কি যেন খুজি নিজেই জানিনা
অবাধ যৌনতার এক অভয়ারন্য । প্রকৃতি প্রেমে গড়ে উঠা এই নিরাপদ জোনটির আজ নেই কোন স্বকীয়তা। গাছ নিয়ে গবেষণার কথা থাকলেও যে কেউ গেলেই মনে হবে এটা বুঝি 'ওপেন সেক্স' গবেষণাগার ।
কতৃপক্ষ সেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে । তাদের 'সুখ আনন্দে' যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেখানে রয়েছে তাদের শকুনি দৃষ্টিভঙ্গি -সিকিউরিটি অব্জারভেসন ।
৮০০ প্রজাতির ১৮০০০ গাছ নিয়ে গড়ে উঠা নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরীর এটাই যে স্বপ্ন ছিল তা বলা মুশকিল !
কবিগুরু এখানটার পশ্চিম দিককার 'জয় হাউসে' বসেই লিখেছিলেন তার বিখ্যাত ক্যামেলিয়া কবিতাটি । হয়তো উদাস নয়নে তাকিয়ে ক্যামেলিয়া ফুলের দৃশ্য ও গুণে মুগ্ধ হয়ে ।
এখানকার শঙ্খনদ পুকুরের পাড় ঘেঁষেই চলে প্রেমিক প্রেমিকার উষ্ণ 'ঢলাঢলি'। বিব্রতকার অবস্থায় পড়ে যাবেন যদি আপনার অভ্যাস না থাকে কিংবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যান ।
সিবিলি অংশের গাছ গাছালির ফাকে ফাঁকে 'আদরণীয়' দৃশ্য না চাইলেও আপনি দেখতে পাবেন ।
স্কুল-কলেজ- ভার্সিটি পড়ুয়া ভিন্ন সংস্কৃতির রুচিহীন ছাত্র ছাত্রীদের দেখা যায় আপত্তিকর অবস্থায় । গাছের চিপা কিংবা গুড়ির উপর শোয়া /বসা অবস্থায়,গাছের নীচে ,ডালের আড়ালে, বিল্ডিঙের দেয়ালে,পুকুরের সিঁড়িতে ,সমাধির পাশে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখলেই স্বুস্থ স্বভাব ও রুচি সম্পন্ন যে কেউ লজ্জা পাবেন । কিন্তু তাদের 'কর্মে' বিরতি নেই !
ছেলে-মধ্যবয়সী কেউ বাদ যায়না । বোরকা -নেকাব পরিহিতা কিংবা দাড়িওয়ালা লোকদেরও আপনি দেখতে পাবেন। ওপেন+নিরাপদ হবার কারনে অনেকেই আসেন এখানে তাদের ভালবাসা কিংবা পরকীয়ার মানুষটিকে নিয়ে।
ফ্যান্টাসি কিংডমের পরেই এর অবস্থান বলে আমার ধারনা ।
১৯০৯ সালে জমিদার চৌধুরী প্রেম ,সাহিত্য ও প্রকৃতির ভালবাসায় এটা গড়ে তুলেছিলেন । ১৯৪৩ সালে তিনি মারা যাবার পর কলকাতা হাইকোর্টের নিয়ন্ত্রনে ট্রাস্টের মাধ্যমে বাগান ব্যবস্থাপনার কাজ চলতে থাকে । ৩.৩৮ একর জমির এই নান্দনিক জগতের কাঙ্খিত উন্নতি না হওয়ায় ১৯৬২ সালে বন বিভাগকে দায়িত্ত দেয়া হয় ।
ক্যামেলিয়া,আফ্রিকান তিউলিপ,ক্যাকটাস,অর্কিড, এন্থুরিয়াম , বিচিত্র বকুল,আমাজান লিলি আর কৃত্রিম সুরঙ্গ নিয়ে দক্ষিন দিককার সাইকি অংশটি 'সংরক্ষিত'।
সরকারের বন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এরকম অশ্লীলতার ছড়াছড়ি বন্ধ করা উচিত । যথাযথ পরিবেশ রক্ষা করে এই বেহায়াপনাকে বন্ধ করতে হবে । যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের এই প্রকাশ্য লীলাভূমির ব্যাপারে প্রশাসন দৃষ্টি দিতে পারে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।