"খোকার সাধ" নামে নজরুলের কবিতাটি আর আগের মতো থাকছে না বলে অবিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। কবিতাটির কয়েকটি অংশ সত্যাশ্রয়ী না হওয়ায় এগুলোর পরিবর্তন চেয়ে আদালতে সহসাই আবেদন জানানো হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানায় যে, কবিতাটিতে মানব সন্তান হওয়া সত্বেও খোকার পাখিতে পরিনত হওয়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করা হয়েছে যা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত নয়। কেননা অনেক মানবসন্তান পশু পদবাচ্য হলেও পাখি হওয়ার কোন নিদর্শন মানবজাতির ইতিহাসে আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। কাজেই এক্ষেত্রে ইতিহাস বিকৃতি ঘটেছে।
কবিতাটির আরেক জায়গায় সূর্যকে মামা সম্বোধন করা হয়েছে, অথচ একই মায়ের গর্ভে খোকার মানবী মা এবং সূর্যের মতো উত্তপ্ত নক্ষত্রের জন্মলাভের গল্প শুধুমাত্র গঞ্জিকাসেবীরাই বিশ্বাস করতে পারে।
কবিতাটির আর একটি অংশে দাবী করা হয়েছে যে খোকা জেগে উঠলেই কেবল রাত পোহাবে আর সকাল হবে- সূত্র মতে এ দাবী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জনগনকে ভীতসন্ত্রস্ত্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো কোনো হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এসব বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে।
সূত্রটি আরো জানায় যে, সূর্যের উদয় হওয়া আর অস্ত যাওয়া তথা দিনকে রাত করার বিষয়টি ক্ষমতাসীনদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনাধীন রয়েছে। কাজেই বিরাজমান এ অন্ধকার নিয়ে জনসাধারণের আশংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তারা নিশ্চিন্তে দিবানিদ্রা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেনঃ
আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম-বাগে উঠব আমি ডাকি।
সূয্যিমামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে,
'হয়নি সকাল, ঘুমো এখন'- মা বলবেন রেগে।
বলব আমি, 'আলসে মেয়ে ঘুমিয়ে তুমি থাক,
হয়নি সকাল- তাই বলে কি সকাল হবে না কো!
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?
তোমার ছেলে উঠলে গো মা রাত পোহাবে তবে!'
সূত্রঃ দিবাস্বপ্ন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।