মেনে নিব না, আসে যদি ইসলামের উপর কোন আঘাত। মাঠে নেমেছি, হয় সফলতা নয়ত চাই শাহাদাত লিখেছেন- মুহিব খান
জানো কি বন্ধু ! এদেশের কিছু শিক্ষিত গরু আছে
বাঁচার জন্য খায় না তাহারা খাওয়ার জন্য বাঁচে।
নিজেদের ভাবে মহাপণ্ডিত জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবি
আসলে মাথায় কিছু নেই, শুধু পচা গোবরের ডিবি।
মৌলভী দেখলে নাক সিটকায়, মোল্লা দেখলে জ্বলে।
বানরের মতো মুখ ভেংচায়, নানা কটু কথা বলে।
ভাবে হায় হায় ! হবে কি উপায় ! এই মোল্লাদের দলে-
প্রগতির যুগে টেনে নিল হায় দেশটাকে রসাতলে।
মোল্লারা নাকি অপয়া, অধম, সমাজের নাকি বোঝা।
হাল জামানার বোঝেনা কিছুই, কেবলি নামাজ, রোজা।
আমি বলি- 'বাছা, সবুর সবুর এতোটা তো নয় সোজা'!
কে কতোটা ভালো-মন্দ বা দোষী এসো শুরু করি খোঁজা।
প্রথমেই দেখ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস করে কারা?
আমরা তো দেখি তোমরাই করো, করে নাতো মোল্লারা ।
পার্কে-বাগানে, এখানে-সেখানে ভাঙ্গা বস্তির ফাঁকে
গাঁজার আসরে দেখেছো কি বলো কভু কোনো মোল্লাকে?
কোনোখানে কোনো মদের আড্ডা কিংবা জুয়া খেলাতে-
তোমাদের কভু দেখা হয়েছে কি কোনো মোল্লার সাথে?
হাঁটে বা বাজারে অলিতে গলিতে কি-বা রাস্তার মোড়ে-
দেখেছ কি কোনো মোল্লা কখনো চুরি-রাহাজানী করে?
সাথে বে-শরম, বেহায়া, বে-লাজ, উদ্ভট নারী নিয়ে-
কোনো মোল্লা কি তোমাদের মতো বেড়ায় রিক্সা দিয়ে?
রাস্তার পরে মাস্তানী বল মোল্লারা করে কভু?
অযথাই কেন মোল্লাদেরকে দোষারোপ করো তবু?
তোমরাই বলো- কোনোদিন কোনো অফিসে বা আদালতে-
কোনো মোল্লাকে পেয়েছ কখনো কারো কাছে ঘুষ খেতে?
যত দুর্নীতি, কালোবাজারি বা মাদক চোরাচালানে
ক'জন মোল্লা পেয়েছ বলতো হাতে আঙ্গুলে গুণে !
মাদ্রাসা পড়া শেষ শেষ করে তারা কিছু না কিছু তো করে।
বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে বসে তো থাকে না ঘরে।
কোন যুক্তিতে করো বাহাদুরি, কিসের গরীমা এতো?
তোমরা তো করো দাঁড়িয়ে পেশাব নেড়ী কুত্তার মতো।
মুখে বলো শুধু- আমরা বাঙালি, আমরা স্বাধীন জাতি।
ইংরেজদের গোলামী ছাড়োনী আজো বাপ-দাদা-নাতি,
প্যান্টের নিচে শার্ট ইন করে দেখাও পাছার মাপ
দাঁড়ি গোঁফ চেঁছে কচি খোকা সাজো এগারো ছেলের বাপ।
বাংলার সাথে ইংরেজি মারো দেখাও আধুনিকতা।
বৈশাখ এলে ঢালো বটমূলে হৃদয়ের আকুলতা !
পাঞ্জাবী পড়ে বাঙালী সাজো মাটির সানকী হাতে।
নারী-মদ নিয়ে নাচো ইংরেজি নববর্ষের রাতে।
ব্রেকফার্স্ট, লাঞ্চ, ডিনার কত কি শিখেছ নতুন ভাষা !
বাড়ীতে গরীব মায়েরা কিষাণী, বাপেরা গরীব চাষা।
মাম্মি-ড্যাডি তো হয়েছে মা বাপ, আংকেল হলো চাচা।
হিসাবে তো দেখি তোমরাই বাপু সমাজের পরগাছা।
তোমরাই বাপু চরম বাচাল বেয়াদব, বেপরোয়া।
বাস ট্রেনে বসে সিগারেট টানো, বাতাসে ছড়াও ধোঁয়া।
পথে ঘাঁটে কোনো সুন্দরী পেলে তোমরাই মারো শীষ।
তোমরাই ডেকে এনেছ জাতির কপালের গরদিশ।
তোমারাই আনো বখাটে ফ্যাশন, বানরের বেশ ধরে।
জোড়াতালি মারা প্যান্টের সাথে স্কীন টাইট জামা পরে।
চুলের বাহারে বুঝিনা আহারে- কে পুরুষ, কে মহিলা!
কিছু লাল, কিছু বাদামী আবার কিছু আছে, কিছু ছিলা।
ব্যান্ডের তালে ভণ্ডের মতো মাতাল নৃত্য নেচে
দেশী সংস্কৃতি সভ্যতাটুকু তোমরাই দিলে বেঁচে।
তোমরাই করো বস্ত্রহরণ টিএসসি চত্বরে।
খুন ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে জানাও গর্বভরে।
তোমরাই হলে সমাজের কীট, সমাজের নর্দমা।
দেশ জনতার গন-আদালতে তোমাদের নাই ক্ষমা।
মোল্লারা আজো নম্র ভদ্র, এখনো শান্ত ধীর।
তোমরাই হলে পাপে কলুষিত কলঙ্ক এ জাতির।
নীতি-শৃঙ্খলা, শ্রদ্ধা-ভক্তি এখনো তাদের আছে।
দেশ জাতি যাহা করে না আশাই আজ তোমাদের কাছে।
হয়তো তাহারা কিছুটা সরল চুপচাপ, সাদা-সিধা।
এদের কারণে সমাজের হলো কি এমন অসুবিধা?
ঈমান-আমল দেশপ্রেম সব আছে তাহাদের মাঝে।
জেনে বুঝে সব চুপচাপ তারা আছে তাহাদের কাজে।
তাই বলি- বাছা, অযথাই শুধু খুঁচিওনা তাহাদেরে।
বলা তো যায় না, আরামের ঘুম নিতে পারে তারা কেড়ে !
আঁতুড় ঘরে তো বাচ্চার কানে আজান দেবার তরে-
দিনে কি বা রাতে হাঁপাতে হাঁপাতে ছুট মোল্লার ঘরে।
মোল্লা ছাড়া তো চলে না খতম, থেমে থাকে শাদী বিয়ে।
মরার পরে তো কবরে নামায় মোল্লাই কাঁধে নিয়ে।
তবে কেন এতো মোল্লা বিরোধী, মোল্লার প্রতি ঘৃণা?
তার চেয়ে দেখো কিছুটা মোল্লা, নিজে হতে পারো কি না !
যৌবনে সোজা না হয়ে তোমরা জীবন কাটাও বেঁকে-
বুড়ো হয়ে পরে মসজিদে আস টুপী আর দাঁড়ি রেখে।
বিজাতীয় রীতি, অপসংস্কৃতি নীতিহীনতার ফাঁদে-
মোল্লারা ছাড়া গোল্লায় সব, যাবে কিছুদিন বাদে।
হাজার পাপের বোঝা নিয়ে কাঁধে চুপচাপ বসে থাকো।
সত্যের হাড়ি ভেঙ্গে দিলে আর নিস্তার পাবে না-কো।
গর্তে ঢোকার সময় জানো তো সোজা হয়ে ঢুকে সাপ!
ধরা খেলে সোজা তোমরা না শুধু, হবে তোমাদের বাপ।
তার চেয়ে এসো একসাথে মেশো ঘৃণা-বিদ্বেষ ছাড়ো।
ইসলাম শিখো, চোখ মেলে দেখো বহু কিছু আছে আরও।
কভু যা দেখোনি, কভু যা বুঝনি, কভু যা শুননি কানে
খাঁটি মোল্লার দরবার ছাড়া তা পাবে না কোনখানে।
মোল্লাকে বুঝো, মোল্লাকে খুঁজো, মোল্লাকে মানো সবে
তাহারাই হবে কামিয়াব যারা মোল্লার সাথে রবে।
সহজ ভাষায় জানালাম কিছু অপ্রিয় সত্য কথা।
মানো বা না মানো আসলে এটাই চরম বাস্তবতা।
(কবিতাটি সবাই শেয়ার করে খুব দ্রুত ছড়িয়ে দিন!!)
----------------------------------------------------
স্টিকি পোস্টের মিথ্যাচারের আরেকটি প্রমাণ,
শায়খ আল বুতি ছিলেন, সিরিয়ার জাতীয় ইমাম।
তিনি সিরিয়ার বিদ্রোহি সেনাদের -অপদার্থ- বলে অভিহিত করেন এবং তাদের বিরোদ্ধে জনসাধারণকে লড়াই করার জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আহবানও জানান। এর ফলে ক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্রোহী সেনারা তাকে হত্যা করে।
প্রথম আলোর সংবাদ
অথচ লিসানি@ এই ইমামকে হত্যার জন্যও হেফাজতে ইসলামকে দায়ী করেছে। হুদাই কি মানুষ বলে, মাযারে বইয়া লোকে গান্জা টানে! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।