আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুঈনুদ্দীন ও আশরাফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি শেষ

পলাতক চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ ঘটনার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ আজ রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাহিদুর রহমান দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তি দেন।

সহিদুর রহমান  মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা প্রথম থেকে পঞ্চম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেন, ১১ ডিসেম্বর ভোরে পিপিআইয়ের (পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনাল) প্রধান প্রতিবেদক সৈয়দ নাজমুল হক, ‘দৈনিক পূর্বদেশ’-এর প্রধান প্রতিবেদক এ এন এম গোলাম মোস্তফা, ১২ ডিসেম্বর দুপুরে বিবিসির সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং ১৩ ডিসেম্বর ‘দৈনিক শিলালিপি’র সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণ করা হয়। মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের নির্দেশে ও তাঁদের অংশগ্রহণে আলবদরের সদস্যরা ওই বুদ্ধিজীবীদের অপহরণের পর হত্যা করে। সেলিনা পারভীন ছাড়া আর কারও লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এসব অভিযোগে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর, সাংবাদিক সৈয়দ নাজমুল হকের ছেলে সৈয়দ মর্তুজা নাজমুল, ভাই গোলাম রহমান ওরফে দুলু, আ ন ম গোলাম মোস্তফার ছেলে অনির্বাণ মোস্তফা, সেলিনা পারভীনের ছেলে সুমন জাহিদ, রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে একমাত্র জীবিত ফিরে আসা ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্যে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছে।

সাহিদুর রহমান আরও বলেন, মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনা সপ্তম থেকে একাদশ অভিযোগ অনুসারে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ও ‘দৈনিক সংবাদ’-এর যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সারকে অপহরণ করা হয়। তাঁদের কারও মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া একাত্তরের ১৫ ডিসেম্বর ক্লিনিক্যাল মেডিসিন ও কার্ডিওলজির অধ্যাপক মো. ফজলে রাব্বী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলীম চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়।

রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে এই দুজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এ অভিযোগগুলোর পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, দেলোয়ার হোসেন, শহীদুল্লা কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সার, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর ভাইয়ের ছেলে ইফতেখার হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরীর ছোট ছেলে আসিফ মুনীর, ফজলে রাব্বীর মেয়ে নুসরাত রাব্বী, আলীম চৌধুরীর মেয়ে ফারজানা চৌধুরী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষ সাক্ষীদের সাক্ষ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে পারেনি এবং অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনি যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.