তথ্য সন্ত্রাসের কবলে পড়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। দেশের ইমেজ, ভাবমূর্তি, যাবতীয় অর্জন এবং সকল সম্ভাবনার গলা টিপে ধরে ব্রিটেনের সাময়িকী ইকোনমিস্ট এ দেশের রাজনীতি নিয়ে, বাংলাদেশ নিয়ে কুরুচিপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মতবিরোধকে পুঁজি করে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণায় নেমেছে পত্রিকাটি। সরকার তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছে। এই বিচার ঠেকাতে শত শত কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে মাঠে নেমেছে স্বাধীনতাবিরোধীরা।
দেশ-বিদেশে তারা তৎপর রয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রধান বিরোধী দলও রয়েছে মানসিক সহমর্মিতায়। দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত এখন একজোট।
ইকোনোমিস্টের ২৬ মে শনিবারের সংখ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটোর শিরোনাম ছিলÑ ১. বাংলাদেশের বিষাক্ত রাজনীতি : হ্যালো দিল্লি এবং ২. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিপজ্জনক পথে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবেদন দু’টির মূল বক্তব্য হচ্ছে, বিশ্ববাসী বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব কমই আস্থা রাখে।
কারণ এদেশের কোনোকিছুরই ঠিক নেই। বাংলাদেশের ১৭ কোটি দরিদ্র মুসলমান পৃথিবীর নিকৃষ্ট শাসনের মধ্যে বসবাস করছে। যেহেতু এদেশের রাজনীতিকরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে আগ্রহী নয় তাই বাইরের বিশ্বকে এ কাজ করতে হবে। সংসদ নির্বাচনের ১৮ মাস আগে বাংলাদেশের রাস্তায় প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে, বিরোধী দলের নেতাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। আগামী নির্বাচন কার অধীনে হবে এবং স্বচ্ছ হবে কী না তা নিয়ে বিবাদ দেখা দিয়েছে।
সরকার গ্রামীণ ব্যাংককে গ্রাস করতে চায়। সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দীর্ঘ অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি এতটা ব্যাপক
বিস্তৃতি লাভ করেছে যে, দাতারাও শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনা যতই কঠোর হচ্ছেন জনগণ ততই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ক্ষমতায় এসে সংবিধান পরিবর্তন করে তিনিই (শেখ হাসিনা) সেই ব্যবস্থা (নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাতিল করে দিয়েছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এতো বিশেষণ দিয়ে, এতোটা উগ্র মনোভাব নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক সাময়িকী একটি দেশের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবেদন ছাপতে পারে সেটা অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়। অথচ ইকোনমিস্ট সেটাই করেছে। এটি যে ষড়যন্ত্রের অংশ সেটি সহজেই বুঝা যায়।
স্বাধীনতার ৪০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন কম নয়।
বাংলাদেশ তার অন্তর্গত শক্তিকে জাগিয়ে তোলার সব চেষ্টায় রত। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং মতবিরোধের পরও এদেশের প্রায় এক কোটি মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সবাই যে ডিস ওয়াশ করে কিংবা ক্যাব চালিয়ে সেবা দিচ্ছে তা নয়। বিশ্ব বিস্তৃত বাংলাদেশীরা শিক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা, স্থাপত্য, তথ্য-প্রযুক্তিসহ সব ধরনের উচ্চ মেধার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। তুলে ধরছে দেশের ভাবমূর্তি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সুনাম বজায় রাখছে। এই খাতে অর্জন করছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। এদেশে হাজার হাজার তরুণ ঘরে বসেই বিদেশের শত শত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছে। আয় করছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। আউটসোর্সিংয়ে বিশ্বের সেরা ওয়েবসাইট ওডেস্কে বাংলাদেশী তরুণদের অবস্থান এখন তৃতীয়।
বাংলাদেশ এগুচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প, বস্ত্র শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অনেক ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশকে অবদমিত করে রাখার আর কোনো সুযোগই নেই। যে হেনরি কিসিঞ্জার এই দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে কটাক্ষ করেছিলেন, সেই দেশই এখন বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য অনেক দূতিয়ালি করে। এটি আমাদের পরম সৌভাগ্য আর গর্বের ব্যাপার। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাত এদেশকে একটি মর্যাদাকর অবস্থানে নিয়ে যাবেÑ এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু এই আশার গুড়ে বালি ছিটিয়ে দিতে ব্যস্ত এক শ্রেণীর নোংরা মানসিকতার মানুষ। তাদেরই তৎপরতায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চলছে। সম্প্রতি শ্রীলংকা গার্ডিয়ান অনলাইন পত্রিকাও বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিত্তিহীন চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করে। সরকারের অনেক ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, আছেও। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, মোটা অংকের টাকা ঢেলে আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাতে হবে।
এই দেশটার মর্যাদাহানি হলে তার গ্লানি শুধু বর্তমান সরকার তথা শেখ হাসিনার গায়েই লাগবে না। দেশের প্রতিটি মানুষের গায়ে লাগবে। কোটি প্রবাসীর গায়ে লাগবে। যারা দেশের ভাবমূর্তি তৈরিতে নিজেদের মেধা ও শ্রম ব্যয় করছেন।
এখন আর কামান, বন্দুক, বোমারু বিমান নিয়ে দেশে দেশে যুদ্ধ করার কোনো দরকার নেই।
এখন চলছে তেলের যুদ্ধ, পানির যুদ্ধ, অর্থনৈতিক যুদ্ধ, টেকনোলজি ও তথ্য-প্রযুক্তির যুদ্ধ। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অর্থায়নে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। সরকারের ক্ষমতার দেড় বছর বাকি থাকতেই নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে অপশক্তি। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে চায়। যে কোনো উপায়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে ক্ষমতায় যেতে চায়।
এজন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানারকম ষড়যন্ত্র চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টে প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছে।
একটা সময় ছিল, দেশে বা বিদেশের মিডিয়ায় আপত্তিকর কিছু প্রকাশিত হলে সেই সংখ্যাটি বাজেয়াপ্ত করা হতো। এখন সেই দিন আর নেই। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ পত্রিকা না কিনেই কম্পিউটার খুলে ঘরে বসে ই-পেপার পড়তে পারছে।
ইন্টারনেটের কল্যাণে স্থান-কালের সীমানা ভেঙে পড়েছে। এজন্য ছাপানো পত্রিকার বাজার পড়তির দিকে। পত্রিকার আয়ও কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। বিশ্বের অনেক নামী-দামী পত্রিকাও এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। এজন্যই টাকা দিয়ে প্রতিবেদন ছাপানোর বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে।
যোগাযোগ থাকলে এবং জায়গামতো টাকা ঢালতে পারলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এরকম প্রতিবেদন লেখানো খুবই সহজ ব্যাপার। বিশেষ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে স্বাধীনতাবিরোধিরা যে শত শত কোটি টাকার মিশনে নেমেছে তাদের কাছে এই প্রোপাগান্ডা ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
ইকোনমিস্টের মতো এক সময়ের মর্যাদাকর একটি পত্রিকা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত একটি উন্নয়নশীল দেশের সরকারের বিরুদ্ধে এমন নিকৃষ্ট ভাষায় প্রতিবেদন ছাপতে পারেÑ সেটা কল্পনাও করা যায় না। এর পেছনে যে গভীর গোপন ষড়যন্ত্র রয়েছে সেটা না বোঝার কোনো কারণ নেই। নিরপেক্ষ সমালোচনা হলে সরকার এবং বিরোধী দলকেও সবকিছুর দায় নিতে হবে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ৫ জুন ছায়া বাজেট উপস্থাপন করবেন। তার মানে, সরকারে গেলে তারা কি কি করতে চান কিংবা এই সরকারের কি কি করা উচিত সেরকম প্রস্তাবনা রয়েছে তার ছায়া বাজেটে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে হয়তো মনে হয়েছে যে বিকল্প বাজেট দিয়ে তাদের মনোভাব জানানো দরকার। কিন্তু সম্প্রতি অহেতুক সহিংস আন্দোলনে যে ক’জনের প্রাণপ্রদীপ অকালে নিভে গেলো, লাগাতার হরতালে দেশের যে ক্ষতি হলো তার দায় কি নেবে বিরোধীদল বিএনপি? এসব কথা কিন্তু ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে নেই। থাকার কথাও নয়।
কারণ, সেখানে তো সরকার ও বাংলদেশের ইমেজ ধ্বংসের তথ্য রয়েছে। সরকারকে অস্থিতিশীল করা এবং জনজীবন দুর্বিষহ করায় বিরোধী দলের ভূমিকার কথা নেই। কারণ, তাদের ইন্ধনেই বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তৎপরতা চলে।
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনের বক্তব্যকে মনগড়া ও ভিত্তিহীন বলা হলেও এ নিয়ে দেশের পত্র-পত্রিকায় তোলপাড় হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিকে বলা হয়েছে ‘বিষাক্ত’ এবং দেশের পরিস্থিতিকে ‘বিপজ্জনক’ রূপে গণ্য করা হয়েছে।
বস্তুত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময়, উত্তপ্ত এবং উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। ক্রমাগত হরতাল, ভাঙচুর, হুমকি ও বিভেদ সৃষ্টি করেছে সহিংসতা, অনৈক্য ও অনাস্থা। শান্তিপ্রিয় মানুষের এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে পুরো বিষয়টিই দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এতে সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের দায়ও কম নয়।
এজন্য সরকার ও বিরোধী দলকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে বিপজ্জনক পথে নিয়ে যাচ্ছেনÑ এ বক্তব্য সরকার অস্বীকার করেছে। এজন্য বিরোধী দলের নৈরাজ্যমূলক কর্মসূচিকে দায়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের মতে, সরকারই তাদেরকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে, সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে অসত্য, বানোয়াট ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা। প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটিকে তারা অগণতান্ত্রিক এবং সুবিধাভোগী ও চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্র বলেও অভিহিত করেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও বিএনপির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তারা সব সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লিখে থাকে। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেকগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। হানিফ বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করায় তাদের ও আশ্রয়দাতাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে ইকোনমিস্ট এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। বিএনপির শাসনামলে শামসুর রহমান, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ অসংখ্য সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন হানিফ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ইকোনমিস্টের নেতিবাচক মন্তব্য সম্পর্কে হানিফ বলেন, এ বক্তব্য কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ পরিচালনায় ছোটখাটো দুর্বলতা থাকতে পারে।
এদিকে ইকোনমিস্ট, শ্রীলংকা গার্ডিয়ানের পাশাপাশি তথ্য সন্ত্রাসে এখন দেশীয় মিডিয়াও যোগ দিয়েছে।
বিশেষ করে কর্পোরেট করায়ত্ব টেলিভিশন মিডিয়া সরকারকে অজনপ্রিয় করতে যেন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। এমনিতেই সরকারের শেষ সময়ে অনেক রকম হিসাব নিকাশ শুরু হয়। এবার ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেন আগে ভাগেই সেটা শুরু করেছে। তারা বিরোধী দলের কর্মসূচিকে হাইলাইট করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আন্দোলন উস্কে দেয়ার মতো সংবাদ-প্রতিবেদন প্রচার করছে।
বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে অনুমোদন পাওয়া মিডিয়াগুলো এ প্রবণতায় এগিয়ে। এই অবস্থায় সরকারকে সতর্কভাবে এগুতে হবে। ভুল যাতে কম হয় সে চেষ্টায় সচেষ্ট থাকতে হবে।
হাসান ইকবাল
http://swadeshkhabar.com/?p=626 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।