সুদূরে দৃষ্টি নিবন্ধ তার, শরীরে মাংসের ঘ্রাণ
গা গুলিয়ে দেয়নি গত একবছর;
ত্বক পেয়েছিল এক মসৃণ পেলবতা, বুড়িগঙ্গার পাড়
ছাপিয়ে লাজুক কোন গ্রামের মত ঘোমটা
টেনেছে, অতীত ভুলে সেই বর্তমানে।
চোখের রক্তিম আভা,
শরীরে ক্লান্তির ছাপ ছিল এতদিন দূরে সরে;
আহবানে কারো ভেঙেছিল নিশাচরের আঁধার।
ফিরে গেলো লোলিটা, সাধ্য আর স্বপ্নের আর্তনাদে।
মাংসাশী তারা লুকিয়ে রেখেছিল তীক্ষ্ণ নখ
ক্রমাগত নিঃসরিত লীপ্সার লালা;
আঁধার করা ঘরে জ্বলেছে তাদের চোখ।
হাতড়ে ফিরেছে বিগতজন্মের প্রাণ,
নেকড়ের মত প্রায় প্রতিটি আঁচড়ে
খুঁজে গ্যাছে অবিরাম;
তখন যৌনকিষ্টের আহার
সুনিশ্চিত শিকার লোলিটা যেনবা।
লোলিটা এসেছে ফিরে, খুইয়ে স্বপ্ন-সাধ অন্তিমের আকাঙ্খা।
শত উদ্বেগ আর অবিরল হতাশার ধারা
থেমে গ্যাছে; থেমে যায় অবশেষে।
জীবনের খেদ তা কেবল ফেলে আসা পথে;
অতীত স্বপ্ন-ঘোরের পদচ্ছাপ
হুংকার দিয়ে ক্রমাগত ফিরে আসে।
স্বপ্ন বুনোনে যে সূতো যোগালো একদিন নবাবেরা
সে সূতোর ধারায় ছেদ পড়ে।
ফিরে যায় লোলিটা, পালিয়ে বাঁচে যেনবা ঈশ্বর স্বয়ং।
সেই ঘরহীন ঘরে, নিশাচরের জীবন
অভ্যস্ত শরীর অনিচ্ছায় তবু দিয়ে যায় প্রলেপ
টিকে রাখে সভ্যতার শুভ্রতা; তখন
বাদামতলী থেকে দূরে সরে যায় পৃথিবী।
লোলিটা ফিরে গ্যাছে তবু বাদামতলীর স্মৃতি টিকে আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।