মানুষ যাহা চায় তাহা পাওয়ার সুযোগ আসবেই যদি সে মন থেকে চায়
আবেদনপত্র পূরণ ও পাসপোর্ট প্রদান সংক্রান্ত অতিরিক্ত তথ্যাবলীঃ
( ফরমে মুদ্রিত তথ্যাবলী ছাড়াও অনুসরন যোগ্য )
১। আবেদনকারীকে কালি দিয়ে ইংরেজী অথবা বাংলায় দু'কপি আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে ।
২। আবেদনকারীর তিনটি পাসপোর্ট সাইজ ও একটি ষ্ট্যাম্প সাইজ ছবি দরকার । পাসপোর্ট সাইজের ১ টি করে ছবি দুটি ফরমের নির্ধারিত ঘরে আঠা দিয়ে লাগানের পর উহার উপর এমনভাবে সত্যায়ন করতে হবে যাতে ছবি ও ফরমের উপর পড়ে ।
৩। ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের অঙ্গীকারনামায় পিতা অথবা মাতা/আইনগত অভিভাবক স্বাক্ষর করবেন ।
৪। নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ পাসপোর্টের আবেদনপত্র ও ছবি সত্যায়ন করতে পারবেনঃ- ক) সংসদ সদস্য; খ) সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র বা কমিশনার; গ) গেজেটেড কর্মকর্তা; ঘ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ঙ) পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান; চ) বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষ; ছ) বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক; জ) জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক; ঝ) পৌর কমিশনারগন ঞ) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও স্বায়ত্ব শাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের ৬ষ্ঠ ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তাগণ ।
৫।
নতুন পাসপোর্ট প্রদানের সময়সীমাঃ
ক) অতিজরুরীঃ পুলিশ প্রতিবেদন স্থগিত রেখে (৭২) ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে । বিরুপ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খ) জরুরীঃ পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে এগার (১১) দিন পরে অন্যথায় ২১ দিন পরে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে ।
গ) সাধারণঃ পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে একুশ (২১) দিন পরে অন্যথায় ৩০ দিন পরে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে । বিরুপ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
৬। সরকারী/আধাসরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং তাদের স্ত্রী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ১৫ বছরের কম বয়সী সন্তানদের জন্য ফিস । ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা এবং ৭২ ঘন্টায় পাসপোর্ট প্রদান করা হবে ।
৭। ১০ বছর উত্তীর্ণ/বিদ্যমান পাসপোর্টের পরিবর্তে নতুন পাসপোর্ট প্রদানের ক্ষেত্রে জরুরী ফি প্রদান করলে বাহাত্তর (৭২) ঘন্টার মধ্যে এবং সাধারণ ফি প্রদান করলে ৭ (সাত) কর্মদিবসের পরে তা প্রদান করা হবে ।
৮। পাসপোর্ট সাধারণত ১০ (দশ) বছর মেয়াদী । কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সী আবেদনকারীদের ০৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদী পাসপোর্ট দেওয়া হবে ।
৯। সন্তানের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী মাতা হলে পিতা বা বৈধ অভিভাবকের ছবি এবং আবেদনকারী পিতা হলে মাতা বা বৈধ অভিভাবকের ছবি ফর্মের সংশ্লিষ্ট কলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ।
নবায়নের ক্ষেত্রেঃ
‘খ' ফরমের "চ" অংশে ৫ (পাঁচ) বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন লিখতে হবে (পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যুর তারিখ সহ)
আবেদনকারীর স্বাক্ষর লাগবে (অংগীকরনামা)।
অনুর্দ্ধ ১৫ (পনের) বছরের সন্তানদের ক্ষেত্রেঃ
আবেদনপত্র ‘ক' পূরণ করতে হবে ।
বাবা এবং মা দু'জনেরই ছবি সত্যায়ন করতে হবে ।
বাবা এবং মায়ের পাসপোর্টের ২ (দুই) সেট ফটোকপি দিতে হবে ।
বাচ্চার জন্ম সনদ লাগবে ।
১৯নং কলামের ছকে, আবেদনকারী তার নাম লিখবে অথবা টিপসই দিবে, টিপসই দিলে অভিভাবক বাচ্চার নাম লিখে দিবে ।
অঙ্গীকারনামায় পিতা স্বাক্ষর করিবেন ।
পিতা অবর্তমানে পিতা অনুমতি পত্র দিবেন এবং মাতা অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করিবেন।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলেঃ
নিকটস্থ থানায় জানান এবং জি,ডি করুন।
পাসপোর্ট অফিস/দুতাবাসে জানান ।
জি,ডি কপি এবং হারানো পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে) সহ এক প্রস্থ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে ।
যদি পূর্বের পাসপোর্টের সাথে কোন তথ্য পরিবর্তন থাকে তবে পরিবর্তনের স্বপক্ষে সনদ দিতে হবে ।
সংশোধন ও সংযোজন
১। বয়সঃ- বয়স সংশোধনের ক্ষেত্র এস এস সি কিংবা সমমানের পরীক্ষার সনদ অথবা অর্থোপেডিক ডাক্তারের সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধিবরণ সনদপত্র আবশ্যক হবে ।
২।
নামঃ- নাম সংশোধনের ক্ষেত্র এস এস সি কিংবা সমমানের পরীক্ষার সনদ বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের হলফনামা (এফিডেভিট) এবং পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি আবশ্যক হবে ।
৩। পেশাঃ- পরিবর্তিত পেশার স্বপক্ষে সনদ ।
৪। ঠিকানাঃ- স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বাড়ির দলিল আবশ্যক হবে ।
৫। সন্তানের নাম কর্তনঃ- আবেদনপত্রের ‘খ' এর ৮নং কলাম পুরণ করতে হবে ।
৬। সন্তান সংযোজনঃ সন্তানের জন্ম সনদ দিতে হবে । সন্তানের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে পুলিশ /kতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া গেলে পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে না ।
ফরম পেতে ভিসিট করুন http://www.forms.gov.bd/FormDetails.aspx?FId=1 অথবা Click This Link অথবা http://www.dip.gov.bd/ অথবা পাসপোর্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন |
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।