চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতা কেন প্রথম সম্ভাব্য বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণবের বিপক্ষে? প্রশ্নটা অনেকেরই। মূল কারণ ঋণ মকুব। দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অন্তে মমতা যখন মহাকরণে গেলেন রাজ্যের ঋণ ২ লক্ষ কোটি টাকা। মাসে সুদ আসল মিলিয়ে যা দিতে হচ্ছে তাতে গোটা রাজস্ব বেরিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের উন্নয়ন তো দূরের কথা, সরকারি আধা সরকারি কর্মচারীদের মাইনে দেওয়াই সঙ্কটের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ফলে বাজার থেকে আরো বেশি বেশি ঋণ নিতে হচ্ছে। রাজ্যটা দেউলে হচ্ছে আরো। মমতা দাবী করেছিলেন পরিস্থিতির বিচার করে কেন্দ্র তিন বছরের জন্য ঋণের সুদ মুকুব করুক। কিন্তু অনেক টালবাহান প্রতিশ্রুতির পরও সে দাবী পূরণ হয় নি। অথচ অর্থমন্ত্রী আর কেউ নন, বাংলার প্রণব।
মমতা মনে করেন প্রণব ইচ্ছে করলে পারতেন, প্রণব বলছেন উপায় নেই। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় একটা রাজ্যের জন্য কিভাবে আলাদা করে ঋণ মকুব করা সম্ভব ? এটাই বিবাদের মূল পয়েন্ট। মমতা বলছেন যিনি বাংলাকে দেখলেন না, তাকে সমর্থন করে তিনি বাংলার মানুষের কাছে কি বার্তা পাঠাবেন? এটা তিনি পারেন না। কিন্তু সব জায়গায় বাঙালি রাষ্ট্রপতির কথার সামনে বাঙালি মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন অবস্থান নিয়ে অনেকেই বেশ প্রশ্ন সঙ্কুল। মমতা তাই খানিকটা বাধ্য হয়ে কালামের সাথে সোমনাথ চ্যাটার্জীর নামও বলেন।
এটা দেখানোর জন্য যে তিনি বাঙালিকে চান না এমন নয়। আবার মনমোহন এর নাম সবাইকে অবাক করে প্রস্তাব করেন এটা বোঝাতে প্রণবের নামের বিরোধিতা করে তিনি আসলে কংগ্রেসের বিরোধিতা আদৌ করছেন না। আর কালামের নামে এন ডি এর সমর্থন পাওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদে যে মুসলিম প্রিয় ইমেজ তিনি তৈরি করার চেষ্টা করছেন তাকে আরো মজবুত করার প্রয়াস রয়েছে। প্রণবের বিরোধিতা এবং কালাম সোমনাথ মনমোহন ত্রয়ীর নাম প্রস্তাবের এই হলো ভাবনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।