ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা বারাক ওবামার সেনাবাহিনীতে ধ্বস নেমেছে। যৌনতার হতাশায় সেনা সদস্যরা এখন আত্বহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। প্রতিদিন চলছে আত্বহত্যার মিছিল। মূলত হতাশা আর মানুষ খুন করার মানসিক চাপে তাদের মধ্যে িএই ধরনের প্রবণতা গত এক বছরের তুলনায় শতকরা ১৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করেছে সেনা বাহিনীর একজন মূখপাত্র।
বিবিসি, এপি, আল-জাজিরা প্রতিরক্ষা দপ্তর এর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশের একটি শীর্ষ স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়
চলতি বছরের প্রথম ১৫৫ দিনে চাকরিরত ১৫৪ জন সেনা আত্মহত্যা প্রতিদিনই গড়ে অন্তত একজন সেনা আত্মহত্যা করেছে।
গত বছর এ সময় পর্যন্ত আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১৩০ জন। একই সময় আমেরিকান যুদ্ধ-সেনার মৃত্যুর হারের চেয়ে এ হার অনেক বেশি। অর্থাৎ চলতি বছরে আত্মহত্যার হার শতকরা ১৮ ভাগ বেড়েছে। উল্লেখ্য, আমেরিকান সেনাবাহিনীতে বর্তমানে চাকরিরত ১৪ লাখ সেনা রয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র সিনথিয়া স্মিথ বলেন, 'সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
' তিনি বলেন, 'আমরা যে কয়েকটি গুরুতর সমস্যার মধ্যে আছি, এটি অন্যতম। ' তিনি জানান, যৌনতা হতাশা আর মানুষ মারার ফলে মানসিক বিকার গ্রস্থ হওয়ার প্রভাব পড়েছে তাদের ভিতর।
যেসব সেনা বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, এর মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি। তবে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে এমন সেনাও আছে, যাদের কখনো কোনো যুদ্ধ বা মিশনের পাঠানো হয়নি। তাই সেনা সদস্যদের মধ্যে এভাবে আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়ার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে পারেনি প্রতিরক্ষা দপ্তর।
বিষণ্নতা বা অন্যান্য সমস্যায় আক্রান্ত সেনাদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করার পরও এ প্রবণতা কমছে না। অবশ্য সাধারণভাবে যে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছে তা হলো, সম্মুখযুদ্ধ, আঘাতজনিত কারণে পরবর্তী মানসিক চাপ, ওষুধের অপব্যবহার এবং ব্যক্তিগত আর্থিক সমস্যা। এসব সমস্যাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি পেন্টাগন ডিফেন্স সুইসাইড প্রিভেনশন অফিস খুলেছে। এর প্রধান জ্যাকি গ্যারিক গত বৃহস্পতিবার স্বীকার করেছেন, আমেরিকান সেনাবাহিনীতে চলতি বছরে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান আসলেই বিব্রতকর। তিনি বলেন, 'সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য যখন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তখন চলতি বছরে এ উচ্চহার নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
' আমেরিকার বর্তমান দুর্বল অর্থনীতি এ প্রবণতা প্রতিরোধের প্রচেষ্টাকে শোচনীয় অবস্থায় ফেলতে পারে। এমনকি বিভিন্ন স্থানে সেনা মোতায়নের বিষয়টি শিথিল করা হলেও এ সমস্যা থাকবে বলে মনে করছেন জ্যাকি গ্যারিক। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এ প্রবণতা সবচেয়ে বেড়ে যায় এবং এর পরের দুই বছর; অর্থাৎ ২০১০ এবং ২০১১ সালে আমেরিকান সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার সংখ্যা কমেছিল। কিন্তু চলতি বছরে তা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। আমেরিকান সেনাবাহিনীর সংগৃহিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বারবার সম্মুখযুদ্ধে পাঠালে সেনা সদস্যদের আত্মহত্যা করার ঝুঁকি বাড়ে।
অবশ্য কোথাও অভিযানে নিয়োগ বা ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়নি, এমন সেনা সদস্যদের মধ্যেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে
আমাদের মুসলিম বিশ্বে আমেরিকার যেভাবে তাবেদারি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ওপরলার কাছ থেকে এই ধরনের কাজ প্রত্যাশা কি মুসলমানরা করেন না।
ইরাকের বাবা-মা হারানো পথ শিশুটি যখন মায়ের স্তুনের জন্য চিৎকার করে তখন কি আমেরিকার সেনাবাহিনীর মন কাদে না?
আমরা জানি প্রত্যেক অপরাধের বিচার সৃষ্ঠিকর্তা দিয়ে থাকেন। আর সেটাই কি ওবামা বাহিনীর ওপর পড়েছে কি না তা খোদ মালুমই জানে। তবে যেই হউক আমেরিকার ধর্ম বিদ্বেষী মনোভাব আর বিশ্ববাসীকে চুষে নেয়ার প্রবণতা বিশ্ববাসীকে এই সুখবর সত্যি আশার আলো দেখাতে পারে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।