সভ্যাতা মানুষের তৈরি ,মানুষ সংগ্রামের পথ ধরে বেয়ে চলা সৈনিক । তাই মানুষের জয় অনিবার্য
বাংলাদেশের সমুদ্র-সীমাকে ২৮ টি ব্লকে ভাগ করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর হাতে সিংহভাগ মালিকানা তুলে দেয়াকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে বির্তক শুরু হয়েছে। আমাদের বিপুল গ্যাস দরকার কিন্তু আমাদোের টাকা নেই,সামথ্য নেই কারিগরি দক্ষতা নেই ,মাটির নিচে গ্যাস রেখে কোন লাভ নেই -এ সকল কথা বলৈ বিভিন্ন সময় সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক েকাম্পানিগুলোর কাছে অসম চুক্তি গ্যাসক্ষেত্রগুলো অন্যায্যবাবে তুলে দেত্তয়া হয়েছে। আবার কখেনা বাংলাদেশ গ্যাসের উপর
ভাসছে এই কথা বলে ২০ বছরের চুক্তিতে সিলেটের বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফূট গ্যাস হাজহার মাইল পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারতের দিল্লীতে রপ্তানির আয়োজন প্রায় শেষ করে ছিলো । বাম প্রগতিশীল শক্তি ত্ত
সচেতন দেশপ্রেমিক জনতার ব্যাপক প্রিতরোধের মধ্য দিয়ে এই শক্তিকে রুখে দিয়ে সফলতার বীজ বুনে
অতীতের ধারাবাহিকতার অব্যহত
পিএসসি-২০০৮ জাতীয় স্বার্থবিরোধী এবং আসন্ন অস্বচ্ছ,গোপন ত্ত জবাবহীনতা
গ্যাসসহ খনিজ সম্পদ নিয়ে দুর্নীতি,লূটপাট,অব্যবস্থাপনা ,পরিকল্পনাহীনতা, স্বচ্ছতা ত্ত জবাবদিহিতার অভাবসহ জাতীয় স্বার্থবিরোধী বহু অনিয়মের বিষয় শুধু জনমনেই নয়,শাসকশ্রেণীর মধ্যেত্ত অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের কথা সবার জানা।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এমন অভিযোগ করে ছিলেন যে তিনি ৫০ বছরের গ্যাসের মজুদ না রেখে গ্যাস বিদেশীদের হাতে হস্তান্তর করতে চাননি বলে- তাকে ২০০১ সালে ক্ষমতার আসতে দেত্তয়া হয়নি ।
এবার ক্ষমতাসীন দলের সা;সাধারনন সম্পাদক অতীত প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন। কি সাংঘাতিক বিষয় ! এই কথাকে ধরে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি প্রশ্ন তূলেছেন এবার তাহলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট কী সমঝোতর বলেই ক্ষমতায় এসেছেন। এ ধারনাটি আরো বৃদ্ধ হয়েছে এ কারনে যে সরকার পার্লামেন্টের ভিতরে -বাহিরে কোন আলোচনা -পর্যালোচনা না করেই সরকার তড়িগড়ি করেই গভীর-অগভীর সমুদ্রের ৩ টি গ্যাস ব্লকগুলো মার্কিন কোম্পাকি কনোকো ফিলিপস ও ব্রিটিশ -আইরিশ কোম্পানি টাল্লোর হাতে তুলে দিচ্ছে। সরকারের এই গতিবিধি লক্ষ করে তেল -গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি ঢাকা থেকে কক্স বাজার রোড মার্চ করে(১১ -১৪ জুলাই ০৯) প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পাশাপাশি আলোচনা সভা,মতবিনিময় সভা ,বিশেষজ্ঞ পর্যালোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে সরকারে মনোযোগ আর্কষনের চেষ্টা করে ।
কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এইসবন বিষয়ে দৃঙষ্টি দেত্তয়ার কোন মনোভাব তারা প্রকাশ করেনি। বরং তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে২ সেপ্টেম্বর পেট্রোবাংলার অভিমুখে শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশ হামলা করলে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদসহ ,বিপ্লবী ওয়ারর্কাস পার্টির সাধারন সম্পাদক সাইফুল হক,বাসদ কোন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য বজলুলর রশিদ ফিরোজসহ অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী আহত হয় । সারা দেশের মানুষ এই আচরনে স্তম্ভিত হয়েছে।
সরকারের এই আচরন আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে পারেনি আন্দোকারী সঠিক শক্তিকে । হামলার পরপর পালন করে সাহসী হরতাল ।
এরপর একে একে আসতে থাকে আন্দোলনের কমসূচি ,বর্তমান সারাদেশে চলছে গনস্বাক্ষর । আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সারা দেশের শহীদ মিনারে পঠিত তেল-গ্যাস রপ্তানির বিপক্ষে গনশপথ,১২ জানুয়ারী টেকনাফ থেকে
তেতুলিয়া মানববন্ধন,এবং আগামী ২৫ জানুয়ারী থেকে ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত দেশের পাঁপ স্থান থেকে ঢাকার অভিমুখে লংমার্চ।
এতো যদি সরকার এই চুক্তি বাতিল না করে তাহলে শাসকদলের দিনবদলের পরিবর্তে আমাদের সরকার বদলের আন্দোলনে নামতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।