তারেক রহমান দুর্নীতির রাজপুত্র কিংবা বরপুত্র। যার সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট কল্পকথাকেও হার মানিয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়া ও সাবেক প্রধানমন্ত্রির জ্যেষ্ঠপুত্র ২০০৭ সালে যান থানা হাজতে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক নাগামহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার বিদেশে টাকা পাচারসহ অভিযোগের পাহাড় জমে যাচ্ছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে তারেক রহমান ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসাবে বনানীর হাওয়া ভবনে বসে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রির কার্যালয়ের পাশাপাশি তারেক রহমান হাওয়া ভবন থেকে নেপথ্য সরকারী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেন। এ সময় থেকে তারেক রহমান এবং হাওয়া ভবন ঘিরে দলের তরুণ নেতা ও ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট তৈরী হয়। তারেক রহমানের পাশাপাশি সিন্ডিকেটের সদস্যরাও তার নাম ব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে নেন। ক্ষমতা চিরদিনের নয় তারেক রহমান এ কথা ভূলে গিয়েছিলেন।
২০০২ সালের প্রথম দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে তাকে মনোনীত করা হয়। এরপর থেকে তারেক রহমানকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি বনানীর হাওয়া ভবনে নিয়মিত বসতেন। সেখানে তিনি ৪০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীও নিয়োগ দেন। বিদ্যুতের খাম্বাসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সরকারের বড় বড় কেনাকাটাসহ তারেক রহমানের মাধ্যমে হয়েছে।
তারেক রহমান ব্যবসায়ী বন্ধুদের মাধ্যমে বিনা প্রতিযোগীতায় সরকারের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেন। এমনকি মোটা অংকের টাকা মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ করতে গিয়ে ধরা পড়েন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র: যুগান্তর, ০৮ মার্চ, ২০০৭
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।