সর্বপ্রথম সনাতন ধর্মের ঋষিরাই ঘোষণা করেছেন, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সি'। জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও উচ্চে।
রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন - জননী পদ আমাদের দেশে নারীর প্রধান পদ। সন্তানের জন্ম আমাদের দেশে একটি পবিত্র মঙ্গল ব্যাপার। সেই জন্য মনু রমণীদের সম্বন্ধে বলেছেন - প্রজনার্থং মহাভাগাঃ পূজার্হা গৃহদীপ্তয়ঃ' - তাঁরা সন্তানকে জন্ম দেন বলে মহাভাগা, পূজনীয়া ও গৃহের দীপ্তিস্বরূপা'।
বিদ্যাসাগরের মাতা তখন কাশীতে বাস করছেন। বিদ্যাসাগর গেছেন সেখানে। পাণ্ডারা তাঁকে ঘিরে ধরেছে নানা দর্শনীয় স্থান দেখাবে বলে। বিদ্যাসাগর তাঁদের উত্তর দিলেন, আমার জীবন্ত তীর্থ আমার গর্ভধারিণী জননী। তাঁকে সর্বপ্রথমে দর্শন করে তারপর তাঁর অনুমতি নিয়ে আমি বাদবাকি দর্শনীয় স্থান দেখবো।
'
তারপর কালীদাস রায় তাঁর মাতৃভক্তি' কবিতায় লিখেছেন -
নগর গ্রাম লুটিয়া পাপীরা রাজার তলবে জুটিল যবে।
করে সুলতান দণ্ড বিধান আনত মুণ্ডে দাঁড়ায় সবে ।
নেত্র-দহন বেত্র চির কারাবাস ইত্যাকারে।
শাস্তি-পত্রী তাহাদের মাঝে বিলি করা হল নির্বিচারে।
মৃত্যুদণ্ড লভিল যে জন উঠিয়া কহিল জুড়িয়া পাণি।
মোর নিবেদন শুন গো সকলে একটি আমার চরম বাণী।
অন্ধ মায়ের এক সন্তান, মা-র ভার যদি লও গো কেহ।
এই আশ্বাস পাইলে আমি হেলায় পারিব ত্যজিতে দেহ।
আসামী দলের উঠি একজন তাহার পত্রী কাড়িয়া নিয়া।
কহিল তাহারে আপন পত্রী তাহারি হস্তে গুজিয়া দিয়া।
আমার মায়ের পাঁচ সন্তান, তার মাঝে আমি অধম-হীন।
আমি কুপুত্র মায়ের মহিমা বুঝিনি জীবনে একটি দিন।
তোমার মত মাতৃভক্ত মায়ের সেবায় বাঁচিয়া রউক।
কষাল দণ্ড লও তুমি ভাই, জীবন দণ্ড আমার হউক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।