চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
ধর্মে এদের এলার্জি আছে। রমজান মাসে মুসলমানদের ধর্মকর্ম বেড়ে যায়, তাই তাদের এলার্জিও বোধহয় বেড়ে যায়। ১১টা মাসই যারা ধর্ম থেকে কিছুটা দুরে পরে থাকে অন্তত এমাসটাতেই তারা কিছুটা হলেও ধর্মচর্চাতে মনোনিবেশন করে। এটাই এদের আরো বেশি গাত্রদাহের কারন। তাইত তারাবী লাইনের বর্ধিত অংশ গলির পথটি ছুয়ে গেলে উনারা আয়েশ করে দাড়িয়ে দাড়িয়ে গলিতে মুততে পারেন না।
মসজিদে মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়াতে ওনারা দেশের সবধরনের অমংগলকে খুজে পান। যে লোকটা সারাদিন রোজারেখে দৈনিন্দিন কাজকর্মের দখল শেষে ক্লান্ত দেহমন নিয়ে লম্বা একটা সময় নিয়ে রাত্রিতে নামাজের জন্য দাড়াবেন, তখন ত তার মাথায় কেবলই আকামের চিন্তাই থাকার কথা নয়কি? এরমধ্যে লোডশেডিং ত আছেই। আর আপনি দেশকে উদ্ধার করবেন রাস্তায় বিড়ি ফুকে আর অভিজাত পাড়ায় কোন রসাল খাবারের আড্ডায় দেশের ধার্মিকেরা কিভাবে দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে সেই ব্যপারে বয়ান দিয়ে।
দেশের সিংহভাগ মানুষ ধর্মভীরু, আর এটা চাপা না। ত আপনি এই সিংহভাগ মানুষের আবেগ অনুভুতিকে মোটেও তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছা করে যাবেন এটা কোন ধরনের সভ্যতা।
দেশের রাজনীতিবিদ আর কিছু মোল্লারা সবসময় চেয়েছে ধর্মকে তাদের কাজে লাগিয়ে কিছু আয় রোজগার করতে। তাদের এই অপকর্মের সাথে সিংহভাগ ভালো মানুষের ধর্মানুভুতি নিয়ে খোচাখুচি করে রক্তাক্ত করাটা কতটা শোভনীয়। ধর্মের ব্যপারে তারাই বাড়াবাড়ি করে বেশি যারা ব্যক্তিগত জীবনে ধার্মিক না। অতএব ধর্মের ব্যপারে বাড়াবাড়িটা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
কিন্তু সমস্যা হল আরেকটি দল নিয়ে (এখানেও) যারা সংখ্যালঘু হাতেগুনা কয়জন বকধার্মিকদের আচরনকে অজুহাতে হিসাবে নিয়ে ধর্মের বিরুদ্ধাচারন করতে গিয়ে বাকসংযমসহ হারিয়ে বসে।
অসহ্যরকম অশালীন এবং অসংযমী হয়ে উঠে।
এতে করে কিন্তু বাংলাদেশের সিংহভাগ ধর্মপ্রান বাংলাদেশীকেই আহত করা হয় বেশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।