্দীন লিখেছেন ২০০৯ সালের এপ্রিলের ১৫ তারিখ।

ঠিক সেই লেখাটাই বাঁই বাঁই করে আসিফের বাকি সব লেখার মতো চুরি হয়ে গেল। আর হল তো হল- য়্যাকদম গুণে গুণে পাক্কা এক মাস আগে। লেখাগুলো প্রকাশিত হলো যথাক্রমে ১৮ই মার্চ, ১৯ই মার্চ, ২৫ই মার্চ, ২রা এপ্রিল-২০০৯। http://prothom-aloblog.com/posts/16/24384 http://prothom-aloblog.com/posts/16/27129 http://prothom-aloblog.com/posts/16/25722 http://prothom-aloblog.com/posts/16/24577 আসিফ ভাইয়ের পোস্ট- পিডিএফhttp://www.mediafire.com/?s5l33j8zcc5l3e7। এইখানেও জোকস।

সিনেমা রিভিউ চুরি: আসিফ দুর্দান্ত সিনেমা রিভিউ চুরি করতে পারেন। লে রে বাবা, নাহয় বুঝলাম দু-চার খানা নাস্তিকতাই চুরি করেছিস, কিন্তু সিনেমা রিভিউও!! দুই বছর ধরে চুরি চামারি করে কিছুটা শুভবুদ্ধি এসেছে এই বেলায়- সেকারণেই কথ্য লেখাটাকে চলিত রূপ দেওয়ার একটু চেষ্টা করলেন। বলা বাহুল্য মৌলিক লেখাভক্ত আসিফ মহিউদ্দীন এই লেখাটাতেও একটা মৌলিক ছাঁচ টেনে দিলেন- উপরে আর শেষ দিকটায় নিজের দুটো আধভাঙ্গা অন্য কোন খান থেকে কপি করে আনা লেখা দিয়ে। বন্যা আহমেদের ২০০৮ সালের জুনের ১০ তারিখে লেখা 'দেখেছেন নাকি কেউ বিল মারের নয়া মুভি -'রিলিজুলাস'?'http://www.sachalayatan.com/bonna_ahmed/18783 দেখে প্রবল উৎসাহী-উদ্যমী আসিফ মহিউদ্দীন সোৎসাহে সেটিকে চলিত রূপ দিয়ে লিখেছেন- এলোমেলো ভাবনাগুলো। আসিফ ভাইয়ের লেখার লিঙ্কটা নিয়ে ইন্টারেস্টিং আলাপ আছে- লিঙ্ক পরে দিবোনে, হয়তো মন্তব্যে।

মুক্তিযোদ্ধার কি শহীদ: সামহোয়্যারের লিখা পোস্টটা লিঙ্কে পিডিএফ- ফরম্যাটে পাওয়া যাবে। জেজে ব্লগের কুয়ার ব্যাঙ আসিফ মহিউদ্দীন যা ছাইপাশ চুরি দারি করতেন- সামহোয়্যার একটা বড় ব্লগিং প্লাটফর্ম হওয়ার কারনে সেই নর্মাল গতানুগতিক চুরিদারির চেয়ে তাকে একটু বাড়তি শ্রম দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আর তাই তিনি হাইব্রিড চুরিদারি শুরু করলেন। কতগুলো পোস্ট একত্রে করে একসাথে চুরি করা- এখানে এও বলে রাখা ভালো যে এই সু-অভ্যাসটা তিনি এখনো চালু রেখেছেন। তবে সম্ভবত তাকে এখন আরো একটু বেশী পরিশ্রম করতে হয় তার জন্য।

হয়তো ধরুন- কোলের উপর ফেলে রাখা দুটো বই+তিনটা ফেসবুক স্ট্যাটাস+চারটা ব্লগ পোস্ট+নিজের কিছু ছাগলামো= ডিবি নবীর পোস্ট। পোস্টের শুরুতেই বলে নিলেন- লেখাটা পুরোটা চুরি লেখাজোকা শামীমের এই পোস্ট থেকেhttp://www.somewhereinblog.net/blog/amishamimblog/28832479। এটা অবশ্য যে সে নকল নয়- একেবারে হাইব্রিড নকল। এই লেখা নিয়ে কথা বলবো পড়ে। ধর্ম প্রসঙ্গে: আসিফ মহিউদ্দীন লিখেছেন ধর্ম প্রসঙ্গে।

যাও কিনা খাস চুরি দারি। মুক্তমনার এলিয়েন নামে এক ব্লগার লেখাটি পাঠিয়েছেন ১০ই মার্চ, ২০০৯- লেখার শিরোনাম পারিবারিক শিক্ষা ও শিশুর বিকাশhttp://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=1212। সেই লেখাটির ক-ঁ পর্যন্ত নকল করে আসিফ মহিউদ্দীন কেবল শিরোনাম বদলে চুরি করে চালিয়ে দিলেন ৫ই মে, ২০০৯ এ- ধর্ম প্রসঙ্গে Click This Link জেজেতে। প্যাথেটিক জোকস্: লুলরে লুল। বাকিটুকু কমেন্টে > ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.