রানার ছুটেছে রানার, জানা অজানার বোঝা কাধে নিয়ে। এটা ছোট বেলা পড়েছিলাম। কিন্তু এখন এস এম এস, এম এম এস এবং ই-মেইল সবই ডিজিটাল পদ্ধতি। কিন্তু বর্তমান সেই রানারদের অবস্থা কি? চলুন একটু সরজমিনে গিয়ে দেখে আসি। সরকারের দেওয়া ¯^í ভাতায় অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন তালা উপজেলায় কর্মরত ডাক বিভাগের অবিভাগীয় রানার, পিয়ন এবং পোষ্ট মাষ্টাররা।
অপরের হাসি আনন্দ বহন করার এই মহান পেশায় তারা নিজেদেরকে উৎসর্গ করলেও তাদের দুঃখের চিঠি পড়ার কেউ নেই। খোজ নিয়ে জানা গেছে তালা উপজেলায় ১২টি ইউনয়নে বিভিন্ন পোষ্ট অফিসে ১৩জন রানার, ২৪জন পিয়ন ও ২৯ জন পোষ্ট মাষ্টার অবিভাগীয় পদে কর্মরত আছেন। তাদের মাসিক ভাতা যথাক্রমে ৭০৪/- ৭৪০/- ও ৭৫০/- টাকা। রানাররা প্রতি বছরে ১টি ছাতা পেয়ে থাকেন। এই প্রাপ্তিতেই রানারদের অনেককেই দীর্ঘ ১২/১৪ কিঃ মিঃ পর্যন্ত পাড়ি দিয়ে পাটকেলঘাটা সাব পোষ্ট অফিসে ও তালা উপজেলা পোষ্ট অফিসে ডাক পৌঁছাতে হয়।
পিয়নদের মাটি ভেজা ঘামে চিঠি পৌঁছাতে হয় বাড়ী বাড়ী। পোষ্ট মাষ্টারদের অফিস করতে হয় দীর্ঘ সময়। বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীদের বেতন স্কেল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি এই হতভাগ্য মানুষগুলির। কর্তৃপক্ষের শুভদৃষ্টি পড়েনি এই ক্ষুধা অনটনক্লিষ্ট মানুষগুলির প্রতি।
১৯৯৬ সালে রানারদের ভাতা ৩২৫ হতে ৭০৪ টাকায়, পিয়নদের ৩৪০ টাকা ৭৪০ টাকায় এবং পোষ্ট মাষ্টারদের ভাতা ৩৫০ টাকা হতে ৭৫০ টাকায় উন্নীত হয়। জিনিসপত্রের দাম বহুগুনে বৃদ্ধি পেলেও দীর্ঘ ১২ বছর একই ভাতায় চাকুরী করছেন তারা। এ প্রসঙ্গে নয়াদিগন্ত প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় সেনেরগাতী পোষ্ট অফিসের রানার অজিয়ার রহমানের সাথে। তিনি বলেন এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে ৭০৪ টাকা দিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট ১টি পরিবারকে ১টি মাস কিভাবে ভরণ পোষন যোগাতে হয়? এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সদয় বিবেচনার দরকার। পাশাপাশি তিনি তাদের চাকুরীকে একটি স্থায়ী বেতন স্কেল প্রদানের দাবী জানান।
একই অভিমত ব্যক্ত করেন পোষ্টম্যান ছবেদ গাজী, সরুলিয়া পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাষ্টার রোস্তম গাজী, রানার মুনছুর আলী প্রমুখ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।