আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মে বিশ্বাস ও অবিশ্বাস

সাধারন, আশাবাদী এবং যুক্তিবাদী । ধর্ম মানুষের জীবন আচরনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । ধর্ম ছাড়া যেমন মানুষ চলতে পারে না, তেমনি মানুষের চর্চা ছাড়া ধর্ম অচল । মানুষের ধর্ম চর্চার ইতিহাস প্রাচীন । আদিমযুগে মানুষ প্রকৃতির নির্মম প্রতিকূলতা থেকে বাঁচার জন্য প্রকৃতি পূজার শুরু করে ।

কিন্তু মানুষের ধর্মবিশ্বাস নিজ নিজ ধর্মের ধর্মপুস্তক অনুসারে পালন ও স্বীকার করা হয় । উদাহরন হিসেবে বলা যেতে পারে ইসলাম ধর্ম/জীবন ব্যবস্হা । পৃথিবীতে আদম ও হাওয়া (আ) এর আগমনের মাধ্যমে মানম-মানবীর বিচরণ এবং সাথে ধর্মীয় অনুপ্রবেশ । যদিও ইসলাম হযরত মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করেছে । বিশ্বে জনসংখার ভিত্তিতে ইসলাম, খ্রীষ্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখা বেশী ।

ছোট ছোট অনেক ধর্ম বা গ্রুপ আছে । কেউ কেউ আধ্যাতিকতায় বিশ্বাস করে । এর বাইরে যারা আছে তাদের মধ্যে অবিশ্বাসী, অবিশ্বাসী হয়ে বিশ্বাসীদের বিরোধীতা করা, মধ্যপন্হা (না বিশ্বাসী, না অবিশ্বাসী), প্রকৃতিবাদে বিশ্বাসী (ডারউইনের মতবাদ), মনুষ্য তৈরি বিশ্বাসে বিশ্বাসী ইত্যাদি । পৃথিবীর বয়স যত বাড়ছে ধর্মে বিশ্বাসী (প্র্যাকটিকাল) মানুষের সংখ্যা তত কমছে । কিন্তু নিজ নিজ ধর্মে মোট জনসংখ্যা বাড়ছে (যেহেতু তারা বংশানুক্রমে ধর্ম পেয়েছে) ।

কেউ যদি খ্রীষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহন করে তাকে খ্রীষ্টান বলা যায় না । কারন সে খ্রীষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী নাও হতে পারে । অথবা মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়ে ধর্মের মৌলিক শিক্ষা থেকে অনেক দূরে। তাদের প্রকৃতঅর্থে বিশ্বাসী বলা যায় কী ? কেউ কেউ আছে ধর্মে চরম অবিশ্বাস করে । মৃত্যুর পরের জীবনকে স্বীকার করে না বা করতে চায় না ।

প্রধান ধর্মগুলোতে বলা আছে যে, যদি তুমি সৎকর্ম করো, ধর্মের বিধিবিধান মেনে চলো, তোমার জন্য আছে এক অপার সুন্দর ব্যবস্হা যাকে বেহেশত্‌ বা স্বর্গ বলা হয়ে থাকে । যদি তুমি অসৎকর্ম করো অথবা ধর্মের বিপক্ষ আচরন করো বা বিধিবিধান অমান্য করো তাহলে আছে নরক/দোযখ/অনেক শাস্তির ব্যবস্হা । ধরা যাক দুই পথ/মতের মানুষ সবাই । হয় বিশ্বাসী অথবা অবিশ্বাসী । এখন যে বিশ্বাসী এবং প্র্যাকটিকাল সে এই ভেবে সুখী যে, সে বেহেশত্‌ বা স্বর্গে যাবে ।

আর যে অবিশ্বাসী তার জন্য নরক/দোযখ অবধারিত। এখন মনে করি, দুপক্ষই যার যার অবস্হানে অনড় । কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না । এবার এই মতালম্বীদের মধ্যে কে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান ? ধরলাম পরকাল বলতে কিছু নেই । বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী দুজনেই জয়ী ।

কারও ক্ষতির আশংকা নেই । কিন্তু বিশ্বাসী মৃত্যুর পর দেখল যে পরকাল আছে এবং বেহেশত্‌ বা স্বর্গে প্রবেশ করল । আবার অবিশ্বাসীও দেখল যে পরকাল আছে এবং নরকে প্রবেশ করল । সুতরাং অবিশ্বাস ও বিশ্বাস থেকে কি এই প্রতীয়মান হয় না যে বিশ্বাস করাই শ্রেয় ও সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমানের কাজ ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.