একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তাঁরা সাবেক ছাত্রসংঘের সদস্য (জামায়াতে ইসলামীর তত্কালীন ছাত্র সংগঠন) ছিলেন। আগামী ১৫ জুলাই তাঁদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাঁদের বিরুদ্ধে এই ১১টি অভিযোগ গঠন করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ৩ (২) (এ) (জি) (এইচ) ধারায় অভিযোগগুলো গঠন করা হয়।
এ নিয়ে এই ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো মামলায় আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হলো। এর আগে জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) আবুল কালাম আযাদের অনুপস্থিতিতে এ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিচারকাজ চলে।
মুক্তিযুদ্ধকালে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন পরিচিত ছিলেন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী আলবদর বাহিনীর ‘অপারেশন ইনচার্জ’ হিসেবে, আশরাফুজ্জামান খানকে বলা হতো ‘চিফ এক্সিকিউটর’। বর্তমানে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে ও আশরাফুজ্জামান খান যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগ গঠনের আদেশে মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাত্তরের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৭ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও পরে হত্যার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
এই বুদ্ধিজীবীরা হলেন দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক কার্যনির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেন, পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনালের (পিটিআই) সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হক, দৈনিক পূর্বদেশের প্রধান প্রতিবেদক গোলাম মোস্তফা, বিবিসির সাংবাদিক নিজামুদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক ফয়েজুল মহি, অধ্যাপক সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক মো. মর্তুজা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, শহীদুল্লা কায়সার, ডা. ফজলে রাব্বী ও ডা. আলিম চৌধুরী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।