ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন। পাসপোর্ট অফিসের ঘুষখোরদেরকে এবার পাঠানো হচ্ছে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দুতাবাসগুলোতে।
ফলের তাদের আয়ের উৎস আবার বাড়ল। প্রবাসীরা এবার হবেন তাদের ঘুষের আরেক শিকার।
যারা বাংলাদেশে পাসপোর্ট বানিয়েছেন তারা সবাই পাসপোর্ট অফিসের ঘুষ আর টু পাইসের শিকার হন এটা না বললেই চলে।
ইংরেজি দৈনিক ইনডিপেডেন্ট এর খবর অনুযায়ী, বিদেশে অবস্থিত ৬১ টি মিশনে পাসপোর্ট অফিসের লোক জনকে পাঠানো হবে। আগে এই কাজগুলো করত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা যে খুব একটা খারাপ কাজ করত তা নয়। তবে একটি সীমাবদ্ধতা ছিল যে তাদেরকে কোন রকম প্রশিক্ষণ দেয়া হত না।
নিজে নিজে কাজ শিখে তারা প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবায় নিয়োজিত ছিল।
নতুন করে পাসপোর্ট অফিসের লোকদেরকে ৬১ টি মিশনে পাঠাতে হলে নতুন করে ৩৬৬ টি পদ সৃষ্টি করতে হবে। তারপর তাদেরকে পাঠাতে হবে। এই কাজে কম করে হলেও বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা দরকার হবে। বর্তমান লোকদেরকে দিয়ে কাজ চলতে পারলে কেন এই এক হাজার কোটি টাকা খরচের বোঝা জনতার উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে?
আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে-- বাংলাদেশের সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে সব চেয়ে মেধাবী হলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়টি ঠিক যে বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জন এমএলএসএস- শিক্ষাগত যোগ্যতায় এম এ পাস হন। অত্যন্ত চৌকষ আর জ্ঞানী না হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়া যায় না।
পার্সপোর্ট অফিসে চাকরি জীবন শুরুই হয় ঘুষ দিয়ে। প্রতি দিন ঘুষ না খেলে যাদের ভাত হজম হয় না তারা মিশনে গিয়ে বাংলাদেশীদের সেবা করবেন না অত্যাচার করবেন না ভাবলেই গা শিউড়ে উঠে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।