এই শহরের নতুন উন্মাদ! ফেসবুক-ব্লগ-সংবাদে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ছবি দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আমরা এক হতভাগা জাতি; রাষ্ট্রদানবের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে জানি না, প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিত মজলুমদের জন্যও কিছু করতে পারি না। মিয়ানমারের আরাকানে নাসাকা ও রাখাইনদের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী হামলা থেকে জীবন নিয়ে পালিয়ে আসা আহত-অর্ধমৃত-অনাহারী-বাস্তুহারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আমরা জায়গা দিতে পারিনি। অন্তত নারী-শিশুদের কথা ভেবে হলেও সীমান্তরক্ষীরা (বিজিবি) তাদের প্রবেশের সুযোগ দিতে পারতো। নাফ নদী পারি দিয়ে আশ্রয় নিতে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত উন্মুক্ত করা হোক শিগগিরই।
কারণ সব ক্ষেত্রে আইনের দোহাই চলে না, কেবল মানবতার খাতিরেই দুর্গত মানুষদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা স্থানীয় মগ-রাখাইন ও রাষ্ট্রীয় বাহিনী নাসাকার হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলো অনেক বছর ধরেই। তবে এবারই প্রথমবারের মতো আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে এতটা সরব হয়েছে। মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনী ও স্থানীয় রাখাইনরা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধ্য করছে। তাই ইস্যুটি শুধু মিয়ানমারের একার না, আমাদেরও।
তবুও এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপুমনির এক কথা−’না’। তিনি রোহিঙ্গাদের এ দেশে আশ্রয় দিতে চান না। যদিও মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশিরা আশ্রয় পেয়েছিলো ভারতে। স্বাধীনতার স্বপক্ষশক্তির ট্যাগ লাগানো সরকারের দায়িত্ব ছিল−একাত্তরে ভারত যেভাবে বাঙালিদের সাহায্য-সহযোগীতা করেছে, একইভাবে রোহিঙ্গাদের সহযোগীতার করা; পাশাপাশি দখলকৃত আরাকানের স্বাধীনতায় ভূমিকা রাখা।
জনগণ-সংবাদমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই ইস্যুতে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
যেনো এ ব্যাপারে সরকার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ইতিবাচক কিছু করতে বাধ্য হয়। নয়তো রাষ্ট্রের ভুলে অপরাধী হতে হবে আমাদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।