মানুষ নিদ্রিত এবং মৃত্যুর পরপরই সে জেগে উঠবে।
সেদিন আর বেশী দূরে নয় যেদিন এ পৃথিবী নামক গ্রহটি বিশ্বের গুটিকয়েক ক্ষমতাধর মানুষের হাতে চলে যাবে। বলা যেতে পারে এককেন্দ্রিক বিশ্ব রাষ্ট্র। একদা স্বাধীন সব রাষ্ট্রসমূহ মুষ্টিমেয় কিছু এলিটের দাস রাষ্ট্র পরিণত হবে। নতুন করে অন্ধকার যুগের (Dark Age) সূচনা হতে যাচ্ছে।
সার্বভৌম রাষ্ট্র ব্যাপারটি অতীতের ব্যাপার হয়ে যাবে। পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যার ৮০% -কে নির্মূল করা হবে। বাকী ২০%-কে নিখুঁত নিয়ন্ত্রিত হাইটেক জেলখানা সদৃশ শহরে বাস করতে বাধ্য করা হবে। মানুষের চলাচল হবে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। সুপার হাইওয়ে বড় বড় মেগাসিটির সাথে সংযুক্ত থাকবে।
মানুষকে নির্দিষ্ট এলাকার ভিতর থাকতে হবে। এর বাইরে যাওয়া যাবে না। একান্ত বাক্তিগত বলতে কিছু থাকতে পারবে। মানুষের সমস্ত কর্মকান্ড মনিটরিং করা হবে। AI Super Computer মানুষের প্রতিটি মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করবে।
জেলখানা সদৃশ এ গ্রহটি অমানবিক নিষ্ঠুর এক গ্যাং দ্বারা চালিত হবে যাদেরকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। এই-ই গ্লোবাল এলিটদের ভিশন বা ভবিষ্যত পরিকল্পনা, যার প্রায় সিংহভাগই বাস্তবায়ন ইতিপূর্বে হয়ে গেছে। বলা যেতে পারে বিশ্বক্ষমতার একচেটিয়াকরণ হতে যাচ্ছে। পুঞ্জিভূত হতে যাচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু বিশ্ব এলিটের হাতে।
আমাদের এই মানব প্রজাতিকে ঐ ভয়াবহ বাস্তব দুঃস্বপ্ন থেকে বাচাঁতে জাগাতে হবে। জানাতে হবে। জানতে হবে। ইতিমধ্যেই পাথরে খোদাই করা লেখা তাদের সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা তৈরী হয়ে গেছে। জর্জিয়া গাইড ষ্টোন নামে পরিচিত ঐ জায়গায় লেখা রয়েছে –
"LET THESE BE GUIDE STONES TO AN AGE OF REASON"
the message of the Georgia Guide stones
Russian, Hebrew, Arabic, Hindi, Chinese, Spanish, Swahili
1. Maintain humanity under 500,000,000 in perpetual balance with nature.
2. Guide reproduction wisely - improving fitness and diversity.
3. Unite humanity with a living new language.
4. Rule passion - faith - tradition - and all things with tempered reason.
5. Protect people and nations with fair laws and just courts.
6. Let all nations rule internally resolving external disputes in a world court.
7. Avoid petty laws and useless officials.
8. Balance personal rights with social duties.
9. Prize truth - beauty - love - seeking harmony with the infinite.
10. Be not a cancer on the earth - Leave room for nature - Leave room for nature.
লেখা রয়েছে “পপুলেশান কখনো ৫০০ মিলিয়নের বেশী হতে দেয়া যাবে না।
” ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন, গ্লোবাল ল’, গ্লোবাল কোর্ট এন্ড আর্মি শয়তানচক্র গ্লোবাল এলিটদের ঐ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে। কয়েকশত বছর ধরে প্রণয়ন করা ঐ পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে। পৃথিবী নামক এই গ্রহে দুটি শ্রেণী থাকবে। একটি আন্ডার ক্লাস, যাদের বাধ্য করা হবে সংকীর্ণ সুনিয়ন্ত্রিত এলাকা, যার বাইরে যাওয়া যাবে না। কঠোর মনিটরিং ও সীমিত পরিসরে চলাচল উপযোগী করা এক দাসের মত জীবন, যার একটুও ব্যতিক্রম হবার নয়।
এবং অন্য শ্রেণীটি হচ্ছে এলিট। পৃথিবীর সমস্ত কিছু তারা ভোগ করবে। অতি উচ্চ প্রযুক্তির সহায়তায় সুপার হিউম্যানে পরিণত হওয়া ঐ ক্ষুদ্র গোষ্টিটি পৃথিবীর সমস্ত বিলাসিতা ভোগ করবে। এ এক অন্য রকম বিলাসিতা। এ বিলাসিতা আমরা হয়তো এখনো কল্পনাও করতে পারবো না।
এ যেন মরণকে জয় করে চিরজীবি হওয়ার প্রস্তুতি। নতুন বিশ্বব্যবস্থার (New World Order) সদস্যদের এই-ই হচ্ছে পরিকল্পনা। এই-ই হচ্ছে BILDERBERG GROUP গ্রুপের এজেন্ডা।
একটু পিছন ফিরে দেখা যাকঃ
ছবিতে ভয়ংকর ইউজেনিক্স্ এর কাহিনী। One Picture Tells Thousands Words. তাই ছবির আশ্রয় নিলাম।
উল্লেখ্য তাদের পরিকল্পনামাফিক জাতিসংঘ প্রতিষ্টার পর তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারপর কানাডা, মেক্সিকো ও আমেরিকা মিলে নর্থ আমেরিকান ইউনিয়ন গঠন প্রায় শেষ পর্যায়ে, তারপর আফ্রিকান ইউনিয়ন, তারপর এশিয়ান ইউনিয়ন। এক পর্যায়ে একটা সুবিধেজনক সময়ে এ চারটি মিলিয়ে এক বিশ্ব, এক সরকার, এক আর্মি, এক মুদ্রা, এক ভাষা, এক আইন, এক ধর্ম ........................। এই-ই হচ্ছে পরিকল্পনা। এটি এখন আর গোপন নেই।
জানাজানি হয়ে গেছে। তবে এদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারো নেই, মুরোদ নেই, শক্তি নেই। স্লো-লি বাট্ সিওরলি। ধীরেধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবেই সব বাস্তবায়নের পথে। তা’ হবে সম্ভবত আগামী ৬০ বছরের মধ্যেই।
এ জন্য যা’ যা’ দরকার সব তৈরী। পরিকল্পনা, মেশিনারি, টুল্স্ এবং প্রচুর অর্থবিত্ত।
RFID CHIP অর্থাৎ RADIO FREQUENCY IDENTIFICATION। হ্যাঁ, আর.এফ.আই.ডি। ছোট্ট একটি চিপ্।
এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগেরও কম দৈর্ঘ্যের। কি হবে এতে?
২০০৫ সালে ইমিগ্রেশান কন্ট্রোল ও তথাকথিত ওয়ার অন্ টেরোরিজম এর অজুহাতে কনগ্রেস এক প্রস্তাব পাশ করে। এতে বলা হয় – উক্ত দৈর্ঘ্যের ঐ চিপ্ প্রথমে কার্ড হিসেবে এবং পরে শরীরে চামড়ার নিচে প্রত্যেক আমেরিকান এর শরীরে ইমপ্লান্ট করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে কালক্রমে পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের শরীরে ঐ চিপ্ ইমপ্লান্ট করা হবে। এই চিপের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের প্রতিটি মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
বোঝাই যায় কোন মানুষ গোপনে আর কোন কিছুই করতে পারবে না। সন্দেহজনক কোন কিছু করতে গেলে তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু হবে –এমন প্রযুক্তিও বর্তমান রয়েছে বলে জানা যায়। ঐ চিপ্ সেন্ট্রালাইজ্ড্ ওয়ান ওয়ে ইকোনোমিতে ব্যবহার হবে। মানুষের প্রতিটি মুভমেন্ট, ট্যাক্সপ্রদান জি.পি.এস সারভিলেন্স এর আওতায় এসে যাবে। এসমস্ত ক্ষেত্রে CFR গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
হ্যাঁ, CFR হচ্ছে Council on Foreign Relations এর Acronym. এ হচ্ছে বিশ্বের তাবৎ এলিট গ্রুগের ক্লাব। তারাই আমেরিকা চালায়। বিশ্ব চালায়। IMF এবং World Bank চালায়।
এত কোম্পানীর মালিক এবং এত টাকার মালিক হলে তো যে কেউই শয়তান হয়ে যাবে ! ! !
সবাইকে বিকল্পধারার বিখ্যাত সাংবাদিক এলেক্স জোন্সের আলোড়ন সৃষ্টিকারী নিচের প্রামাণ্য ভিডিও-টি (Documentary Movie) দেখতে আহবান জানাই।
স্ক্রীণে বা ডাউনলোড করে, যে ভাবেই হোক দেখুন। চমকে উঠবেন। হতবাক হয়ে যাবেন। বাস্তব কল্পনাকেও যে হার মানায়, তা' এ ফিল্ম দেখলে বুঝতে পারবেন।
আ্যলেক্স জোন্সের বিখ্যাত ডকুমেন্টারি মুভি The Endgame.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।