প্রিয় রানা,
আশা করি হাজতের ভেতর হেফাজতেই থুক্কু কুশলেই আছ। তোমারে ছাড়াইবার জন্য বিভিন্ন চ্যানেলে যোগাযোগ চালাইতেছি। জংধরা ভাইয়ের মাধ্যমে একজনের কাছে গেছিলাম। সে চার হাজার কোটি টাকা চায়। সে বলে এইটাকা কোন ব্যাপারই না।
অবশ্য সে বলছে প্লাজা-ট্রাজেডিও কোন বড় ঘটনা না। এই মামলা টিকবে না। আর একজন আছে, তার কাছে যাইতে পারলে সব থেকে ভালো হইতো। কিন্তু তার নাকি ভাঙ্গন-ফবিয়া দেখা দিছে। তার মনে হইতেছে, মানুষের হাটা-চলা, হাচি-কাশি, নিশ্বাস-প্রশ্বাস জনিত কম্পনের ফলে সব বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়বে।
তাকে অচিরেই পাবনার হেমায়েতপুরে নেয়া হবে হাওয়া বদলের জন্য। কাল-বিড়াল নামে একজন আছে, সেও উপকারে আসতে পারে। আগে নাকি সে সাদা ছিল তবে রঙের পরিমান বেশি হওয়ার কারনে সে কালো হয়ে গেছে। যাক সে কথা, তার কাছে টাকা নিতে হবে রেলগাড়ি করে। সাভারে যেহেতু রেল চলে না সে জন্য এই চিন্তা বাদ দিয়েছি।
যা, হোক আশা ছাড়িও না, চেষ্টা চলিতেছে। জং-ভাই বলছে সব ঠিক করে দিবে। আপাতত আমাকে এক হাজার কোটি টাকার একটা চেক পাঠাও, খরচ আছে।
খোদা হাফেজ।
তোমার বন্ধু, ইঞ্জিনিয়ার কেরামত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।