আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছিলেম দান, আমার আপন হারা প্রাণ..আমার বাঁধনছেড়া প্রাণ...

সুপ্ত তুমি আমার বুকের গহীনে ঘুমিয়ে থাকা একটি নাম, একটি অজানা স্বপ্নের কথা, একটি অলিখিত কবিতা , চেপে রাখা দুঃসহ কষ্টের আর্তনাদ অব্যাক্ত অভিব্যাক্তি আর এক অভিমানের গান আমার না বলা কথার গল্প। হ্যাঁ আমি সুপ্তের কথা বলছি। তার সাথে আমার প্রথম দেখা হবার ঘটনাটি ছিলো খুব কাব্যিক! চৈত্র শেষ হতে তখন আর দিন দুয়েক বাকী। শেষ ফাগুনের বৈকালী ঝির ঝির হাওয়া, বইছিলো শীরিষ, বকুল, কৃষ্ণচুড়ার পত্রপল্লবে, দুলে দুলে গাইছিলো তারা নৈশব্দ সঙ্গীত! মন উচাটন সেই আসন্ন গোধুলী লগনে কোথা থেকে যেন ক্ষনে ক্ষনে ডেকে উঠছিলো এক বসন্ত বৌরী। গোটা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নতুন বর্ষ বরণের সাজসাজ রবে মেতে উঠেছে তখন।

টিএসসি, পাবলিক লাইব্রেরী, চারুকলাসহ পুরো শহরজুড়ে চলছে নতুন বছরকে বরণ করে নেবার নানা আয়োজন। সূর্য্য ডুবুডুবু সেই রক্তিম পড়ন্ত বিকেলে হঠাৎ তার সাথে আমার দেখা। মিলি আর তাহসিনের সাথে চারুকলার এক আবৃত্তি আয়োজন হতে ফেরার পথে ঠিক গেইটার কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ মিলি কাকে যেন দেখতে পেয়ে চিল্লিয়ে ডাকাডাকি শুরু করে দিলো। এমনিতেই মিলি হুল্লোড়বাজ মেয়ে। সব তাতেই তার বাড়াবাড়ি আর আধিক্যের সীমা নেই।

ছুট লাগালো সে বাগানের কোনে বড় বড় চুল দাড়ীওয়ালা, বিশাল এক ক্যানভাসের সামনে তুলি হাতে বসে থাকা একটা ছেলের দিকে। আমরাও পা বাড়ালাম। কাছে গিয়ে দাড়াতেই, ক্যানভাস হতে চোখ তুলে সোজা চাইলো ছেলেটি। আমার দিকেই! হিম হয়ে গেলাম আমি। মেরুদন্ড বেয়ে শীতল স্রোতধারা।

মোটা কালো ফ্রেমের চশমার আড়ালে শান্ত গভীর মায়াময় দুটি চোখ। অন্তর্ভেদী গভীর সে দৃষ্টি সহ্য করা বড় কঠিন ছিলো সেদিন আমার পক্ষে! চোখ ফেরাতে পারলাম না আমি। হিপনোটাইজড হয়ে দাড়িয়ে রইলাম। কতক্ষন ওভাবে ছিলাম জানিনা। সম্বিৎ ফিরলো আবারো মিলির চিল্লাচিল্লিতেই।

ঘাসের উপর বসে পড়লাম ওদের সাথে । ছেলেটি চোখ না নামিয়েই বললো "আমি সুপ্ত"। শুধু এতটুকুই আর বাকী সব মিলি বলে গেলো। সুপ্ত মিলির মামাতো ভাই। চারুকলায় পড়ছে, আরো নানা কিছু বলে যাচ্ছিলো মিলি।

আমি হতবিহ্বল, বাকহরা। আমার মাথায় তখন কোনো কথাই ঢুকছিলো না। মাথার মধ্যে শুধুই তখন রবিঠাকুরের একটি কবিতা আর তার দুটি লাইন। প্রহর শেষে আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস তোমার চোখে দেখেছিলেম আমার সর্বনাশ! চলবে........ এ লেখাটি আমার অনেক অনেক প্রিয় ছোট্ট এক গল্পকার ভাইয়া অপু তানভীর কে উৎসর্গ করছি। ভাইয়াটা সাদামাটা ঘটনাবলী নিয়ে গল্প লেখে বলে অনেকেই তাকে বকাঝকা দেয়।

কিন্তু ভাইয়া একটা কথা তুমি জেনে রাখো, তুমি তোমার ভাবনার ভান্ডার থেকে যাই লেখো দুচার লাইন তাই অসাধারণ হয়ে ওঠে তোমার এই ঢঙ্গী নেকী আর কিচ্ছু লিখতে না পারা আপুটার কাছে। দোয়া করি অনেক অনেক বড় গল্পকার হও একদিন। তোমার নাম দেখে যেন বলতে পারি এই পিচকা ভাইয়াটাকে আমি চিনি। তাকে আর তার গল্পগুলোকে অনেক অনেক ভালোবাসি আমি। অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা তোমার জন্য পিচকাভাইয়া।

অনেক দোয়া করি। অনেক বড় হও ভাইয়ামনি।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।