আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাঝপথে রক্তাত্ত ভালবাসা (ছোট গল্প)

প্রতিদিন অন্তত একটা ভাল কাজ করার চেষ্টা করি । তার সাথে আমার পরিচয় এক বন্ধুকে দিয়ে ,সে তাদের বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরি । সুন্দরি হলে যা হয় আর কি !দেমাগ দেখানু ,হেসে কথা বলা । সব মিলিয়ে তার আকর্ষণীয় বেক্তিত্যে প্রথম দখাতেই প্রেমে পরেযাই । বন্ধুর কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন দেই।

পরিচয় দিয়ে কথা বলি , সে নিজেও আগ্রহ দেখিয়ে কথা বলে । এভাবে কাটল আরো আট দিন ,এর মধ্যে তার মামাতো ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয় ,বাবার একমাত্র মেয়ে এবং মামাদের একমাত্র ভাগ্নি বলে তাকে বিয়েতে যেতেই হয় । বিয়ে বাড়ীতে শত ঝামেলা থাকা সত্ত্বেও আমার সাথে কথা নিয়মিত কথা বলে যায় । এর ফাঁকে তাকে জিজ্ঞেস করি ,তার কোন পছন্দ আছে কিনা । সে জানায় যে তার কোন পছন্দ নেই ,আবার এটাও জানায় তাকে ক্যাম্পাসে অনেকেই প্রপোস করেছে কিন্তু সে কোন রিলেশনে যেতে রাজি হয়নাই ।

কারন তার একটা প্রতিষ্ঠিত ছেলে দরকার । সেক্ষেত্রে আমার যাতে শেষ সেমিস্টার সে কারনে সে আমার সাথে কথা চালিয়ে যেতে রাজি হয় । এর মধ্যে আমি চিন্তা করি তার মামাতো ভাইয়ের বিয়েতে যদি তাকে অন্যকেউ পছন্দ করে কিছু একটা ঝামেলা পাকায় সে জন্য তাকে বারবার বাসায় চলে আসার জন্য তাগিত দেই । এর মধ্যে শবেবরাত চলে আসে । রাতে নামায শেষ করে তারসাথে সারারাত কথা বলি ।

এবং দুইদিন পর দেখাকরার কথাও হয় । আগে থেকেই আমার মনে একটা সন্দেহ কাজ করত ,এইরকম সুন্দরি একটা মেয়ে আগে কারোসাথে প্রেম করেনাই ,এটাতো অসম্ভব আজীব একটা ব্যাপার । এই সময়ে তা খুব কমই দেখা যায় । ঐ দিন আমার পাশের বাড়ির একটা মেয়ে দেখি কাদতেছে , মেয়েটা ক্লাশ এইটে পরে । জিজ্ঞেস করলাম কেন কাঁদ ? মেয়েটা যা বলল তা শুনেতো আমার আক্কেল গুরুম ।

তার নাকি ব্রেকআপ হয়েগেছে । তাইলে কিভাবে আমি বুঝব যে অনার্সে পড়া একটা মেয়ে কোরো সাথে প্রেম করেনাই । সে যাই হোক , দেখা করার দিনক্ষণ ঠিক হল , সকাল দশটায় তাদের ক্যাম্পাসে । সারারাততো টেনশনে ঘুম আসেনা , কি জানি কি হয় । পরদিন সকালে গেলাম তাদের ক্যাম্পাসে ,দেখাও হল তার সাথে ।

একা একাই এসেছে সে । বেশি সাজগোজ করেনি ,এমনিতেই অনেক সুন্দর লাগতেছিল । কথা বলতে বলতে তাদের কেম্পাসের ছাদে যাই ,তখন শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি । বৃষ্টি তার অনেক ভাললাগে তাই অগ্যতা তার সাথে বৃষ্টিতে ভিজি । মনে তখন চরম একটা ফিলিংস কাজ করতেছিল ।

বৃষ্টি কমলে যাই একটা কফি শফে । একথা সেকথা বলতে বলতে যে কখন দুপুর হয়ে যায় বুঝতেই পারিনি । তাকে বিদায় দিয়ে বাসায় আসি , মনে তখন খুশির বন্যা । এর মধ্যে দুইবার মোবাইলে কথা হয় । সন্ধায় তাকে ফোন দিয়ে দিনের অনুভূতির কথা জানতে চাইলাম , বিপত্তিটা ঘটল তখন ।

তার কথা শুনেতো আকাশ থেকে পরার মত অবস্থা । বলেকিনা বাবা মা যার কাছে বিয়ে দিবে তাকেই বিয়ে করব ,সে তুমি হও আর যেই হোক ,আমি কোন রিলেশনে যেতে পারবনা । আমার এখনো বিয়ে করার সময় হয়নি তাকে সেটা বুঝিয়ে বলে ফোনটা রেখে দিলাম । পরের দিন শুরু হল নতুন নাটক ,ফোন দিয়ে বলে যে , আমিতো অন্য একজনকে পছন্দ করি তাই আপনার সাথে কোন রিলেশনে যাবনা ,তবে বাবা মা যদি আপনার সাথে বিয়ে ঠিক করে তাহলে আমার পক্ষ থেকে কোন সমস্যা নেই ,আমি রাজি । তখন থেকেই বুঝে গেলাম মেয়ের বিয়ের অনেক শখ তাও আমার টাকাওয়ালা কারো কাছে ।

তাই বুঝতে পারতেছিনা এখানে কোন ভালবাসা আছে নাকি পুরোটাই মরীচিকা । এইটা নিয়ে দুলাইন অনুকাব্য চলে গেলে যা তুই কে রেখেছে তোকে, একবারও ডাকব না জল আসবেনা চোখে । জীবন জীবনের গতিতে চলে ,তার জন্য আমার জীবন শুধু শুধু কেন থেমে থাকবে । হয়তো চলার পথে অন্যকেউ আমার জীবনে এসেযাবে ,আবার এমনটাও হতে পারে ,সে সব কিছু ভুলে নতুন করে জীবনে ফিরে আসবে । কিন্তু জীবনে যাই হোক সামনে এগিয়ে যেতে হবে ,নইলে পরে থাকতে হবে অন্ধকারে শুধুই অন্ধকারে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.