ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রইব্যুনালের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন রোববার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আপিল বিভাগ গত ৫ মে আমিন হুদার জামিন বাতিল করে তাকে সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদেশের কাগজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছাতে বিলম্বের কারণে তিনি আত্মসমর্পণ করলেন প্রায় এক মাস পর।
রোববার তিনি আদালতে আসেন হুইল চেয়ারে করে। তার আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
আপিল বিভাগের আদেশের পর জামিন চাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকলেও আমিন হুদা অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন চান।
এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এসএম রফিকুল ইসলাম এর বিরোধিতায় বলেন, আমিন হুদা মোটেও অসুস্থ নন।
শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর গুলশান-১-এর ১২৩ নম্বর বাড়ি থেকে আমিন হুদা ও তার সহযোগী আহসানুল হক ওরফে হাসানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওই সময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা বড়ি, ইয়াবা তৈরির সরঞ্জাম, দেড়শ বোতল ফেন্সিডিল, ৪৬ লাখ টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি মামলায় ২০১২ সালের ১৫ জুলাই আমিন হুদা ও আহসানুল হককে মোট ৭৯ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রইব্যুনাল।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আমিন হুদা একই বছরের ২৯ জুলাই হাই কোর্টে আপিল করেন। এই প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট গত বছর ৩১ জুলাই মামলার নথি তলব করে জরিমানার আদেশ স্থগিত করে।
চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ‘শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে’ তাকে ছয় মাসের জামিন দেয় হাই কোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষ ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে গত ১০ মার্চ আপিল বিভাগে গেলে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ আমিন হুদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।