ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা আলু যেকোনো খাবারের সঙ্গেই মানানসই। ভর্তা, ভাজি কিংবা তরকারি সর্বত্রই যেন আলুর ব্যবহার। বিদেশি খাবার তৈরিতেও পিছিয়ে নেই এ খাদ্যদ্রব্যটি। কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র খাবারের উপকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই আলু। উদরপূর্তির পাশাপাশি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে আলু।
আর এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে আবিষ্কার হয়েছে 'রঙিন আলু' যা কাজ করবে মরণঘাতী ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে। দেশে এ রঙিন আলুর উদ্ভাবক হলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ রহিম। ছয় জাতের রঙিন আলু উদ্ভাবনে সফলতা দেখিয়েছেন এ বিজ্ঞানী। এর আগে বাউকুলের সাথে তিনিই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। এ ব্যাপারে অধ্যাপক ড. এম. এ রহিমের সঙ্গে আলাপ হলে তিনি জানান, খাবারের মেন্যু হিসেবে আলুর ব্যবহার নিত্যদিনের।
আলু বাংলাদেশের প্রধান সবজি। আর সারাবছর বাজারে পাওয়া যায় এই খাদ্যদ্রব্যটি। পৃথিবীর অন্তত ১০০টিরও বেশি দেশে আলু সর্বপ্রধান সবজি। তাই যদি আলুর মধ্যে ওষুধি গুণাগুণ থাকে তাহলে উপকৃত হবে অনেক মানুষ। উদরপূর্তির পাশাপাশি চিকিৎসার পথ্য হিসেবে আলুকে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে এ গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণায় তারা ছয় জাতের 'রঙিন আলু' উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান। জানা গেছে, বছরে মাথাপিছু আলুর উৎপাদন ৭২ কেজি। সেই তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলো এখনও অনেক পেছনে রয়েছে। পূর্ব ইউরোপ ও রাশিয়ায় ৪০৮ কেজি, পশ্চিম ইউরোপে ১৩৩ কেজি, উত্তর আমেরিকায় ৭৫ কেজি মাথাপিছু বাৎসরিক আলুর উৎপাদন, সেখানে বাংলাদেশের উৎপাদন মাত্র ৫৪.০৫ কেজি। উন্নত দেশগুলোর বিপুল পরিমাণে আলু উৎপাদন ও ব্যবহার আমাদের জন্য পথ নির্দেশকের কাজ করতে পারে।
নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি থেকে সবচেয়ে কম সময়ে, সবচেয়ে বেশি ফলন (ওজন, শুষ্ক পদার্থ, ক্যালরি, বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদন, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিনের দিক থেকে) এর কারণে এবং সমপরিমাণ সিদ্ধ আলুতে ভাত ও রুটির সমান এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণ পুষ্টিকারিতার জন্যই আলু বহুদেশের প্রধান খাদ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে জলীয় অংশ ৭৬.৩ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৯ গ্রাম, অাঁশ ০.৪ গ্রাম, খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি) ৮৯, আমিষ ৩.০ গ্রাম, শর্করা ১৯.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-বি-১ প্রতিরোধে :০.০৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি-২ ০.০৩ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন-সি ১০ মিলিগ্রাম। রঙিন আলুতেও একই খাদ্যমান থাকে। পাশাপাশি রঙিন আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা উচ্চমাত্রায় এন্টি ক্যান্সার, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ক্লামেটরি উপাদান। গবেষণায় দেখা যায়, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এন্টি ক্যান্সার হিসেবে কাজ করে।
রঙিন আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং আয়রন থাকে। এছাড়া ভিটামিন ই১, ই২, ই৬ এবং স্টার্চ, সুগার প্রোটিন এবং পটাশিয়ামের লবণসহ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন ও ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে বিদ্যামন। ১ কেজি আলুতে প্রায় ৫ গ্রাম পটাশিয়াম লবণ থাকে যা হার্ট মাসুলকে শক্তিশালী করে এবং রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস করে এবং কোষে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যা শিশু ও বৃদ্ধের দ্রুত নড়াচড়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। গবেষক সূত্রে জানা যায়, শরীরের জন্য ভিটামিন-ই দরকার যা অত্যন্ত ক্লান্ত অবস্থা (স্ট্রেসফুল সিচুয়েশনে) সহায়তা করে এবং ভিটামিন ই৬-এ অ্যান্টিটক্সিক উপাদান বিদ্যমান যা শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে, বিশেষ করে যে সমস্ত লোক শিল্প-কারখানায় কাজ করে, যারা পরিবেশগতভাবে জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত হয়। হাইপার টেনশান, ট্রাকিকার্ডিয়া ও এলার্জির বিরুদ্ধেও এ রঙিন আলু কাজ করে।
রঙিন আলুতে ফেনোলিক এসিড, ফ্ল্লাভেনোইড অ্যান্থোসায়ানিন, ক্যারোটিনয়ড, লুটিন, জিজ্যান্থিন থাকে যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে । রোগ প্রতিরোধক গবেষণায় বলা হয়, রঙিন আলুতে যে সমস্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে তা মানব শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এখানে আমেরিকার কোলোরাডো স্টেট ইউনিভাসিটির একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, রঙিন আলু কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সক্রিয়। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এবং পুষ্টি বিষয়ক অনলাইন জার্নালে আমেরিকান সোসাইটি ফর নিউট্রিশন উভয়েই একমত হয়ে বলেন যে, রঙিন আলু মানব শরীরে অক্সিডেটিড ক্ষতি ও প্রদাহজনিত যন্ত্রণা কমায়। রঙিন আলু শরীরের সম্ভাবনাময় শরীর বৃত্তির উপকারীতা হচ্ছে, এরা দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ করে।
অন্য একটি গবেষণায় দেখা যায়, রঙিন আলুতে অ্যান্টি ইনফ্ল্লামেটরি উপাদান থাকে যা মানব শরীরের অ্যালজিমার ডিজিজ, অ্যাজমা, ক্যান্সার, ক্রনিক লাঞ্চ ডিজিজ, ক্রনিক পেইন, দুরকমের ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, ইনক্লামেটরি বোয়েল ডিজিজ, স্ট্রোক, রিউমাটোয়েড, লুপাস অথবা লিভার ডিজিজ, গ্যাষ্ট্রিক, আলসার, কিডনি ডিজিজ, হাইপারটেনশন, লামবাগো ও সোর সুলডার স্ক্লোরোডার্মা রোগের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। জাপানের একটি গবেষণায় দেখা যায়, একজন রোগীর কানে টিউমার হয়েছিল যা তিনি অনেক আগেই অপারেশন করেছিলেন কিন্তু তার জীবাণু শরীরে রয়ে গিয়েছিল, এজন্য ডাক্তার তাকে রেডিও থেরাপি দিয়েছিলেন কিন্তু দেখা যায় যে, তার শরীরে ক্যান্সার কোষ লাঞ্চ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। জাপানের ক্যান্সার স্পেশালিস্ট হসপিটালের ডাক্তারগণ তাকে লাঞ্চ ক্যান্সার রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং তারা দাবি করেন, এ রোগ ভালো হওয়ার নয়। অতঃপর রোগীটি অন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শে রঙিন আলুর রস খাওয়া শুরু করলেন। পরে দেখা গেল যে, উক্ত রোগীর ক্যান্সার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং তার শরীরের শক্তি ফিরে আসে এবং পুনরায় কাজ করতে সক্ষম হন।
জাপানের অন্য একটি গবেষণায় দেখা যায়, রঙিন আলুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কেমিক্যালগুলো ক্যান্সারসহ মানব শরীরের কোষের বয়স ও কোষ মরার বিরুদ্ধে কাজ করে যা শরীরের ইনফ্লামেশনজনিত রোগের মাত্রা কমায়। বাংলাদেশে রঙিন আলু জানা যায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ রহিম ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন মেডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শ্যালি জ্যাংক্স ও অধ্যাপক ড. ফিলিপ ডাবু সাইমনের কাছ থেকে ২৮টি রঙিন গোলআলুর বীজ এ দেশে নিয়ে আসেন। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারের মাঠ গবেষণাগারে ওই আলু নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। প্রায় ৪ বছর গবেষণা করে তিনি অধিক ফলন ও রোগবালাইমুক্ত ৬ জাতের আলুর নতুন লাইন বাছাই করেন। এ কাজে তাকে সাহায্য করেন অধ্যয়নরত কয়েকজন এমএস শিক্ষার্থী ও পিএইচডি ফেলোরা।
তারা হলেন- ড. মো.শামছুল আলম, রাশেদুর রহমান, সীমা রায় এবং জুলকার নাইন। ড. মো.শামছুল আলম জানান, উদ্ভাবিত এসব আলু নিয়ে আরো গবেষণার জন্য বর্তমানে ঈশ্বরদীর আলহাজ্ব শাহ্জাহান আলী বাদশা ওরফে পেঁপে বাদশার জমিতে ও বাকৃবি জার্মপ্লাজম সেন্টারে গবেষণা চলছে। ক্যান্সার প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন নতুন ৬ জাতের রঙিন আলু বাছাইয়ে সফলতা দেখানো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ রহিম বলেন, দেশের প্রচলিত সাদা আলুর চেয়ে উদ্ভাবিত নতুন জাতের আলুতে অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি অতিরিক্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তৈরিকারী অ্যান্থোসায়ানিন ও ফেনোলিক কম্পাউন্ড লুটিন থাকে যা মানবদেহে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে বিশ্বে বহুল প্রচলিত। এ ছাড়া এ আলুতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল আছে। তাই ভাতের বিকল্প হিসেবে নিয়মিত এ আলু খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ক্যান্সার, হৃদরোগসহ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন এ গবেষক।
রঙিন আলুর বৈশিষ্ট্য আলুগুলোর বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে গবেষণায় দেখা গেছে, রঙিন গোল আলু (সিলেকসন)-১ দেখতে কালো ও ডিম্বাকৃতির। এর ভেতরের অংশ গাঢ় কালচে থেকে গোলাপি রঙের মাংসলযুক্ত। উৎপাদন হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ২৫ টন। রঙিন গোল আলু-২ বাছাইয়ে দেখতে লালচে হলুদ ও লম্বাটে। এর ভেতরের অংশের কেন্দ্র হলুদ রঙের এবং চারদিকে লাল রঙের রিংয়ের মতো আবরণ থাকে।
উৎপাদন হেক্টর প্রতি ২০ থেকে ৩০ টন। গোল আলু-৩ বাছাইয়ে দেখতে হলুদ ডিম্বাকার। এর ভেতরের অংশ গাঢ় হলুদ বর্ণের। উৎপাদান হেক্টর প্রতি ১৮ থেকে ২২ টন। গোল আলু-৪ দেখতে কালো চর্মযুক্ত লম্বাটে।
এ জাতের ফ্লেশ গোলাপি ও লালচে রং বিশিষ্ট। এ জাতটি মধ্যম থেকে বড় আকৃতির। এ জাতের ফলন হেক্টর প্রতি ১৮-২২ টন। গোল আলু-৫ লালচে চর্মযুক্ত জাত। বোটা থেকে লাম্বালম্বি সাদাটে অংশসহ লাল ফ্লেশযুক্ত ডিম্বাকৃতি বিশিষ্ট, উচ্চফলনশীল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সম্পন্ন।
গোল আলু-৬ সিলেকশন দেখতে কালচে-লাল চর্মযুক্ত। এ জাতের আলুর নিচের দিকে কিনারা বরাবর লালচে আভাযুক্ত গোলাপি সাদা আভাযুক্ত। এ জাতটি লম্বাটে, উচ্চফলনশীল। প্রতিটি জাতেই নভেম্বর মাসে বীজ বপন করলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আলু সংগ্রহ করা যায়। এসব ফসলের জন্য উর্বর বেলে-দোঅাঁশ মাটি উত্তম।
তবে এসব প্রজাতি জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না; কিন্তু মাঝেমধ্যে সেচ প্রদান করতে হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতেই এসব আলুর চাষ সম্ভব বলে গবেষক সূত্রে জানা গেছে। রঙিন আলুর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে গবেষণায় আরো জানা যায়, রঙিন আলুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়নিন ও ফেনোলিক কম্পাউন্ড লুটিন থাকে, যাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া হলুদ রঙের আলুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন এবং বেগুনি রঙের আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফ্লেভোনয়েড থাকে, এরও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা রয়েছে। এ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মানবদেহে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া এ উপাদানটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ, বয়ঃবৃদ্ধিজনিত বুদ্ধিহ্রাস রোধ এবং মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, আলুর রং যতো বেশি গাঢ় হয়, সেই আলুতে ততো বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়া রঙিন আলুর মাংসল অংশের তুলনায় চামড়া বা খোসার প্রায় ১০ গুণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। তাই খোসাসহ রঙিন আলু খাওয়ার ব্যাপারে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত বলে গবেষকরা মনে করেন। এ ব্যাপারে ড. রহিম বলেন, দেশের প্রচলিত ডায়মন্ড, কার্ডিনাল প্রভৃতি জাতের আলুতে জলীয় অংশ বেশি থাকে, ফলে এসব আলুতে দ্রুত পচন ধরে।
এজন্য প্রতিবছর এসব আলু সংরক্ষণে কোল্ডস্টোরেজের ওপর নির্ভরশীল হতে হয় প্রান্তিক কৃষককে। অথচ উদ্ভাবিত রঙিন আলুতে ড্রাই ম্যাটার বা শুষ্ক পদার্থ বেশি থাকায় সহজেই কৃষক নিজ ঘরে অনেক দিন এটি সংরক্ষণ করতে পারবেন। (সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।