আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার আপনি ক্ষমা চাইবেন না । সকল চোররা এক হলেও আপনার ছাত্ররা পাশে আছে।

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিয়ে ‘আপত্তিজনক’ বক্তব্যের জন্য আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আলী আশরাফ। শনিবার এক আলোচনা সভায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কর্ণধারের বক্তব্য ধরে কয়েকজন সংসদ সদস্যের আলোচনার পর তাকে আলী আশরাফ এই আহ্বান জানান। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে সংসদে তলব করার হুমকিও দিয়েছেন অধিবেশনের সভাপতি।

সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই সময় অধিবেশনে ছিলেন। আলী আশরাফ বলেন, “তাকে (সায়ীদ) আমরা এ সংসদে তলব করতে পারি। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। সংসদকে অবমাননা করার অধিকার কারো নেই।

“সংসদ অবমাননা করা ব্যাড সিগন্যাল। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, গণতন্ত্রের আকাশে কালো মেঘ দেখা যায়। ” শনিবার টিআইবির আলোচনা সভায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ‘সাংসদ ও মন্ত্রীরা চোর-ডাকাতের মতো আচরণ করেন এবং শপথ ভঙ্গ করেন’- এই বক্তব্য দেন বলে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হয়। ওই বক্তব্য ধরে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংসদে আলোচনার সূত্রপাত করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম। এরপর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সমালোচনা করেন জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু ও আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

ফজলুল আজিম কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, “ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আলোচনায় একজন বুদ্ধিজীবী দায়িত্বহীন মন্তব্য করেছেন। “আমরা এখানে জনগণের রায় নিয়ে আসি। অনেকেই আছি, যারা বারবার নির্বাচিত হয়ে আসছি। আমরা কেউ ধোয়া তুলসী পাতা নই। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে।

আইন আছে, ভুল করলে জনগণ বিচার করবে। ” আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্যকে অযাচিত, দুঃখজনক, দায়িত্বহীন আখ্যায়িত করেন সংসদের মাধ্যমে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা দেখার পরামর্শ দেন ফজলুল আজিম। এরপর মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “উনি (ফজলুল আজিম) নামটা বললেন না। এটা ছিল অধ্যাপক আবদুল্লা আবু সায়ীদ। ” “রাজনীতিবদরাই দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

বুদ্ধিজীবীরা অনেক উপদেশ দিতে পারেন। তিনি ভোটারদের অপমান করেছেন,” বলেন জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ সেলিম বলেন, “এটা গণতন্ত্র, সংসদের ওপর আঘাত। বুদ্ধিজীবীরা জাতির বিবেক হয়েছে। বিপদে তাদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যায় না।

” “উনারা কী করেন, এত টাকা কোথা থেকে খরচ করেন? আমি অর্থমন্ত্রীকে বলব, এদের টাকার উৎস কোথায়? প্রতি সপ্তাহে একটা-দুইটা সেমিনার করেন, এত দামি গাড়িতে কী করে চড়ে,” প্রশ্ন করেন তিনি। আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, “নির্বাচিত সরকার থাকলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। অনির্বাচিত সরকার থাকলে তারা পদ পায়। এক এগারোর পর তাদের ভূমিকা কী ছিল? জানা নেই? এক-এগারোর পর ব্যবসায়ী, ছাত্র শিক্ষকদের যখন গ্রেপ্তার করা হলো, তখন তো একটা কথাও বললেন না। ” স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশনের সভাপতির দায়িত্বপালনককারী আশরাফ আলী সংসদ সদস্যদের বক্তব্যকে ‘যথার্থ’ উল্লেখ করে বলেন, “এদেশের মালিক হচ্ছে জনগণ।

তারাই আমাদের নির্বাচিত করেছে। “এ বক্তব্য নিঃসন্দেহে ভালো ইঙ্গিত নয়। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো বক্তব্য নয়। ”  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.