তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল হাসবেন না। রাগ করবেন না। গালি দিবেন না। কথাটা একবার ভেবে দেখেন।
ডেসটিনি, ইউনিপেটুইউ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। ভোলা সমিতির ২৪ ঘন্টায় ইংরেজি শিক্ষার চেয়েও দ্রুতগতিতে কোটিপতি হওয়ার পন্থা আবিস্কৃত হয়েছে। এমএলএম কোম্পানিতে মিথ্যা বলে প্রতারনা করে টাকা বানানো হয়। অল্প দিনেই হাজার কোটি টাকা চলে আসে ব্যাংকে। অভাজনরা বলেন যখন দায় মেটানোর সময় হয় তখন সরকার নজর দেন।
নাকি কোম্পানীগুলোই সরকারকে সক্রিয় করেন যাতে কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা তাদের অর্জিত সম্পদ নিয়ে ভাগতে পারেন।
কিন্তু জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়া তো আরো লাভজনক। গবেষকরা বলছেন বর্তমান সংসদে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেশি।
অতএব তারা জানেন কিভাবে টাকা বানাতে হয়। এরশাদের সময় একজন সংসদস সদস্য বলছিলেন নির্বাচন করে তার লাভ হয়েছে পাচ লাখ টাকা।
কারণ যে টাকা খরচ করেছিলেন আর যে পরিমাণ চাঁদা তুলেছিলেন তাতে লাভটাই বেশি ছিল।
বর্তমানে নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যে খরচটা হয় তা উঠে যায় মনোনয়ন পাওয়ার সাথে সাথে। এর পর নির্বাচনের জন্য চাঁদা সংগ্রহ। চাইতে হয় না। অনেকে বাড়ী বয়ে দিয়ে যায়।
নির্বাচনে বিজয়ের পর তো তা বহুগুণে বাড়ে। স্থানীয় বিচার আচার, টিআর এর গম, বয়স্কভাতা, স্থানীয় কন্ট্রাক্টরি, পুলিশের কমিশন, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কমিশন, বাজারের টোল সব জায়গা থেকে বানের পানির মতো টাকা আসতে থাকে। চাকরি,বদলি ইত্যাদি তদবিরেও পাওয়া যায়।
মন্ত্রী মিনিস্টার হলে তো আরো বেশি। সোনায় সোহাগা।
এমন কি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি হলেও টাকা পাওয়া যায়।
যে ব্যক্তি সংসদ সদস্য হওয়ার আগে নবাবপুর থেকে পান্জাবী কিনতেন তিনি এখন যান আড়ং এ। আর দুপুরে খাওয়ার জন্য যিনি অন্যের আশায় বসে থাকতেন তার লাঞ্চ প্যাকেট আসে রুপসী বাংলা থেকে (সেটা যে কে দিয়ে যায় তা তিনি নিজেও জানেন না)। মন্ত্রী এমপি হওয়ার আগে যে ব্যক্তি অপরের মটর সাইকেলে কোর্টে যাওয়া আসা করতেন (ওকালতীর জন্য) তিনি এখন অনেকগুলো গাড়ীর মালিক। গুলশানে বাসাও হয়ে গেছে মন্ত্রী হওয়ার পর।
এটা কেবল আওয়ামী লীগ না। বিএনপির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সব শিয়ালের এক রা।
তবে এসব নিয়ে কথা বলা যাবে ন। তাতে সমস্যা আছে।
তবুও মনে হইলো, বলে ফেললাম।
যে ভাবে ভাবুক। আমার কথা আমাকেই তো বলতে হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।