আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পান্তা ভাতের দোষ-গুণ

পহেলা বৈশাখের পান্তা-ইলিশ নিয়ে এত হৈ চৈ-সেই পান্তা ভাতের দোষ-গুণ সম্পর্কে আমার দেশ পত্রিকায় লিখেছে- নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাত পানিতে প্রায় একদিন ডুবিয়ে রাখলেই তা পান্তায় পরিণত হয়। ভাত মূলত পুরোটাই শর্করা (Carbohydrate)| ভাতে পানি দিয়ে রাখলে বিভিন্ন গাজনকারী (Fermentation) ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) বা ইস্ট (Yeast) শর্করা ভেঙে ইথানল ও ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে। এই ইথানলই পান্তাভাতের ভিন্ন রকম স্বাদের জন্য দায়ী। মূলত পান্তা করা ভাত সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি। ভাত বেশিক্ষণ রেখে দিলে তা পচে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কিন্তু পানি দিয়ে রাখলে গাজনকারী ব্যাকটেরিয়া সেখানে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে, যার ফলে পান্তা ভাতের অম্লত্ব বেড়ে যায় (pH কমে)। তখন পচনকারী ও অনান্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ভাত নষ্ট করতে পারে না। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকঠাক থাকলে পান্তা তেমন ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু এন্টিবায়োটিক ওষুধ চলাকালে, মেয়েদের মাসিকের সময়, গর্ভাবস্থায় এবং অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীদের পান্তা ভাত এড়িয়ে চলা উচিত


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।