জাতীয় কবি কাজী নজরুলের বাংলা শব্দের পাশাপাশি হিন্দি, আরবি ও ফার্সি শব্দ চয়ন করে তাতে মনোমুগ্ধকর সুর সংযোজন অনবদ্য অবদান। নিচে কয়েকটি গান উল্লেখ করা হল:
১) চমকে চমকে ধীরে ভীরু পায় (আরবি সুর)
২) দূর দ্বীপবাসিনী চিনি তোমারে চিনি (কিউবান দ্বীপের নৃত্যের সুর)
৩) মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায় (মিসরের নাচের সুর)
৪) পরী জাফরানী ঘাগরী চলে সিরাজের পরী (ইরানি সুর)
৫) মম তনুব ময়ূর সিংহাসনে (ইরানি সুর)
৬) আনারকলি আনারকলি (ইরানি সুর)
৭) ইরানের বুলবুলি কি এলে (ইরানি সুর)
৮) ইরানের রূপ মহলের (ইরানি সুর)
৯) ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি (হিজাজ ভৈরবী সুর, ইরানি হিজাজ প্রদেশের সুর)
১০) নার্গিস সবাগমে বাহার কি আগমে (ইরানি সুর)
১১) বুলবুলি নীরব নার্গিস বলে (নৌরচকা)
এই গানগুলোর সুর চয়নের তালিকায় দেখা যায় নজরুল বিদেশী সুরের মধ্যে ইরানি সুরকে বেশি পছন্দের সঙ্গে প্রাধান্য দিয়েছেন। সরের আঞ্চলিকতার প্রশ্ন নিয়ে লেখাটি শুরু করলেও বোধ করি এতক্ষনে বিতর্কের মনোপূত সমাধানে আসতে পেরেছি। যে কেউ ভিন্ন মত পোষন করতে পারেন, তবে আমার মতে অন্তরের যে সুর তা বিশ্বসংঙ্গীত।
২৫মে কবি নজরুলের ১০৯তম জন্মজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।