এসো আবার চড়াই উৎড়ই..........
শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালার অপ্রকাশিত অংশটুকুর, প্রকাশের যে অপেক্ষা ছিল তা ভেঙ্গে ফেলার সঠিক সময়টি পাওয়া গেল........................
“কারিগরি খাশি করণ পদ্ধতিটির কয়েকটি শ্রেনীভেদ ইচ্ছে করেই, করে রেখেছেন প্রাক্তণ খামার প্রতিপালকরা”।
অশিক্ষিত কারিগরি খাশিকরণ পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতির খাশিদের বিভিন্ন সমাজ কাঠামো হতে বাছাই করে, চোখ উপড়ে নিয়ে, মগজ খাবলে খেয়ে, জোঁয়াল বইতে শিখানো হয়, এরা বুঝে জোঁয়াল বইতে থাকা, জীবনের শেষ নিঃশ্বাসটুকু পর্যন্ত।
আধা কারিগরি খাশিকরণ পদ্ধতিঃ ইনারা প্রচলিত সাধারন, ধর্মীয়, বিদেশী, সামরিক খাশিকরন হতে ঝড়ে পড়া খাশি স¤প্রদায়, যাদেরকে কিছু চর্বিত মেইনটেন্যান্স দেখা-শোনার জন্য ও প্রায়ই জোঁয়াল বইতে পাড়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়। ইখানে নানা বয়সের খাশির সমন্বয় ঘটে। মাঝে মাঝে কিছু কিছু মাঝারী মানের খাশিও পাওয়া যায়।
ডিব্বা কারিগরি খাশিকরণ পদ্ধতিঃ বিশ্বের লাল সেনাবাহিনীর দেশে এই আকারের খাশিরা নাকি একদিন কারিগরি বিপ্লব সাধন করেছিল। সমস্ত লতা-পাতা-গুল্মকে বেটে পানি সহকারে ইহাদেরকে গিলানো হয়। না গিললেও চলে, মুখে লাগিয়ে গোফঁ ভিজালেও খাশি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ইখানেও নানা প্রজাতি হইতে ছাগল সংগ্রহ করা হয়। হালে ইহারা টাকার বিনিময়ে গলায় মালা ঝুলাইয়া বিচি হইবার আশায় আছেন।
ইছারা শিয়াল-মতারা ইহাদের বিচি বানাইবার জন্য ইকখানা আলাদা ডিব্বা টু বিচি কারখানা রাখিয়াছেন।
বিচি কারিগরি খাশিকরণ পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতির খাশিদের অন্ডকোষকে এমনভাবে জীহ্বায় প্রতিস্থাপিত করা হয়, যেন ইহারা চক্ষু মুদিয়া শুধু চাঁটিতে পারে, নানা জাতের কারিগরি খাশিদের মাথায় রাখা লবণ, উৎকৃষ্ট খাশি সম্প্রদায় ও শিয়াল পন্ডিতদের লিঙ্গ ও পদসমূহ। চাঁটিতে থাকে আর লোল ঝড়িতে থাকে। এ পদ্ধতির খাশিসমূহকে প্রায়ই শিয়াল-মাতারা বিশেষ মূল্যায়ন করিয়া থাকেন। নানা প্রজাতির খাশিকরণ প্রক্রিয়া হইতে তথাকথিত উৎকৃষ্ট(!) খাশিসমূহকে বাছিয়া লওয়া হয় চাঁটার জন্য, লিঙ্গ বলিয়া কথা, কামড়াইয়া ধরিলে?
****
আমাদের খাশিদের মানুষ করিবার দ্বায়িত্ব যাহাদের ঘাড়ে তাহাদের ক্ষমতার মোহ, এই সমাজ-রাষ্ট্রকে শোষনের মোহ, কখনওই ছাগ-শিশুদের মানুষ করিতে দিবে না, কারণ এরা যদি মানুষ হয়ে যায়, তবে...........................।
শেষে একটা কথাই বলিব যাহারা খাশিকরণ প্রক্রিয়ায় থাকিয়াও কিংবা প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণের পরও, কিছুটা মানুষ্য মগজ ধারন করিয়াছেন, কিংবা নিজেদের মিউট্যাশন ঘটাইতে পারিয়াছেন, অচিরেই আপনাদের বলি দান করা হবে শিয়ালমাতাদের পদতলে, শানিত তলোয়ারের, ধামার আওয়াজ পাইতেছি, বারুদের গন্ধ লাগিতেছে নাকে..................।
আপনাদের মাংসভোগী শিয়াল শিশুদের ও মাতাদের প্রতি ইহাই বলিব।
“ইহারা মরিয়া প্রমাণ করিবে, মানবতা মরে নাই”।
“খাশিকরণ নিপাত যাক”।
///**** বেশ কিছুদিন ধরেই কিছু খাশি ব্যাকরণ, শব্দকোষ, বানানরীতি, লিখণ বুনট, গুরুচন্ডালিকা নিয়ে জল ঘোলা করে চলেছেন, তাহাদের পশ্চাৎদেশে কষাইায়া একখানা লাথি ও গালে চপেটাঘাত করিবার ইচ্ছা বিদ্যুতের মতই আসিয়া মিলিয়া যায়।
কারন,
“ইতরের সাথে ইতরামো করা, মানুষের পক্ষে শোভা পায় না”।
তাই বলিতে চাই,
আপনাদের নিয়সমূহ জানিয়া, বুঝিয়া যাহা বোধদোয় হইল “ইহা টিকিবে না”, যাহা টিকিবে তাহা হইল ডিজিটাল সিগন্যাল, অত জটিলতায় এক্ষুনি গেলাম না, কয়েক সহস্র বছর পরে এই লেখার কোন অস্তিত্বই থাকিবে না, কিন্তু এই কথাটির অস্তিত্ব থাকিবে বলিয়া আমি বিশ্বাসী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।