এই ঘটনার মাত্র দুই সপ্তা আগে জোলি জানিয়েছিলেন, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় নিজের দুটি স্তনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করেছেন।
অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মায়ের সর্বকণিষ্ঠ বোন ডেব্বি মার্টিন ৬১ বছর বয়সে সানদিয়াগোর নিকটবর্তী এসকোন্দিদোর পালোমার মেডিক্যাল সেন্টারে মারা যান।
২০০৭ সালে জোলির মা ৫৬ বছর বয়সে স্তন ক্যান্সারে ভুগে মারা যান।
স্তন অপসারণ প্রসঙ্গে এরআগে জোলি জানান, মায়ের মতো অল্প বয়সে মারা না গিয়ে নিজের ছয় সন্তানের মাঝে আরো বেশি দিন বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে থাকা দুটি স্তনই অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
মায়ের সেই ক্যান্সার জিন জোলির শরীরে ধরা পড়ার পর চিকিৎসকরা তার স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৮৭ শতাংশ এবং ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আর এরপরই জোলি এই সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের “মাই মেডিক্যাল চয়েস” শীর্ষক এক উপসম্পাদকীয়তে ৩৭ বছর বয়সী জোলি লিখেন, “আমরা কখনো কখনো মায়ের মা সম্পর্কে কথা বলি। যে অসুখ তাকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে গেছে তা সন্তানদের বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। মায়ের মতোই একই অসুখ আমারও হতে পারে নাকি তারা জিজ্ঞেস করে। ”
“সব সময়ই তাদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য বলেছি, কিন্তু ঘটনা হচ্ছে আমার শরীরে সেই ‘সমস্যাযুক্ত জিনটি’ আছে,” বলেন তিনি।
“যখন জানতে পারলাম এটাই বাস্তবতা, আমি যতটা সম্ভব নিজেকে রক্ষা করার ও ঝুঁকি কমানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি আমার দুটি স্তন আপসারণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। ”
জোলির শরীরে ব্রেস্ট্ ইমপ্লান্ট করা হয়েছে। এপ্রিল মাসের শেষে তিন মাসের অস্ত্রোপচারজনিত প্রক্রিয়া শেষে হয়েছে। তবে এ সময়ও জোলি কাজ চালিয়ে গেছেন।
আর তার জীবনসঙ্গী অপর হলিউড তারকা ব্রাড পিট এই পুরোটা সময় তার পাশে থেকে তাকে সমর্থন যুগিয়ে গেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।