ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনের প্রধান দেহরক্ষী ও একান্ত সচিব আবিদ হামিদ মাহমুদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ইরাকের বিচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হায়দার আস-সা'দি এ খবর জানিয়ে বলেছেন, ""বিচার মন্ত্রণালয় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত 'অপরাধী' আব্দ হামুদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।" ২০০৩ সালে সাদ্দাম সরকারের পতনের আগে সাবেক স্বৈরশাসক ও তার দুই পুত্র উদয় ও কুসাই'র পর সরকারের চতুর্থ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন হামিদ মাহমুদ। ক্ষমতায় থাকাকালে সাদ্দামকে আবিদ হামিদ মাহমুদকে ছাড়া খুব কমই দেখা গেছে। Click This Link ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল পালিয়ে যাওয়ার আগে সাদ্দামের সর্বশেষ যে ভিডিও চিত্র ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়, সেখানেও মাহমুদকে সাদ্দামের পাশে দেখা গেছে। মাহমুদ সাদ্দামের নির্দেশগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতেন এবং তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য দায়বদ্ধ ছিলেন। সাদ্দামের সঙ্গে যে কোন ব্যক্তির দেখাশোনার বিষয়টি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পরিবর্তনের ক্ষমতাও তার ছিল। সাদ্দাম ও মাহমুদ উভয়ে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের অদূরে তিকরিত শহরের নিকটবর্তী গ্রাম আউজাহ থেকে উঠে এসেছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।